১৮ মে ২০২৫, ২৩:০৩

ঢাবিতে ছায়া জাতিসংঘ সম্মেলনের দ্বাদশ অধিবেশন শুরু ২৯ মে

আসন্ন অধিবেশন উপলক্ষ্যে সংবাদ সম্মেলন আয়োজন ডিউমুনার  © টিডিসি

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছায়া জাতিসংঘ সংগঠনের (ডিউমুনা) উদ্যোগে ১২তম বারের মতো আয়োজিত হতে যাচ্ছে ৪দিনব্যাপী 'ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় জাতীয় ছায়া জাতিসংঘ সম্মেলন-২০২৫'। এবারের সম্মেলনের মূল প্রতিপাদ্য বিষয় হলো- 'আইনের শাসন ও বৈশ্বিক দৃষ্টান্তের রদবদল: ন্যায়, সমতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিতকরণ'। সংগঠনটির বর্তমান সভাপতি নওশিন ফাতমির নেতৃত্বে আগামী ২৯ মে বৃহস্পতিবার শুরু হয়ে এই সম্মেলন চলবে ১ জুন রবিবার পর্যন্ত।

রবিবার (১৮ মে) বিকেল ৪টায় অধিবেশন উপলক্ষ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলন আয়োজন করে আয়োজক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছায়া জাতিসংঘ সংগঠন। যেখানে বিভিন্ন গণমাধ্যমের সাংবাদিকবৃন্দের উপস্থিতিতে ডানমান-২০২৫ এর বিস্তারিত তুলে ধরা হয়।

আয়োজকরা জানান, দক্ষিণ এশিয়ার বৃহত্তম ছায়া জাতিসংঘ সম্মেলনের এবারের অধিবেশনে অংশগ্রহণ করবেন সারা দেশের বিভিন্ন স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আসা ৫০০ জনেরও বেশি প্রতিনিধি। এছাড়া পার্শ্ববর্তী অন্যান্য দেশগুলো থেকেও বেশকিছু সংখ্যক শিক্ষার্থী এই সম্মেলনে অংশগ্রহণ করবেন। 

আরও পড়ুন: পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে রাখছেন সাত কলেজ শিক্ষার্থীরা

সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনটির সভাপতি নওশিন ফাতমি মোট ১১টি কমিটির কথা উল্লেখ করেন, যেখানে ৬টি কমিটি এবার নতুন করে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এই কমিটিগুলো হলো: জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ষষ্ঠ কমিটি, জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদ ১৫৪০ কমিটি, জাতিসংঘের অফিস অন ড্রাগস এন্ড ক্রাইম, জাতিসংঘের নারীর মর্যাদাবিষয়ক কমিশন, গ্লোবাল এনভায়রনমেন্ট ফ্যাসিলিটি, মিনিস্ট্রি অব ফরেন অ্যাফেয়ার্স।

সংবাদ সম্মেলনে সভাপতি নওশিন ফাতমি বলেন, প্রতিবারই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আয়োজিত এই সম্মেলন থেকে সকলের ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টার মাধ্যমে একটি ইতিবাচক ভবিষ্যতের বার্তা দেয়ার চেষ্টা করি। সেই ধারাবাহিকতায়- নিত্য পরিবর্তিত বিশ্বে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা মাধ্যমে বৈষম্যের অবসান ঘটিয়ে সকলের ন্যায্য অধিকার নিশ্চিতকরণের লক্ষ্যে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠাকরণের ওপর গুরুত্ব আরোপ করা হবে আসন্ন এই সম্মেলনে।

সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক সালেহ্ অনাবিল বলেন, সম্মেলনে অংশ নেয়া শিক্ষার্থীরা আলোচনা করবেন গুরুত্বপূর্ণ নানা বৈশ্বিক সমস্যাবলি নিয়ে। এর মাধ্যমে তরুণ শিক্ষার্থীরা তাদের কূটনৈতিক ও যোগাযোগ দক্ষতা এবং উপস্থিত বক্তৃতার মতো গুণের বিকাশ ঘটাতে পারবে বলে মনে করি।

আরও পড়ুন: জাতির স্বার্থে সাম্য হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটনের দাবি ঢাবি উপাচার্যের

সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন ডিইউমুনার সাধারণ সম্পাদক সালেহ বিন অনাবিল, সহসভাপতি নাজিফা আনজুম, প্রচার সম্পাদক তাহজিন মুনির এবং আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক স্বর্ণা সাহা।

প্রসঙ্গত, ২০১১ সালে যাত্রা শুরু করা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যতম সক্রিয় এই সংগঠনটি ২০১২ সাল থেকে প্রতিবছর অত্যন্ত সাফল্যের সাথে শিক্ষামূলক এই অধিবেশনের আয়োজন করে আসছে। বৈশ্বিক বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ও জটিল সমস্যা নিয়ে আলোচনা, বিতর্ক ও সমাধান প্রণয়নের মাধ্যমে আগত শিক্ষার্থীরা নিজেদের পারদর্শিতা প্রমাণে সচেষ্ট থাকে চারদিনব্যাপী সম্মেলনে। তরুণ শিক্ষার্থীদের মধ্যে নেতৃত্বের বিকাশ, পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে অভিযোজন ও প্রযুক্তিগত দক্ষতা উন্নয়নের মাধ্যমে উৎপাদনশীল বিশ্বনাগরিক হিসেবে গড়ে তুলতে সহায়ক ভূমিকা রাখাই সংগঠনটির মূল লক্ষ্য। বিগত বছরগুলোর ধারাবাহিকতায় এবারও শিক্ষার্থীদের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ আয়োজনটিকে সাফল্যমণ্ডিত করবে বলে আশাপ্রকাশ করে সংগঠনটি।