ঢাবিতে ‘চলমান জাদুঘর’ ঘুরে দেখল সুইস প্রতিনিধিদল
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ২২ মে ২০২২, ০৮:৫৩ AM , আপডেট: ২২ মে ২০২২, ০৮:৫৩ AM
১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পাকিস্তানি বাহিনীর হাতে সংঘটিত নারকীয় হত্যাকাণ্ডের ঐতিহাসিক স্থান ও স্থাপনাগুলো নিয়ে গঠিত ‘চলমান জাদুঘর’ ঘুরে দেখেছে ঢাকায় নিযুক্ত সুইজারল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত নাথালি শুয়ার্ডসহ দেশটির একটি প্রতিনিধিদল। বিশ্ববিদ্যালয়ের সেন্টার ফর জেনোসাইড স্টাডিজের তরুণ গবেষকেরা মুক্তিযুদ্ধের নানা ঘটনা সম্পর্কে জানান তাদের।
শনিবার সুইস রাষ্ট্রদূত, তাঁর স্বামী অর্জান এফ এলিংভাগসহ ২০-২৫ জনের প্রতিনিধিদলটি এই ‘চলমান জাদুঘর’ ঘুরে দেখে। মুক্তিযুদ্ধের সময় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সংঘটিত গণহত্যার ঐতিহাসিক স্থানগুলো নতুন প্রজন্মের কাছে পরিচয় করিয়ে দিতে ২০১৮ সাল থেকে এই জাদুঘরের কার্যক্রম শুরু করে বিশ্ববিদ্যালয়ের সেন্টার ফর জেনোসাইড স্টাডিজ। এরই অংশ হিসেবে আজ প্রতিনিধিদলের সদস্যরা হেঁটে ‘চলমান জাদুঘর’ ঘুরে দেখেন।
প্রতিনিধিদলকে নিয়ে ‘পাথওয়ে টু জেনোসাইড’ শীর্ষক কর্মসূচি শুরু হয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যানটিন থেকে। এরপর ডাকসু সংগ্রহশালা হয়ে ১৯৭১ সালের ২ মার্চ স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম পতাকা উত্তোলনের স্মৃতিবিজড়িত স্থান বটতলায় যায় তারা। পরে তারা মুক্তিযুদ্ধে শহীদ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৯৫ জন শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও কর্মচারীর স্মরণে নির্মিত স্মৃতিচিরন্তন, ব্রিটিশ কাউন্সিল, সলিমুল্লাহ মুসলিম হল, জগন্নাথ হল, কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার ও ঐতিহাসিক ৭ মার্চের স্মৃতিবিজড়িত সোহরাওয়ার্দী উদ্যান পরিদর্শন করে। এ সময় মুক্তিযুদ্ধের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন ঘটনা শোনে প্রতিনিধিদলটি।
সেন্টার ফর জেনোসাইড স্টাডিজের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এই কর্মসূচিতে অতিথিদের মুক্তিযুদ্ধের নানা ঘটনা সম্পর্কে অবহিত করেন সেন্টারের তরুণ গবেষকেরা। হেঁটে হেঁটে একাত্তরের ঘটনাবলি সম্পর্কে অবহিত হওয়ার আগেই সেন্টারের কার্যালয় পরিদর্শন করে দলটি। সেখানে এই কর্মসূচির উদ্দেশ্য ও প্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন কার্যক্রম সম্পর্কে সংক্ষেপে অতিথিদের অবহিত করেন সেন্টার ফর জেনোসাইড স্টাডিজের পরিচালক ইমতিয়াজ আহমেদ।
প্রতিনিধিদলে ছিলেন সুইস দূতাবাসে কর্মরত সুজান মুয়েলার, আরিয়ান জোলিয়াট, কোরিন ও তাঁর পরিবারের সদস্য, টোবায়াস হেলিংগার, জানা, ইউনিভার্সিটি অব উইনিপেগের বঙ্গবন্ধু সেন্টার থেকে ফেলোশিপ পাওয়া আলুক ফন্টেইন রিচার্ডসন, গবেষক, সাংবাদিকসহ ২০-২৫ জন বুদ্ধিজীবী ও পেশাজীবী।
এর আগে বিভিন্ন সময় ১৯টি দেশের সেনাবাহিনীর ঊর্ধ্বতন অন্তত ৩০ জন কর্মকর্তা, ঢাকায় নিযুক্ত ব্রিটিশ হাইকমিশনার রবার্ট ডিকসন ও তাঁর স্ত্রী, মার্কিন রাষ্ট্রদূত আর্ল মিলার, জাতিসংঘের কর্মকর্তা মিয়া সেপ্পো, তুরস্কের রাষ্ট্রদূত মুস্তাফা ওসমান তুরান ও আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) প্রধান জয়েন্দু ডি ‘চলমান জাদুঘর’ ঘুরে দেখেছেন।