‘নো নেগোসিয়েশন’, কি ইঙ্গিত দিলেন ছাত্রশিবির সভাপতি
ইসলামী ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি জাহিদুল ইসলাম বলেছেন, ‘নো নেগোসিয়েশন। শিক্ষার্থীদের স্বতঃস্ফূর্ত ভোট প্রদানের পর ডাকসুর কোনো পদ নিয়ে নেগোসিয়েশন করার অধিকার কারও নেই। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন, কোনো রাজনৈতিক দল, মন্ত্রী পাড়ার কোনো উপদেষ্টা কিংবা প্রধান উপদেষ্টা কারও অধিকার নেই। এই ম্যান্ডেট কেবলই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের। কেউ বিভ্রান্ত হবেন না। শিক্ষার্থীরা তাদের জয় নিশ্চিত করেই ফিরবে।’
মঙ্গলবার (৯ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাত দেড়টার দিকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে এক পোস্টে এসব কথা বলেন। এর আগে সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে ভোটগ্রহণ হয়।
সর্বশেষ প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, টিএসসি কেন্দ্রে রোকেয়া হলে মোট ৬৮.৯৬ শতাংশ ভোট কাস্ট হয়েছে। আর কার্জন হল কেন্দ্রে অমর একুশে হলে মোট ১৩০০ জন ভোটারের মধ্যে ১০৮৩টি ভোট কাস্ট হয়েছে, যা মোট ভোটারের ৬২ শতাংশ। ওই কেন্দ্রের শহীদুল্লাহ্ হলে ২০০৫ জন ভোটারের মধ্যে ১৬০৯ এবং সলিমুল্লাহ মুসলিম হলে ১৭৭২ জন ভোটারের মধ্যে ১৪৪৩ জন ভোট দিয়েছেন। শতকরার হিসেবে এটি যথাক্রমে ৭৫ ও ৭৯ ভাগ।
আরও পড়ুন: ডাকসুর ভোট গণনায় সময় লাগার যে কারণ জানালেন প্রশাসন
এ ছাড়া শারীরিক শিক্ষা কেন্দ্রে তিনটি হলের মধ্যে জগন্নাথ হলের ভোট কাস্ট হয়েছে ১ হাজার ৮৩১টি। এ হলে মোট ভোটার ছিলেন ২ হাজার ২২২ জন। এ হিসেবে জগন্নাথ হলের মোট ভোটারের ৮৩ শতাংশ কাস্ট হয়েছে। এ ছাড়া সার্জেন্ট জহুরুল হক হলের ১ হাজার ৯৬৩ জন ভোটারের মধ্যে ভোট দিয়েছেন ১ হাজার ৬৬০ জন। অর্থাৎ এ হলে ভোট কাস্ট হয়েছে ৮৪ দশমিক ৪৬ শতাংশ। আর স্যার সলিমুল্লাহ মুসলিম হলের মোট ভোটার সংখ্যা ৬৬৯ জন। এর মধ্যে কাস্ট হয়েছে ৫৫৩টি, যা ৮২ দশমিক ৮৩ শতাংশ।
শারীরিক শিক্ষা কেন্দ্রের রিটানিং কর্মকর্তা ও কেন্দ্র প্রধান ড. কাজী মোস্তাক গাউসুল হক বলেন, এ কেন্দ্রের তিনটি বুথে সবমিলে মোট ভোটার সংখ্যা ছিল ৪ হাজার ৮৬১টি। এর মধ্যে ৪ হাজার ৪৪টি ভোট কাস্ট হয়েছে। শতকরার হিসেবে এটির হার ৮৩.২১ ভাগ।