গবেষণা স্বচ্ছ ও মৌলিক হওয়া প্রয়োজন: নোবিপ্রবি উপাচার্য 

অনুষ্ঠানে বক্তব্য প্রদান করছেন নোবিপ্রবি  উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোঃ দিদারুল আলম
অনুষ্ঠানে বক্তব্য প্রদান করছেন নোবিপ্রবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোঃ দিদারুল আলম  © টিডিসি ফটো

গবেষণা স্বচ্ছ ও মৌলিক হওয়া প্রয়োজন। গবেষণায় এ দুটি গুণ থাকলেই তা মানুষের কাজে আসবে বলে মন্তব্য করেছেন নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোঃ দিদারুল আলম। 

মঙ্গলবার ( ৬ জুন) নোবিপ্রবি কেন্দ্রীয় লাইব্রেরির আয়োজনে শিক্ষা ও গবেষণার মান উন্নয়নের লক্ষ্যে টেক্সট সিমিলারিটি নির্ণয়ের প্লেগারিজম চেকার সফটওয়্যার  টার্নিটিন ফিডব্যাক স্টুডিও এবং অনলাইন ভিত্তিক  রিমোট এক্সেস সেবা চালুর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।  

উপাচার্য বলেন, শিক্ষা ও গবেষণা ক্ষেত্রে প্লেগারিজম চেকার সফটওয়্যার এবং রিমোট এক্সেস সেবার মাধ্যমে নোবিপ্রবি এক নতুন যুগে পদার্পণ করলো। আধুনিক এই সেবার মাধ্যমে আমাদের শিক্ষক এবং শিক্ষার্থীরা উপকৃত হবে। আমাদের অনেক গবেষক বিদেশে অবস্থান করছেন। তারাও আজ এই মাধ্যমের সঙ্গে যুক্ত হতে পারবেন। তাদের কাজগুলো সঠিকভাবে মূল্যায়িত হবে। একই সঙ্গে এ প্রযুক্তির সঠিক ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে। তবেই এর সুফল পাওয়া যাবে।

নোবিপ্রবির লাইব্রেরীয়ান সাখাওয়াত হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নোবিপ্রবি কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. নেওয়াজ মোহাম্মদ বাহাদুর। এ ছাড়াও আরও উপস্থিত ছিলেন নোবিপ্রবি শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. এস এম মাহবুবুর রহমান, প্রকৌশল ও প্রযুক্তি অনুষদের ডিন ড. মোঃ আশিকুর রহমান খান, বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. আতিকুর রহমান ভূইয়া, রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) ড. মুহাম্মদ আলমগীর সরকার, ডেপুটি লাইব্রেরিয়ান মুহাম্মদ সেলিম মিয়াসহ বিভিন্ন অনুষদের ডিন, ইনস্টিটিউটের পরিচালক, প্রভোস্ট, বিভাগীয় চেয়ারম্যান।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. নেওয়াজ মোহাম্মদ বাহাদুর বলেন, একটি নতুন দিগন্ত আজ উন্মোচিত হল। নোবিপ্রবির একাডেমিক সততা এবং গবেষণার গুণগতমান নিশ্চিতকরণে মাইলফলক হিসেবে বিবেচিত হবে এই প্লেজারিজম চেকার সার্ভিস। বিশেষ করে মাস্টার্সের শিক্ষার্থীদের জন্য এই প্রযুক্তি অনেক কাজে আসবে। এর ফলে অনেক মানসম্মত গবেষক সৃষ্টি হবে। সকলকে ধন্যবাদ। জয় বাংলা, বঙ্গবন্ধু।’

প্রসঙ্গত, প্লেগারিজম চেকার সেবার মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থী এবং গবেষকবৃন্দ তাঁদের মাস্টার্স, এমফিল এবং পিএইচডি থিসিস/ডিজার্টেশনসহ রিসার্চ আর্টিকেলসমূহের প্লেগারিজম সনাক্তকরণ, নির্ধারণ এবং নিয়ন্ত্রণ করতে পারবেন। যা প্রকৃত গবেষণা কর্মকে আরও উৎসাহিত ও অনুপ্রাণিত করবে। এছাড়াও গবেষণায় টেক্সট সিমিলারিটি প্রতিরোধে সচেতনতা বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। এর পাশাপাশি  টার্নিটিন ফিডব্যাক স্টুডিও শিক্ষার্থীদের শিক্ষা ব্যবস্থাপনা পদ্ধতি হিসেবে কাজ করবে। যার মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা তাদের কোর্স ওয়ার্কসমূহ জমা প্রদান ও মূল্যায়ন করতে পারবেন।


সর্বশেষ সংবাদ