ইউএপির ১০ম সমাবর্তনে স্বর্ণপদক পাচ্ছেন যারা

ইউনিভার্সিটি অব এশিয়া প্যাসিফিক
ইউনিভার্সিটি অব এশিয়া প্যাসিফিক  © ফাইল ফটো

উচ্চশিক্ষায় অনন্য মেধার স্বীকৃতি আচার্য স্বর্ণপদক এবং উপাচার্য স্বর্ণপদক পাচ্ছেন দেশের স্বনামধন্য বেসরকারি উচ্চ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ইউনিভার্সিটি অব এশিয়া প্যাসিফিকের (ইউএপি) ৬৪ শিক্ষার্থী। আগামীকাল শনিবার (০৪ মে) বিশ্ববিদ্যালয়টির ১০ম সমাবর্তন অনুষ্ঠানে হবে। সমাবর্তনে এসব শিক্ষার্থীদের আচার্য স্বর্ণপদক এবং উপাচার্য স্বর্ণপদক দেওয়া হবে।

জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়টির ১০ম সমাবর্তনে মোট ৯ জন শিক্ষার্থীকে আচার্য স্বর্ণপদক এবং ৫৫ জন শিক্ষার্থীকে উপাচার্য স্বর্ণপদক প্রদান করা হবে। এছাড়া এবারের সমাবর্তনে বিশ্ববিদ্যালয়টির স্নাতক ও স্নাতকোত্তরের মোট ৫ হাজার ৯৭৭ জন শিক্ষার্থীর হাতে সনদ তুলে দেয়া হবে।

আচার্য স্বর্ণপদকের জন্য মনোনয়ন পাওয়া শিক্ষার্থীরা হলেন- বিশ্ববিদ্যালয়টির ফার্মেসী বিভাগের শিক্ষার্থী সানজিদা আহমেদ, সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থী আদিব আসহাব অঙ্কন, কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড ইাঞ্জনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থী রেজিনা কাশেম এবং মাববুব এলাহি, ফার্মেসী বিভাগের শিক্ষার্থী তামান্না সরকার, সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থী মো. রমজান আলি, ফার্মেসী বিভাগের শিক্ষার্থী লামিয়া আলম, বিজনেস এডমিনিস্ট্রেশন বিভাগের শিক্ষার্থী আফিয়া আলম ও ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী গাজী সাজিদ হোসাইন।

বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, সমাবর্তনে অংশ নেয়া শিক্ষার্থীদের মধ্যে ৪ হাজার ২১৬ জন শিক্ষার্থী আন্ডারগ্র্যাজুয়েট এবং ১ হাজার ৭৬১ জন শিক্ষার্থী পোস্ট গ্র্যাজুয়েশন সম্পন্ন করেছেন।

আচার্য স্বর্ণপদক পাওয়া সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থী মো. রমজান আলী বলেন, স্বর্ণপদক প্রাপ্তির বিষয়টি এক অসাধারণ অনুভূতি। সৃষ্টিকর্তার নিকট শুকরিয়া, সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং ডিপার্টমেন্ট থেকে ৩.৯৯ সিজিপিএ নিয়ে আমি আমার ব্যাচেলর শেষ করেছি। এমন ফলাফল আমার ডিপার্টমেন্টের ইতিহাসে সর্বোচ্চ (যৌথভাবে)।

তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল ডিপার্টমেন্টের ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে ১ম স্থান অর্জন করা ছিল আমার বহুদিনের লালিত স্বপ্ন। আর এই স্বপ্ন পূরণের ক্ষেত্রে আমার শিক্ষকবৃন্দ, মা-বাবা এবং আমার অর্ধাঙ্গিনীর ভূমিকা ছিল অনস্বীকার্য। আমার এই অর্জনকে আমি প্রয়াত বন্ধু শিখন শাহীকে উৎসর্গ করতে চাই।

১০ম সমাবর্তন নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. কামরুল আহসান বলেন, মেধাবী শিক্ষার্থীদের পদক দেয়ার বিষয়টি আমাদের জন্য গর্বের। এই সমাবর্তনে আমাদের ৯ জন শিক্ষার্থীকে আচার্য স্বর্ণপদক এবং ৫৫ জন শিক্ষার্থীকে উপাচার্য স্বর্ণপদক প্রদান করা হবে। এবারের সমাবর্তন অনেক দিন পরে অনুষ্ঠিত হওয়ায় পদকপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের সংখ্যা কিছু বেশি।

উপাচার্য বলেন, শিক্ষার্থীদের ভালো ফলাফলের পেছনে অন্যতম কারিগর হিসেব কাজ করেন শিক্ষকরা। সে জায়গা থেকে এখানে আমরা আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে বেশি পরিমাণ দক্ষ শিক্ষক নিয়োগ দিয়েছি। একইরকম আমরা আগের চেয়ে অনেক বেশি সুসংগঠিত। ভালো ফলাফল করার জন্য উন্নত শিখন পদ্ধতির ব্যবহার, আউটকাম বেজড্ এডুকেশন নিশ্চিত এবং শিক্ষার্থীদের পরীক্ষা ভীতি কমিয়ে আনতে নানারকম পদক্ষেপ নিচ্ছি।

 

সর্বশেষ সংবাদ