পড়া মনে রাখার সহজ ৫ উপায়

প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি  © সংগৃহীত

প্রতিদিন আমরা কত কিছু পড়ি, মুখস্থ করি, পরীক্ষার জন্য প্রস্তুতি নিই। কিন্তু কিছুদিন পরই দেখা যায়—সব ভুলে গেছি! এই সমস্যা শুধু একজনের নয়, প্রায় সবার। কিছু কৌশল বা অভ্যাস মেনে চললে পড়া মনে রাখা সম্ভব। 

বুঝে পড়ুন:
যখন আমরা কোনো তথ্য বুঝে পড়ি, তখন সেটিকে বিশ্লেষণ করি, উদাহরণ খুঁজি, বাস্তব জীবনের সঙ্গে মিলিয়ে দেখি। এতে তথ্যটা শুধু মুখস্থ থাকে না, মস্তিষ্কের দীর্ঘমেয়াদি স্মৃতিতে স্থান পায়। প্রথমে,পড়ার বিষয়বস্তুকে ছোট ছোট অংশে ভাগ করে নিন। এরপর, প্রতিটি অংশের মূল বিষয়গুলো চিহ্নিত করে নিন এবং সেগুলোকে নিজেদের ভাষায় সহজ করে বোঝার চেষ্টা করুন। এছাড়া, পড়ার সময় প্রাসঙ্গিক উদাহরণ বা ঘটনার সাথে সম্পর্ক স্থাপন করলে তা মনে রাখতে সুবিধা হয়। এছাড়া শব্দ করে পড়লেও পড়া মনে থাকে বেশি। 

লিখে পড়ুন, নিজেকে শেখান:
যে বিষয়টি আপনি পড়ছেন, তা খাতায় নিজের ভাষায় লিখে ফেলুন। এতে আপনার মস্তিষ্ক তথ্যটিকে প্রসেস করে এবং নিজের মতো করে সংরক্ষণ করে। আরও একটি অসাধারণ কৌশল হলো—নিজেকে শিক্ষক ভাবা। মনে করুন, আপনি কাউকে বিষয়টি শেখাচ্ছেন। এতে আপনি গভীরভাবে চিন্তা করবেন এবং বিষয়টি নিজেই আরও ভালোভাবে শিখে ফেলবেন।

বিরতি নিয়ে রিভিশন:
বিশেষজ্ঞদের মতে, একটানা একটি বিষয় পড়ার চেয়ে বিরতি নিয়ে পুনরায় পড়লে তা  মস্তিষ্কে দীর্ঘ সময় স্থায়ী থাকে। জার্মান মনোবিদ হারমান এবিনঘসের মতে, যে কোনো কিছু পড়ার এক ঘণ্টা পর সেটির মাত্র ৪৪ শতাংশ আমাদের মনে থাকে। আরেকটি গবেষণায় এসেছে, মানুষ একবার যা পড়ে তার প্রায় ৭০% এক সপ্তাহের মধ্যেই ভুলে যায়—যদি না সেটি পুনরায় পড়া হয়। তাই আমাদের উচিত তাৎক্ষণিক রিভিশন না দিয়ে, একটু বিরতি দিয়ে একই বিষয় আবার পড়া। আরেকটি গবেষণায় এসেছে, মানুষ একবার যা পড়ে তার প্রায় ৭০% এক সপ্তাহের মধ্যেই ভুলে যায়—যদি না সেটি পুনরায় পড়া হয়। 

পর্যাপ্ত ঘুম:
যারা সারা রাত জেগে সকালে পরীক্ষা দিতে অভ্যস্ত, অনেক সময় দেখা যায় তাদের পরীক্ষা খারাপ হয়। কারণ পরীক্ষার হলে গিয়ে দেখেন যা পড়েছেন তার কিছুই মনে নেই। পর্যাপ্ত ঘুমের অভাবে এমন হয়। যুক্তরাষ্ট্রের নটর ডেম বিশ্ববিদ্যালয়ের মনোবিজ্ঞানী জেসিকা পেইনের এক গবেষণা থেকে জানা যায়, পড়াশোনার পর নির্দিষ্ট সময় ঘুমালে শেখা বিষয়গুলো মস্তিষ্কে আরও ভালোভাবে সংরক্ষিত হয়। আসলে ঘুমের সময় নিউরনের সংযোগ হয়, যা শেখা স্মৃতি গঠনে গুরুত্বপূর্ণ।

মেডিটেশন করুন:
মস্তিষ্ক তখনই ভালোভাবে কাজ করে, যখন মন চাপমুক্ত ও শান্ত থাকে। অতিরিক্ত চিন্তা ও মানসিক চাপ শেখার পথে বড় বাধা। এই অবস্থায় ধ্যান বা মেডিটেশন কার্যকর সমাধান হতে পারে, কারণ এটি মনকে স্থির করে এবং শেখার উপযোগী করে তোলে। মাত্র ১০ মিনিট সময় নিয়ে মনোযোগসহকারে শ্বাস-প্রশ্বাসের ব্যায়াম করলে মনোযোগ ও স্মৃতিশক্তি উল্লেখযোগ্যভাবে বাড়ে।


সর্বশেষ সংবাদ

×
  • Application Deadline
  • December 17, 2025
  • Admission Test
  • December 19, 2025
APPLY
NOW!
GRADUATE ADMISSION
SPRING 2026!
NORTH SOUTH UNIVERSITY
Center of Excellence