স্টামফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠানে নিয়োগ পেলেন রিফাত

নাফিজ ইমতিয়াজ রিফাত
নাফিজ ইমতিয়াজ রিফাত  © সংগৃহীত

স্টামফোর্ড ইউনিভার্সিটি থেকে যুক্তরাষ্ট্রের মিনিয়াপোলিস স্মিথ মেডিকেলে নিয়োগ পেয়েছেন নাফিজ ইমতিয়াজ রিফাত। তিনি প্রতিষ্ঠানটিতে সফটওয়্যার প্রকৌশলী হিসেবে ২০২০ সালে নিয়োগ পান। এর আগে তিনি প্রতিষ্ঠানটিতে ইন্টার্নশিপের করছিলেন। মূলত সেখান থেকেই ফুলটাইম চাকরির সুযোগ পান রিফাত।

রিফাত স্টামফোর্ড ইউনিভার্সিটি কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ৪৪তম ব্যাচের শিক্ষার্থী ছিলেন। রিফাতের গ্রামের বাড়ি যশোর জেলায়। তিনি স্টামফোর্ড ইউনিভার্সিটির সিএসসি বিভাগ থেকে স্নাতক শেষ করেছেন। পরবর্তীতে তিনি যুক্তরাষ্ট্রের নর্থ ডাকোটার নর্থ ডাকোটা স্টেট ইউনিভার্সিটি থেকে সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে স্নাতকোত্তর করেন।

No photo description available.

মাস্টার্স শেষ করার আগেই তিনি মিনিয়াপোলিস স্মিথ মেডিকেলে ইন্টার্নশিপের অফার পান। পরে মাস্টার্স শেষ করে প্রতিষ্ঠানটিতে ইন্টার্নশিপ শুরু করেন তিনি। ইন্টার্নশিপ শেষে একই প্রতিষ্ঠান থেকেই ফুল টাইম চাকরির অফারে সেখানে কাজ করেন। স্টামফোর্ড ইউনিভার্সিটির অনেক শিক্ষার্থীর কাছে রিফাত এখন অনুপ্রেরণার নাম।

নাফিজ ইমতিয়াজ রিফাত বলেন, ছোটবেলা থেকে আমার কম্পিউটার সায়েন্স নিয়ে পড়ার ইচ্ছা ছিল। এইচএসসি পাস করার পর সবার থেকে শুনি স্টামফোর্ড সিএসসির জন্য ভালো, তাই এখানে ভর্তি হই। স্টামফোর্ড থেকে স্নাতক শেষ করার পর বিভিন্ন মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানিতে তিন বছরের মত চাকরি করি। তারপর স্নাতকোত্তর করার জন্য  যুক্তরাষ্ট্রের নর্থ ডাকোটার নর্থ ডাকোটা স্টেট ইউনিভার্সিটিতে ভর্তি হই।

No photo description available.

তিনি বলেন, এখানে পড়াকালীন সময়েই আমার কাছে মিনিয়াপোলিস স্মিথ মেডিকেলে ইর্ন্টান করার সুযোগ আসে। এখন আমি এই প্রতিষ্ঠানে একজন সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে আছি। শুধু আমি নই এখানে আমাদের আরও অনেক শিক্ষার্থী রয়েছেন, যারা এখানে খুব ভালো পজিশনে আছেন।

No photo description available.

স্টামফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকেও রিফাতের কর্মজীবনের সাফল্য কামনা করা হয়েছে। প্রশাসন জানিয়েছে, রিফাতের এই অর্জনে তারা গর্বিত। তিনি দেশ-বিদেশে বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম উজ্জ্বল করছেন। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের বাকি শিক্ষার্থীদের জন্য একটা উদাহরণ। অনেক শিক্ষার্থী রিফাতকে নিজের অনুপ্রেরণা হিসেবে মনে করেন।


সর্বশেষ সংবাদ