২৫ মে ২০২৫, ২০:৫৭

১২৬তম নজরুল জয়ন্তী: শুরু হলো দুই দিনব্যাপী অনুষ্ঠান

১২৬ তম নজরুল জয়ন্তী উদযাপন  © টিডিসি ফটো

‘মোরা বন্ধনহীন জন্ম-স্বাধীন, চিত্ত মুক্ত শতদল’- স্লোগানটিকে সামনে রেখে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়) শুরু হলো দুই দিনব্যাপী ১২৬তম নজরুল জয়ন্তী। অনুষ্ঠানে আলোচনা করা হয়, কবি নজরুলের সংগ্রামী আদর্শকে খুব ভালোভাবে ধারণ করে জুলাই আন্দোলনে তরুণ প্রজন্ম নতুন একটি দেশ উপহার দিয়েছে। 

রবিবার (২৫ মে) নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘গাহি সাম্যের গান’ মঞ্চে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. এস.এম.এ. ফায়েজ এই আয়োজনের উদ্বোধন করেন। 

আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে অধ্যাপক ড. এস. এম. এ. ফায়েজ বলেন, ‘জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম তার অল্প সময়ের মধ্যে এতো লিখা লিখেছেন যা বলে শেষ করার মতো নয়। 'মোরা বন্ধন-হীন জন্ম-স্বাধীন, চিত্ত মুক্ত শতদল৷' কবির লেখা এমন লক্ষ লক্ষ লাইন রয়েছে। তিনি ছিলেন দ্রোহের কবি, সংগ্রামের কবি, সাম্যের কবি, প্রেমের কবি। তাঁর বিচরণ ছিল বাংলা সাহিত্যের সবখানে। কবি নজরুলের সেই সংগ্রামী আদর্শকে খুব ভালোভাবে ধারণ করে জুলাই আন্দোলনে আমাদের তরুণ প্রজন্ম নতুন একটি দেশ উপহার দিয়েছে। তারা অনেক রক্ত ও প্রাণের বিনিময়ে এই নতুন বাংলাদেশ সৃষ্টি করেছে।’

আরও পড়ুন: গরমে ভাইরাস জ্বরের প্রকোপ, চিকিৎসা ও প্রতিরোধে করণীয়

এ সময় সভাপতির বক্তব্যে উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামকে ত্রিশালের সন্তান হিসেবেই সকলেই মনে করে। সেটার রিফ্লেকশন আমরা দেখতে পাই এই অঞ্চলে নজরুলের বিভিন্ন স্মৃতিচিহ্নে। ময়মনসিংহ তথা ত্রিশাল যেন নজরুলময় অঞ্চল।’

তিনি আরও বলেন, ‘কোলকাতায় যেমন বিশ্বভারতী, শান্তিনিকেতন হয়েছে, আমরা সরকারের ও বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের সহযোগিতায় এই নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়কে নজরুল নিকেতন হিসেবে যেন গড়ে তুলতে পারি, সেভাবে এগিয়ে যাব।’ 

আলোচনা সভার পূর্বে, সকাল ১১টায় নজরুল ভাস্কর্যে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন উপাচার্য এবং ইউজিসি চেয়ারম্যান। পরে তারা ‘গাহি সাম্যের গান’ মঞ্চে আলোচনা সভায় যোগ দেন। শুরুতেই বিশ্ববিদ্যালয়ের সংগীত বিভাগের শিক্ষার্থীরা পরিবেশন করেন নজরুল সংগীত ‘অঞ্জলি লহ মোর’।

দুপুর আড়াইটা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের পুরাতন প্রশাসনিক ভবনের তৃতীয় তলায় অনুষ্ঠিত হয় আন্তর্জাতিক নজরুল বক্তৃতামালা। এসময় বাংলাদেশ ও ভারতের শিক্ষক ও গবেষকেরা পাঁচটি প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন।পরিশেষে সন্ধ্যা ৭টায় ‘গাহি সাম্যের গান’ মঞ্চে অনুষ্ঠিত হয় আবৃত্তি, নৃত্য ও সংগীত পরিবেশনা।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, বিশেষ অতিথি ইউজিসির সদস্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ তানজীমউদ্দিন খান, বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. জয়নুল আবেদীন সিদ্দিকী, সিন্ডিকেট সদস্য ডা. মো. মাহবুবুর রহমান ও নজরুল ইনস্টিটিউট ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্য মো. জেহাদ উদ্দিন। কলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ ইমদাদুল হুদা, বিজ্ঞান ও প্রকৌশল অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. এ.এইচ. এম. কামাল, ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. সাখাওয়াত হোসেন সরকার, চারুকলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. তপন কুমার সরকার, আইন অনুষদের ডিন মুহাম্মদ ইরফান আজিজ, প্রক্টর ড. মো. মাহবুবুর রহমান, পরিচালক (ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা) ড. মো. আশরাফুল আলম এবং বাংলা বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ড. মো. হাবিব-উল-মাওলা (মাওলা প্রিন্স)। স্বাগত বক্তব্য দেন ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. মিজানুর রহমান।