উন্নয়নের বেদনা, পানির সংকটে জাবির ২০০ কর্মচারীর পরিবার

এক মাস ধরে এভাবেই পানি সংগ্রহ করে সব কাজ চালাচ্ছেন ভুক্তভোগীরা
এক মাস ধরে এভাবেই পানি সংগ্রহ করে সব কাজ চালাচ্ছেন ভুক্তভোগীরা  © টিডিসি ফটো

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) কলাবাগান এলাকায় বসবাসরত প্রতিষ্ঠানটির কর্মচারীদের প্রায় ২০০টি পরিবার প্রায় এক মাস যাবত খাবার পানির তীব্র সংকটে ভুগছেন। তাদের অভিযোগ, বিশ্ববিদ্যালয়ের চলমান উন্নয়ন প্রকল্পের জন্য প্রয়োজনীয় পানি পাচ্ছেন না তারা।

অন্যদিকে প্রায় মাসখানেক ধরে এই সংকট চললেও বিশ্ববিদ্যালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বলছেন, তারা বিষয়টি অবগত নন।  

ভুক্তভোগীরা অভিযোগ করে বলেন, প্রায় মাসখানেক ধরে লাইন থেকে যে পানিটুকু আসে তাতে তারা শুধুমাত্র খাবার পানিটুকু সংরক্ষণ করতে পারছেন। কিন্তু গোসল সহ অন্যান্য কাজের জন্য প্রয়োজনীয় পানি তাতে মিলছে না।

এসব পরিবারের সদস্যরা জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ রফিক-জব্বার হল সংলগ্ন উন্নয়ন প্রকল্পের নির্মাণাধীন তিনটি হলের কাজে প্রচুর পানি দরকার হচ্ছে। ফলে তাদের এলাকাতে পানি কম যাচ্ছে। বিষয়টি নিয়ে তারা কর্তৃপক্ষকে অনেকবার বললেও এখনও কোনো ব্যবস্থা নেয়নি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

জাবির কলাবাগান এলাকায় সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, পানির সংগ্রহের জন্য একটি কলের সামনে মানুষ ভীড় করে আছে। তারা দীর্ঘক্ষণ দাঁড়িয়ে এক এক করে তাদের পানির পাত্র পূর্ণ করছেন। অন্যদিকে, লাইনে পানি প্রবাহের গতি কম থাকায় পানির পাত্র পূর্ণ হতেও দীর্ঘ সময় লাগছে।

পানি নিতে আসা জাবির এক কর্মচারীর স্ত্রী বলেন, নতুন হল নির্মাণের জন্য অনেক পানির প্রয়োজন হচ্ছে। ফলে আমাদের এদিকে পানির সরবরাহ কমে গেছে। গত এক মাসে এভাবেই পানি টেনে নিয়ে সব কাজ চালাতে হচ্ছে। বেশ কয়েকদিন তো গোসলও করতে পারিনি আমরা।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অপর একাধিক কর্মচারীর সন্তান বলেন, মাসখানেক যাবত বাসায় পানি নেই। তাই এখানে আসি। কারণ, এখানে অল্প করে হলেও কিছু পানি আসে। এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান প্রকৌশলী আব্দুস সালামকে বিষয়টি জানানো হয়েছে, কিন্তু এখনও কোন সমাধান হয়নি।

তবে কর্মচারীরা তাদের বসতিতে পানি সংকটের এ বিষয়টি প্রকৌশলী অফিসকে জানানোর দাবি করলেও ওই কর্মকর্তারা বললেন, তারা বিষয়টি জানেন না।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান প্রকৌশলী আব্দুস সালাম মো শরীফ বলেন, আমি বিষয়টি জানিনা। এটি নির্বাহী প্রকৌশলী আসাদুজ্জামান জানেন।

আর নির্বাহী প্রকৌশলী (সিভিল) আসাদুজ্জামানের কাছে জানতে চাইলে তিনিও পানি সংকটের বিষয়টি অবগত নন বলে জানান।

আমি বিষয়টি অবগত নই। তারা হয়তো অন্য কাউকে জানিয়েছে। আমরা অভিযোগ পেলে অবশ্যই ব্যবস্থা নেব, বলেন তিনি।


সর্বশেষ সংবাদ