পুলিশের মামলায় আবু সাঈদের মৃত্যুর কারণ আন্দোলনকারীদের ইটপাটকেল ও গুলি 

  © সংগৃহীত

আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর গুলিতে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থী মারা যাওয়ার কথা কোনো মামলায় স্পষ্ট বলা হয়নি। এমনকি রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র আবু সাঈদ প্রকাশ্যে পুলিশের গুলিতে নিহত হলেও মামলার এজাহারে তা এড়িয়ে যাওয়া হয়। উল্টো আন্দোলনকারীর ছোড়া গুলি ও ইটপাটকেলের নিক্ষেপে সাঈদ মারা গেছেন বলে মামলায় দাবি করা হয়েছে। বিভিন্ন থানায় দায়ের হওয়া অন্তত ৭০ মামলার এজাহার বিশ্লেষণ করে এসব তথ্য মিলেছে।

এদিকে কোটা সংস্কার আন্দোলনে সহিংসতার পর বিভিন্ন মামলায় যাদের আসামি করা হয়েছে, তাদের বেশির ভাগই বিএনপি-জামায়াতের নেতাকর্মী। রাজধানীতে দায়ের করা অনেক মামলায় বিএনপির অধিকাংশ শীর্ষ নেতার নাম রয়েছে। পাশাপাশি শত শত অজ্ঞাত ব্যক্তিকে মামলার আসামি হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। কয়েকটি মামলায় শিক্ষার্থীকেও করা হয়েছে আসামি।

এজাহার বিশ্লেষণ করে আরও জানা যায়, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ, জনগণ ও সরকারি সম্পদ রক্ষা করতে চায়নিজ রাইফেল ও শটগানের গুলি ছোড়ে পুলিশ। অনেক মামলার এজাহারে সাউন্ড গ্রেনেড, ফাঁকা গুলি, কাঁদানে গ্যাস নিক্ষেপের কথা বলা হয়। এসব মামলার বাদী পুলিশ এবং আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গসংগঠনের নেতা। 

কোটা সংস্কার আন্দোলনের নানা কর্মসূচি ঘিরে গত ২৪ ঘণ্টায় ঢাকায় আরও ১৪ মামলা হয়েছে। এ নিয়ে ঢাকা মহানগরের বিভিন্ন থানায় মামলার সংখ্যা ২৪৩। আর সারাদেশে মামলা হয়েছে অন্তত ৬০০। এ পর্যন্ত গ্রেপ্তার করা হয়েছে ১০ সহস্রাধিক মানুষকে। 

স্বজন ও বিভিন্ন হাসপাতাল সূত্র বলছে, আন্দোলন ও পরে সহিংসতার ঘটনায় সারাদেশে এ পর্যন্ত নিহত হয়েছেন ২০৮ জন। তবে সরকার এ পর্যন্ত ১৫০ জন নিহত হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। যদিও শনিবার আন্দোলনকারীরা ২৬৬ জন নিহতের তালিকা প্রকাশ করে। 


সর্বশেষ সংবাদ