কালচারাল প্রতিযোগিতায় দেশসেরা ইউল্যাব, রানার্সআপ স্টামফোর্ড
- স্টামফোর্ড প্রতিনিধি
- প্রকাশ: ২২ অক্টোবর ২০২৩, ০৯:০০ AM , আপডেট: ২৩ অক্টোবর ২০২৩, ১১:৪৯ AM
দেশের বিভিন্ন পাবলিক ও প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়কে হারিয়ে আন্ডারগ্র্যাড কনফারেন্স এবং কালচারাল কনটেস্টে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে ইউনিভার্সিটি অফ লিবারেল আর্টস বাংলাদেশ (ইউল্যাব) এবং রানার্সআপ হয়েছে স্টামফোর্ড ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ। কনটেস্টটি প্রতি বছরের ন্যায় এবারও আয়োজন করে ইউল্যাব’র ইংরেজি বিভাগে।
২০ অক্টোবর শেষ হওয়া এই কনটেস্টের বিষয় ছিলো "Gender: The Binary and Beyond"। ইউনিভার্সিটি অব লিভারেল আর্টসের এই আয়োজেনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, নর্থ সাউথ, এ আই ইউ বি, চিটাগং ইউনিভার্সিটি, ইস্টার্ন ইউনিভার্সিটির মতো দেশের প্রথম সারির পাবলিক ও প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় অংশ নেয়।
রানার্সআপ বিশ্ববিদ্যালয়টির দলনেতা ইংরেজি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক জাকিয়া নুর মিতু বলেন, গত ২ বছর ধরে ইংরেজি বিভাগের পক্ষ থেকে আমি কালচারাল টিম নিয়ে প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে প্রতিনিধিত্ব করে আসছি। এবারে আমন্ত্রণ পাবার পরই মাথায় একটা স্ক্রিপ্টের চিন্তা আসে যেটা হলো মহাভারতের শিখণ্ডিনীকে নিয়ে, " The Voice of Shikhondini"।
তিনি বলেন, হিস্ট্রি চ্যানেল আয়োজিত মাসিক হিস্ট্রি কনটেস্টের এবারের প্রতিযোগীরা হলেন মহাভারতের সেই সব ট্র্যাজিক চরিত্র যারা মহাযুদ্ধে অংশগ্রহন করে বিসর্জন দিয়েছিলেন অনেক কিছু। একে একে তারা মঞ্চে এসে তাদের অবদানের কাহিনী বলবেন আর বিচারক বলবেন তাদের অ্যাচিভমেন্টের কথা। বিচারক যদি না পারেন তখন দর্শক সারি থেকে আমন্ত্রণ জানানো হবে। শেষ পর্যন্ত ট্র্যাজিক হিরো ক্রাউন জয়ী হয় শিখন্ডিনী।
তিনি আরও বলেন, একে একে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, নর্থ সাউথ, এআইইউবি, চিটাগং ইউনিভার্সিটি, ইস্টার্ন ইউনিভার্সিটিকে টপকে রানার্সআপ পজিশন জয় করলো স্টামফোর্ড। এটা ছিলো ইংরেজি বিভাগ ও সাহিত্য ফোরামের একটা অসাধারণ টীম ওয়ার্কের ফল যা সাফল্য এনে দিয়েছে।
এই বিষয়ে প্রধান চরিত্রে ছিলেন সবুজ খান। তিনি স্ট্রে বার্ড ফোরামের সভাপতি ও স্টামফোর্ডের ইংরেজি বিভাগের ৬৮তম ব্যাচের শিক্ষার্থী। এই বিষযে তিনি বলেন, আমরা পেরেছি, আমাদের নির্দেশনা সাকিরা ম্যামের সহায়তার সাথে আমাদের চেয়ারম্যান স্যারের অনুপ্রেরণা; সব সাথে নিয়েই আমরা এগিয়ে গিয়েছি। অবশেষে আমরা রানারআপ হওয়ার গৌরব অর্জন করি।
ইংরেজি বিভাগের এই অর্জনে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা আনন্দ প্রকাশ করেন। স্টামফোর্ড ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশের শিক্ষার্থীরা সামনে আরও এরকম অনেক গৌরব বয়ে আনবে বলে প্রত্যাশা তাদের।