নানা আয়োজনে ইবিতে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালিত
- ইবি প্রতিনিধি
- প্রকাশ: ২১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৭:০৭ PM , আপডেট: ২১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৭:৩৯ PM

একুশের প্রথম প্রহরে ভাষা শহিদদের স্মরণে শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ, আলোচনা সভা, বইমেলা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও দোয়া মোনাজাত সহ নানা আয়োজনে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে অমর একুশে ফেব্রুয়ারি ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালিত হয়েছে।
শুক্রবার (২১ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১০টায় ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ভবন চত্বর ও হল সমূহে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করে অর্ধনমিত ও কালো পতাকা উত্তোলন করা হয়। এরপরে অনুষদ ভবনের পূর্ব পার্শ্বে বাংলা মঞ্চ চত্বরে বইমেলার উদ্বোধন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. এম এয়াকুব আলী ও কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. জাহাঙ্গীর আলম।
পরবর্তীতে অমর একুশে ফেব্রুয়ারি ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস-২০২৫ পালন কমিটির আহ্বায়ক ও প্রক্টর অধ্যাপক ড. শাহীনুজ্জামানের সভাপতিত্বে এবং আরবি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের অধ্যাপক ড. রফিকুল ইসলামের সঞ্চালনায় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষ্যে আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।
এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য ও বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কোষাধ্যক্ষ। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন ধর্মতত্ত্ব অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. আ ব ম ছিদ্দিকুর রহমান আশ্রাফী এবং ছাত্র উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. ওবায়দুল ইসলাম, প্রভোস্ট কাউন্সিলের সভাপতি অধ্যাপক ড. শেখ জাকির হোসেন।
উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. এম এয়াকুব আলী বলেন, ‘এই ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়েও স্বাধীন বাংলাদেশেও একসময় শহীদ মিনার কেন তৈরি করা হলো এবং কেন শহীদ মিনারে ফুল দেওয়া হলো তা নিয়ে আমাদের শোকজ করা হয়েছে, শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘যেকোনো মাতৃভাষা একটি জাতিসত্তার মূল ভিত্তি এবং অস্তিত্বের নিদর্শন। একটা সময় বাংলা ভাষায় ইসলাম প্রচার এবং কোরআনের তর্জমা করাও নিষিদ্ধ ছিল। বিভিন্ন সময় বিভিন্ন শাসক, রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গ বাংলা ভাষাকে তুচ্ছ তাচ্ছিল্য করেছে। তবে বর্তমানে যদি বাংলা ভাষাকে তুচ্ছ তাচ্ছিল্য করা হয় তাহলে আমরা ৫২ নয়, ৭১ নয়, ২৪ নয় বরং এর চেয়েও কঠিনরূপে আবির্ভূত হবো।’