বহিষ্কৃত ছাত্রলীগ নেতার প্ররোচনায় ‘শিবির অ্যাখ্যা’র অভিযোগ রাবি শিক্ষার্থীর

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়   © ফাইল ছবি

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) সনাতন ধর্মাবলম্বী এক শিক্ষার্থীকে হলের ছাদে নিয়ে বেধড়ক মারধর ও শিবির অ্যাখ্যা দিয়ে হত্যার হুমকির অভিযোগ ওঠেছিল হল শাখা ছাত্রলীগের এক নেতার বিরুদ্ধে। গত ১৬ মে মধ্যরাতে ঘটনাটি ঘটে বলে অভিযোগ করেছিলেনৈ ভুক্তভোগী ওই শিক্ষার্থী। তবে তিনিই এখন বলছেন ভিন্ন কথা।

তার দাবি, মারধরের বিষয়টি সত্য হলেও ‘শিবির অ্যাখ্যা’র বিষয়টি প্ররোচনামূলক ছিল। বহিষ্কৃত এক ছাত্রলীগ নেতার চাপে তিনি এমন মিথ্যা অভিযোগ করেছিলেন বলে জানিয়েছেন। মঙ্গলবার (২১ মে) রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর বরাবর দেওয়া লিখিত অভিযোগপত্রে এসব কথা জানান তিনি। এর কপি দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসের হাতে এসেছে।

ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী সবুজ বিশ্বাস বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী। তিনি হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী হলে দলীয় পরিচয়ে অবৈধভাবে থাকতেন বলে জানা গেছে। তিনি হল শাখা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতির (বহিষ্কৃত) অনুসারী ছিলেন। প্ররোচনাকারী বহিষ্কৃত ছাত্রলীগ নেতার নাম নিয়াজ মোর্শেদ। 

ভুক্তভোগী ছাত্র অভিযোগপত্রে উল্লেখ করেছেন, গত ১১ মে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এর পরিপ্রেক্ষিতে গত ১৬ মে হলের সহ-সভাপতি আতিকুর রহমানসহ ৮-১০ জন সবুজকে ডেকে হলের ছাদে নিয়ে জবাবদিহি ও মারধর করেন।

এ ঘটনার পর নিয়াজ মোর্শেদের প্ররোচনায় ফেসবুকে পোস্ট এবং শিবির বলে মারার কথা অভিযোগপত্র উল্লেখ করেন। এ ধরনের পোস্ট করা উচিত হয়নি বলে জানান তিনি। ভবিষ্যতে এ ধরনের কাজ থেকে বিরত থাকবেন বলেও উল্লেখ করেছেন।

আরো পড়ুন: ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি শ্রাবণের ওপর ছাত্রলীগের হামলা, হাসপাতালে ভর্তি

এ বিষয়ে সবুজ বিশ্বাস বলেন, ‘আমাকে হলের ছাদে মারধর করা হয়েছে ঠিকই। কিন্তু শিবির বলে হত্যার হুমকি দেয়নি। নিয়াজ মোর্শেদ ভাইয়ের কথায় অভিযোগপত্রে শিবিরের বিষয়টি আমি উল্লেখ করেছিলাম।’ বিষয়টি নিয়ে কথা বলতে নিয়াজ মোর্শেদের ফোনে একাধিকবার কল ও মেসেজ দিলেও তার সাড়া পাওয়া যায়নি। 

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. আসাবুল হক বলেন, আমার কাছে সবুজ বিশ্বাস লিখিত অভিযোগ জমা দিয়েছে। সে শহীদ হবিবুর রহমান হলের শিক্ষার্থী হয়েও অবৈধভাবে সোহরাওয়ার্দী হলে থাকতো। সে নিয়াজ মোর্শেদের কথায় ‘শিবির ট্যাগ দিয়ে হত্যা’র অভিযোগে এনেছিল। আমরা বিষয়টি নিয়ে প্রশাসনের সঙ্গে আলোচনা করব।


সর্বশেষ সংবাদ