যে রুটিন মেনে মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষায় প্রথম মিশোরী মুনমুন
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ১১ মার্চ ২০২২, ০৪:৫৮ PM , আপডেট: ১১ মার্চ ২০২২, ০৬:২৩ PM
চলতি বছরের মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষার এক মাসও বাকি নেই। শেষ সময়ে কীভাবে নিজেকে প্রস্তত করা যায় সেটি নিয়ে দুশ্চিন্তায় সময় পার করছেন ভর্তিচ্ছুরা। তবে শেষ সময়ে দুশ্চিন্তা না করে বারবার মূল বই রিভিশন দেয়ার পরামর্শ দিয়েছেন ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষে মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষায় প্রথম স্থান অধিকার করা পাবনা এডওয়ার্ড কলেজের শিক্ষার্থী মিশোরী মুনমুন।
দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসের পাঠকদের জন্য মিশোরী মুনমুনের সাক্ষাৎকারের চুম্বক অংশটুকু নিচে তুলে ধরা হলো-
পড়ার রুটিন: আমি রাত জাগতাম না। রাত ১১টার মধ্যেই ঘুমিয়ে যেতাম। এরপর খুব সকালে উঠে পড়তে পারতাম। পড়ালেখার রুটিন বলতে আমি একটি টার্গেট নিয়ে পড়তাম। সেই টার্গেট পূরণের চেষ্টা করতাম। টার্গেট পূরণ করতে পারলে আমি নিজেই নিজেকে পুরস্কার দিতাম। এছাড়া আমি পড়া জমিয়ে রাখতাম না।
পরীক্ষার প্রশ্নপত্র দাগাতে হবে ভেবে: ভর্তি পরীক্ষায় যেহেতু নেগেটিভ মার্ক রয়েছে তাই খুব সাবধানতার সাথে প্রশ্নের উত্তর দাগাতে হবে। এক্ষেত্রে প্রথমে যে প্রশ্নগুলোর উত্তর আপনি শতভাগ নিশ্চিত সেগুলো দাগাবেন। এরপর যেগুলো ৫০ শতাংশ শিওর থাকবেন সেগুলো পূরণ করতে পারেন। তবে আমি বলবো পুরোপুরি নিশ্চিত না হলে প্রশ্নের উত্তর না দাগানোই ভালো।
আরও পড়ুন: আল্লাহর উপর ভরসা করেছি, তিনি ফল দিয়েছেন—মেডিকেলে প্রথম মিশোরী
সেকেন্ড টাইম: যারা দ্বিতীয়বার ভর্তি পরীক্ষা দেবে তাদের হতাশ হওয়া যাবে না। কারণ এখন কেউ হতাশ হয়ে গেলে সে ঠিকভাবে প্রস্তুতি নিতে পারবে না। হতাশ না হয়ে চেষ্টা করে যেতে হবে। আর যারা প্রথমবার ভর্তি পরীক্ষা দেবে তাদের মূল বই ভালো করে পড়তে হবে। এছাড়া শিক্ষকরা যে পরামর্শ দেবে সেটি মেনে চলতে হবে।
আল্লাহকে স্মরণ করতে হবে: আমি তাহাজ্জুদের নামাজ পড়ার চেষ্টা করতাম। কেননা তাহাজ্জুদের সময় আল্লাহর কাছে কিছু চাইলে তিনি সেটি অবশ্যই দেন। সেটি যদি কখনো সম্ভব না হতো তাহলে ফজরের নামাজ পড়ে কোরআন তেলাওয়াত করতাম। এরপর কিছু জিকির করে পড়া শুরু করতাম।