মাধ্যমিকে কমেছে শিক্ষার্থী, বেড়েছে মাদ্রাসায়

মাধ্যমিকের শিক্ষার্থী
মাধ্যমিকের শিক্ষার্থী  © সংগৃহীত

দেশের মাধ্যমিক বিদ্যালয়গুলোতে বর্তমানে এক কোটি ১ লাখ ৯০ হাজার ২২ জন শিক্ষার্থী রয়েছে। ২০২০ সালে সেই সংখ্যা ছিলো ১ কোটি ২ লাখ ৫২ হাজারের বেশি। বাংলাদেশ শিক্ষাতথ্য ও পরিসংখ্যান ব্যুরোর (ব্যানবেইস) এই হিসাব মতে, গত বছরের তুলনায় এবছর শিক্ষার্থী কমেছে ৬১ হাজার ৯৭৮ জন। তবে কলেজ, মাদ্রাসা, কারিগরি ও বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীর সংখ্যা বেড়েছে।

ব্যানবেইসের মতে, মাদ্রাসায় ২০২০ সালে শিক্ষার্থী ছিলো ২৫ লাখ ৫৩ হাজার ৪৩৯ জন। ২০২১ সালে সেই সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৬ লাখ ৫৬ হাজার ৫৯৯ জনে। এছাড়া ২০২০ সালের তুলনায় কারিগরিতে বেড়েছে এক লাখ ৪০ হাজার ৫০৫ জন শিক্ষার্থী। বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ২০২০ সালে শিক্ষার্থী ছিলো ১১ লাখ ৭২ হাজার ৯০১ জন। ২০২১ সালে সেই সংখ্যা বেড়েছে। বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে শিক্ষার্থী রয়েছে ১২ লাখ ৩৩ হাজার ৫২৯ জন। কলেজ পর্যায়ে ২০২০ সালে শিক্ষার্থী ছিলো ৪৬ লাখ ৩৫ হাজার ১২১ জন। ২০২১ সালে এসে সেই সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪৮ লাখ ৭৩ হাজার ৬১৪ জনে।

দেশে মাধ্যমিক বিদ্যালয় আছে ২০ হাজার ২৯৪টি। গত একবছরে বেড়েছে ২০০টির মতো স্কুল। সরকারি হিসাবে এক বছরে শিক্ষার এই পর্যায়ে শিক্ষার্থীর সংখ্যা কমেছে ৬২ হাজার ১০৪ জন।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, শিশু শ্রম, বাল্যবিবাহ, এসএসসি ও এইচএসসিতে পাসের হার শতভাগ এবং পিইসি-জেএসসিতে পরীক্ষা না হওয়ায় মাধ্যমিকে শিক্ষার্থীর সংখ্যা কমেছে। বিপরীতে বেড়েছে উচ্চ শিক্ষা, মাদ্রাসা ও কারিগরিতে।

আরও পড়ুন- ‘টাকার অভাবে চিকিৎসা না পেয়ে মারা গেছে ভাই, তাই চিকিৎসক হতে চেয়েছি’

করোনার কারণে ২০২০ সালে পিইসি-জেএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়নি। যার কারণে এসব ক্লাসে উত্তীর্ণের হার ছিলো শতভাগ। ২০২১ সালে পিইসি-জেএসসির পরীক্ষা না হলেও এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষায় মাত্র তিনটি বিষয়ে পরীক্ষা হয়েছে। যে কারণে অন্যবছরের তুলনায় এই বছরও এসব পরীক্ষায় উত্তীর্ণের হার অনেক বেড়েছে। ফলে উচ্চ শিক্ষায় শিক্ষার্থীর সংখ্যা বেড়ে গেছে। এছাড়া করোনার দুই বছর বার্ষিক পরীক্ষা ছাড়াই শিক্ষার্থীরা ওপরের ক্লাসে ওঠার সুযোগ পেয়েছে। এসব কারণে মাধ্যমিকে শিক্ষার্থীর সংখ্যা বেড়েছে।

এসব বিষয়ে শিক্ষাবিদ অধ্যাপক ড. সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, শিক্ষার্থীর সংখ্যা বাড়া কমার চেয়েও গুরুত্বপূর্ণ তারা শিখছে কিনা। করোনার কারণে কিছুটা প্রভাব তো পড়েছেই। এখন আমাদের শিখন ঘাটতি পূরণের দিকে মনোযোগী হতে হবে।


সর্বশেষ সংবাদ