এসএসসি-এইচএসসি যদি নাও হয়, মূল্যায়নের প্রস্তুতি রয়েছে: নেহাল আহমেদ

ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক নেহাল আহমেদ
ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক নেহাল আহমেদ  © ফাইল ফটো

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বৃদ্ধি পাওয়ায় চলতি বছরের এসএসসি, এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা নিয়ে চরম অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে। গুরুত্বপূর্ণ এ দুই পাবলিক পরীক্ষা নিতে না পারলে কীভাবে মূল্যায়ন করা হবে, সে বিষয়েও আলোচনা শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছেন কর্মকর্তারা।

শিক্ষা বোর্ড সূত্র বলছে, ইতিমধ্যে এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষার প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। এসএসসির প্রশ্নপত্র তৈরি করা হয়েছে।এইচএসসির প্রশ্ন তৈরির কাজও চলছে।

এ বিষয়ে ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক নেহাল আহমেদ বলেছেন, কর্তৃপক্ষ চেষ্টা করছে সময় পিছিয়ে হলেও এ পরীক্ষা নিতে। কিন্তু সম্ভব না হলে বিকল্প মূল্যায়ণের চিন্তাভাবনা আছে। তিনি বলেন, ‘সব বোর্ড পরীক্ষা নেওয়ার জন্য প্রস্তুতি নিয়েছে। কিন্তু পাবলিক পরীক্ষায় সব বোর্ডের সমতা বিধানেরও প্রয়োজনীয়তা রয়েছে।’

নেহাল আহমেদ বিবিসি বাংলাকে বলেন, ‘শহরে অনলাইন ক্লাস-পরীক্ষার ব্যবস্থা আছে। তবে দ্বীপাঞ্চল, হাওড় বা পাহাড়ী এলাকায় সে সুযোগ সেভাবে ছিল না। সেজন্য কর্তৃপক্ষ পরিস্থিতি অনুকূল হলে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দিতে চায়। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার পর ৬০ কর্মদিবস এসএসসি ও ৮৪ কর্মদিবস ক্লাস নেওয়ার পর এইচএসসি পরীক্ষার সময় নির্ধারণ করা হয়েছে।

তিনি বলেন, ‘করোনার মধ্যে সংক্ষিপ্ত সিলেবাস প্রণয়ন করা হয়েছে। শেষ পর্যন্ত চেষ্টা করবো পরীক্ষা নেওয়ার। কিন্তু সংক্রমণ বেড়ে গেলে সেটা যদি নাই পারি তাহলে বিকল্প ব্যবস্থা। পরীক্ষার্থীদের মূল্যায়নে কি ব্যবস্থা করা যায়, সে সম্পর্কে কিছু প্রস্তুতি আগেই রয়েছে।’

গত বছরের এইচএসসি পরীক্ষা নেওয়া সম্ভব হয়নি করোনার কারণে। পরে অটোপাস দেওয়া হয়। এ প্রসঙ্গে অধ্যাপক নেহাল আহমেদ বলেন, ‘মূল্যায়ন সংক্রান্ত কমিটি ও কাঠামো আগে থেকেই তৈরি আছে। তবে শিক্ষার্থীদের ঝুঁকি থেকে দূরে রাখা প্রথম কাজ।’

বাংলাদেশে এখন করোনা সংক্রমণের হার প্রায় ১৫ শতাংশ। সংক্রমণের হার ক্রমেই বাড়ছে। সম্প্রতি শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি বলেছেন, সংক্রমণ পাঁচ শতাংশে নামলে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলবে। তবে সংক্রমণ বাড়তে থাকায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা নিয়ে অনিশ্চয়তা বাড়ছে।


সর্বশেষ সংবাদ