করোনায় সাত মাস পিছিয়ে আছি: ঢাবি ভিসি

ঢাবি উপাচার্য অধ্যাপক অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান
ঢাবি উপাচার্য অধ্যাপক অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান  © ফাইল ছবি

করোনাভাইরাসের কারণে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাত মাসের মত সময় পিছিয়ে রয়েছে বলে জানিয়েছেন উপাচার্য অধ্যাপক অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান। শনিবার (০১ জানুয়ারি) একটি জাতীয় দৈনিকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি এ কথা বলেন।

ঢাবি উপাচার্য বলেন, করোনা পুরোবিশ্বকে পালটে দিয়েছে। শিক্ষাঙ্গনও নানাভাবে হুমকির মুখে পড়েছে। আমাদের দেশও তার বাইরে নয়। আমরাও নানাভাবে বাধাগ্রস্ত হয়েছি।

আরও পড়ুন: ঢাবির ডিন নির্বাচন ১৩ জানুয়ারি, নীল দলের প্রার্থী যারা

তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় লেভেলে, বিশেষ করে করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্ষেত্রে আমরা একটু হিসাব করে দেখলাম, আমাদের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের যৌথ সহযোগিতামূলক দৃষ্টিভঙ্গি ছিল, এই পরিস্থিতি কিভাবে উত্তরণ ঘটানো যায়, কার্যক্রম সক্রিয় রাখা যায়।

এর আগে, গত ১ অক্টোবর থেকে ‘ক’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষার মধ্য দিয়ে ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষা শুরু হয়। পরে করোনার ছুটি শেষে গত বছরের অক্টোবর ১৭ থেকে বিশ্ববিদ্যালয়েরও ক্লাস-পরীক্ষা শুরু হয়।

আরও পড়ুন: সাত কলেজে ভর্তির মেধা তালিকা প্রকাশ ১০ জানুয়ারি

অধ্যাপক আখতারুজ্জামান বলেন, খুব আনন্দের সঙ্গে লক্ষ করেছি, বাধা বিপত্তি, অনেক প্রতিকূলতা, অনেক অনভিজ্ঞতা ও অনেক ঘাটতি থাকার পরও প্রতিটি বিভাগ ও ইনস্টিটিউটের শিক্ষক এবং শিক্ষার্থীর হঠাৎ প্রস্তুতি ছাড়াই সহযোগিতামূলক দৃষ্টিভঙ্গির কারণে সেই বিষয়গুলো ঠেস দেওয়া সম্ভব হয়েছে।

এদিকে, করোনায় শিক্ষার্থীদের ক্ষতি পুষিয়ে নিতে ‘লস রিকভারি প্লান’ তৈরি করেছে ঢাবি। উপাচার্য বলেন, করোনা মহামারীর কারণে শিক্ষার্থীদের লেখাপড়ার ক্ষতি পুষিয়ে নিতে এবং জাতিসংঘ ঘোষিত টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (SDGs) অর্জনের লক্ষ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ইতোমধ্যে সময় সাশ্রয়ী কর্মসূচি হিসেবে ‘লস রিকভারি প্লান’ (Loss Recovery Plan) প্রণয়ন করেছে।

করোনায় বিশ্ববিদ্যালয় পিছিয়ে রয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, এই মুহূর্তে সাত মাসের মতো একটা ঘাটতি আছে। কোথাও কোয়ালিটির সঙ্গে কম্প্রোমাইজ করা লাগেনি। এটা সহযোগিতামূলক দৃষ্টিভঙ্গির একটা বহিঃপ্রকাশ। শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা নানা প্রতিকূলতার মাধ্যমেও এটা করতে পেরেছে। আমাদের লস রিকোভারি প্রজেক্ট আছে।

আরও পড়ুন: ভর্তি পরীক্ষায় সংক্ষিপ্ত সিলেবাস ইস্যু বিবেচনা করবে ঢাবি

উপাচার্য আরও বলেন, অনলাইনে অনেকগুলো কার্যক্রম সমাপ্ত হয়েছে। সীমাবদ্ধতার মধ্যেও শিক্ষার্থীরা যে খাপ খাইয়ে নিতে পেরেছে, এটা বিশাল একটা অর্জন। এই শুভ অর্জন সামনের দিক শক্তিশালী করবে। আশা করছি করোনায় শিক্ষার্থীদের যে ক্ষতি হয়েছে, সেটা পুষিয়ে যাবে এব দ্রুত ঘাটতিগুলো কেটে যাবে।


সর্বশেষ সংবাদ