ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়
ছাত্রলীগ নেত্রীদের বিরুদ্ধে মামলার প্রস্তুতি ফুলপরীর
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ০৭:০৮ PM , আপডেট: ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ১০:১১ PM
কুষ্টিয়ায় ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) নির্যাতনের শিকার প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী ফুলপরী খাতুন অভিযুক্ত ছাত্রলীগ নেত্রী সানজিদা চৌধুরী অন্তরার বিরুদ্ধে মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছেন বলে জানা গেছে। আগামীকাল বুধবার (১ মার্চ) কুষ্টিয়া জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট বা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে মামলা করা হবে।
আজ মঙ্গলবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় ফুলপরী ও তার বাবা মামলার প্রস্তুতি নেওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেন। এ জন্য ফুলপরী আজ মঙ্গলবার সারা দিন কুষ্টিয়া আদালতে ছিলেন বলে জানা যায়।
কুষ্টিয়া আদালতের আইনজীবী সিরাজ প্রমাণিক গণমাধ্যমকে জানান, মঙ্গলবার সকালে ফুলপরী তাঁর বাবা আতাউর রহমান, ভাই হজরত আলীকে সঙ্গে নিয়ে চেম্বারে আসেন। মামলার কাগজপত্র প্রস্তুত করা হচ্ছে। তবে মামলার আগে হাইকোর্টের আদেশের বিষয়টিও দেখা হবে।
ফুলপরীর বাবা আতাউর রহমান বলেন, নির্যাতনকারীদের পূর্ণাঙ্গ নাম-ঠিকানা সংগ্রহ, পেপার কাটিংসহ সাক্ষীদের নাম ঠিক করতে সময় লাগছে।
ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তুষার কান্তি রায় মঙ্গলবার বিচারপতি জে বি এম হাসান ও বিচারপতি রাজিক-আল-জলিলের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চে পৃথক দুটি তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন তুলে ধরেন। প্রতিবেদন উপস্থাপনের পর হাইকোর্ট আগামীকাল বুধবার আদেশের জন্য দিন ধার্য করে রেখেছেন।
প্রসঙ্গত, গত ১২ ফেব্রুয়ারি রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিন্যান্স বিভাগের প্রথম বর্ষের ছাত্রী ফুলপরী খাতুনকে দেশরত্ন শেখ হাসিনা হলের গণরুমে সাড়ে চার ঘণ্টা আটকে রেখে নির্যাতন করার অভিযোগ উঠে। নির্যাতনের সময় ফুলপরীকে বিবস্ত্র করে ভিডিও ধারণ, গালিগালাজ ও এই ঘটনা কাউকে জানালে মেরে ফেলার হুমকিও দেওয়া হয়। পরে ফুলপরী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর, হল প্রাধ্যক্ষ ও ছাত্র উপদেষ্টার কাছে এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগ দেন।
ফুলপরীকে নির্যাতনের করার প্রমাণ পাওয়ায় সোমবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি সানজিদা চৌধুরীসহ পাঁচজনের আসন বাতিল করে আগমী ০১ মার্চের মধ্যে হল ছাড়ার নির্দেশ দেয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
আসন বাতিল হওয়া বাকি শিক্ষার্থীরা হলেন- চারুকলা বিভাগের হালিমা আক্তার ঊর্মি, আইন বিভাগের ইসরাত জাহান মিম, ফিন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগের তাবাসসুম ইসলাম ও একই বিভাগের একই সেশনের মুয়াবিয়া জাহান।