সবসময় ওষুধ নয়, হাঁটুর ব্যথা সারাতে পারেন ঘরোয়া উপায়েও

সবসময় ওষুধ নয়, হাঁটুর ব্যথা সারাতে পারেন ঘরোয়া উপায়েও
সবসময় ওষুধ নয়, হাঁটুর ব্যথা সারাতে পারেন ঘরোয়া উপায়েও  © সংগৃহীত

হাঁটুর ব্যথার সমস্যায় বয়স্করাই সাধারণত এ রোগে বেশি ভোগেন। কিন্তু শিশু বা তরুণরাও মোটে নিরাপদ নন। বিভিন্ন গবেষণায় বলা হয়েছে ঠান্ডা, আর্দ্র আবহাওয়ায় জয়েন্ট ব্যথা বৃদ্ধি পায়। কারও হাঁটু ব্যথা অল্প হয়, কারও বা বেশি। কোনো কোনো ক্ষেত্রে হাঁটুর ব্যথার জন্য অপারেশনেরও প্রয়োজন পড়ে। কিন্তু এই ব্যথা যদি আর্থাইটিস, আঘাত পাওয়া কিংবা সামান্য কারণে হয় তাহলে তা বাড়িতেই নিরাময় সম্ভব। 

সবসময় কড়া ওষুধ নয়, ঘরোয়া উপায়েও হাঁটু ব্যথা থেকে মুক্তি পেতে পারেন।

তেমনই কিছু উপায় দেখে নিন

আইস প্যাক
তিন-চার টুকরো বরফ টাওয়েলে জড়িয়ে হাঁটুর ঠিক যে জায়গায় ব্যথা হচ্ছে, সেখানে ১০-১৫ মিনিট চেপে ধরে রাখুন। খেলাধুলা ও দুর্ঘটনা থেকে হওয়া ব্যথায় বরফ প্রয়োগ করতে হবে।

 আইস প্যাক- তিন-চার টুকরো বরফ টাওয়েলে জড়িয়ে হাঁটুর ঠিক যে জায়গায় ব্যথা হচ্ছে, সেখানে ১০-১৫ মিনিট চেপে ধরে রাখুন।

ভিটামিন-সি
কোলাজেন উৎপাদনের জন্য ভিটামিন সি গুরুত্বপূর্ণ। কোলাজেন হাঁটুর কার্টিলেজের প্রধান উপাদান। এটি হাড়ের বৃদ্ধির জন্য জরুরি। ভিটামিন সি হাড় ক্ষয় ও হাড়ের ফ্র্যাকচার প্রতিরোধে কাজ করে।

ভিটামিন-ডি
হাড় ভালো রাখার জন্য ভিটামিন ডি খুব গুরুত্বপূর্ণ। ভিটামিন ডি-এর ঘাটতি হলে ফ্র্যাকচার ও হাড় ক্ষয়ের ঝুঁকি বাড়ে। শরীরের ক্যালসিয়াম শোষণের জন্যও এই ভিটামিন প্রয়োজন

দুধ
দু'কাপ দুধের সঙ্গে এক টেবিল চামচ বাদাম, আখরোটের গুঁড়ো ও সামান্য হলুদের গুঁড়ো ভালভাবে ফোটাতে হবে, যতক্ষণ না মিশ্রণের পরিমাণ অর্ধেক হচ্ছে। টানা দু'মাস দিনে একবার এই দুধ খেয়ে যেতে হবে।

 দুধ- দু'কাপ দুধের সঙ্গে এক টেবিল চামচ বাদাম, আখরোটের গুঁড়ো ও সামান্য হলুদের গুঁড়ো ভালভাবে ফোটাতে হবে, যতক্ষণ না মিশ্রণের পরিমাণ অর্ধেক হচ্ছে। টানা দু'মাস দিনে একবার এই দুধ খেয়ে যেতে হবে।

সাঁতার
হাঁটু ভালো রাখতে ও আর্থ্রাইটিসের সমস্যা কমাতে সাঁতার খুব উপকারী ব্যায়াম। এই ব্যায়াম হাড়কে শক্তিশালী রাখে, পাশাপাশি হাঁটুর জয়েন্টের আশপাশের পেশিকেও ভালো রাখে।

চলাফেরা করুন
যাঁদের হাঁটু ব্যথা আছে, তাঁরা কঠিন ব্যায়াম করবেন না। বরং ধীরে-সুস্থে এক জায়গায় ঘুরতে পারেন, এটা অনেক বেশি উপকারী।

খাবার
হাঁটুর প্রদাহ হলে ব্যথা তৈরি হয়, হাঁটু দুর্বল হয়ে পড়ে। এজন্য হাঁটু ভালো রাখতে প্রচুর প্রদাহরোধী খাবার খাওয়া প্রয়োজন। প্রদাহরোধী খাবারের মধ্যে রয়েছে কাঠবাদাম, মিষ্টি আলু, পালংশাক, ব্লুবেরি, অ্যাভাক্যাডো, আদা, রসুন, জলপাইয়ের তেল, স্যামন, ফ্ল্যাক্সিড ইত্যাদি।

আরও পড়ুন: বসন্তে ত্বকের যত্ন

ম্যাসাজ থেরাপি
হাঁটুর ব্যথা কমাতে এবং হাঁটুকে শক্তিশালী রাখতে ম্যাসাজ একটি চমৎকার উপায়। এটি রক্ত সঞ্চালন ভালো রাখে। এতে হাঁটু ভালোভাবে পুষ্টি পায়, হাঁটু শক্ত থাকে। ৩-৪ চামচ অলিভ অয়েল গরম করে ব্যথার জায়গায় আলতো হাতে ১০-১৫ মিনিট মালিশ করুন। দিনে দু'-তিনবার করতে হবে।

সেঁক দেওয়া
হাঁটুর যেখানে ব্যথা, সেখানে গরম- ঠান্ডা সেঁক দিন। হাঁটুতে সংক্রমণ বা প্রদাহ থাকলে গরম ভাপ দেওয়া যাবে না, কারণ তাতে সমস্যার তীব্রতা বাড়তে পারে। দীর্ঘমেয়াদি হাঁটুর ব্যথা যেমন- বাতের কারণে হওয়া ব্যথার নিরাময়ে গরম ভাপ দেওয়া অত্যন্ত কার্যকর। এতে ব্যথা অনেকটা কমে যাবে। হট ওয়াটার ব্যাগও ব্যবহার করতে পারেন। দিনে দু'-তিনবার করতে হবে।

অ্যাপেল সাইডার ভিনেগার
হাঁটুর ব্যথা কমাতে খুবই উপকারী অ্যাপেল সাইডার ভিনেগার। এক কাপ কুসুম গরম পানিতে দু’চামচ ভিনেগার ও কয়েক ফোঁটা মধু মিশিয়ে দিনে ৩-৪ বার খেলে ব্যথা কমবে। এ ছাড়াও অ্যাপেল সিডার ভিনেগারে অলিভ অয়েল মিশিয়ে ব্যথার জায়গায় লাগালেও উপকার পাবেন।

 আদা - রোজ চায়ের সঙ্গে আদা মিশিয়ে খান।

আদা 
আদা খেলে হাঁটুর ব্যথা অনেকটা কমে। দুইকাপ পানিতে হলুদ ও আদা ফুটিয়ে অর্ধেক করে নিন। এবার ওই মিশ্রণে এক চামচ মধু মিশিয়ে দিনে অন্তত দুইবার খেলে ব্যথা কমে যাবে। রোজ চায়ের সঙ্গে আদা মিশিয়ে খান।

হলুদ
এক কাপ দুধের সঙ্গে হলুদ আর আদা মিশিয়ে খেলেও হাঁটু ব্যথা নিরাময় হবে । তবে হাঁটু ব্যথার জন্য নিয়মিত ওষুধ খেলে হলুদ খাওয়া ঠিক নয়। 

অতিরিক্ত ওজনের কারণে অনেকসময় হাঁটু ব্যথা হয়। এজন্য ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখুন। এছাড়া হাঁটুর জন্য যেসব ব্যয়াম আছে সেইগুলি নিয়মিত করলে ব্যথা অনেকটা কমে যাবে। ব্যথা দীর্ঘদিন ভোগালে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।


সর্বশেষ সংবাদ