ধর্ষক রবিউল মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চেরও সভাপতি

রবিউল ইসলাম
রবিউল ইসলাম  © টিডিসি ফটো

সিলেটের এমসি কলেজ ছাত্রাবাসে ধর্ষণের ঘটনায় নয়জনকে আসামি করে মামলা হয়েছে। এর মধ্যে ছয়জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। যাদের নাম উল্লেখ করা হয়েছে তাঁরা সবাই ছাত্রলীগের কর্মী হিসেবে পরিচিত। তাদের একজন রবিউল ইসলাম (২৫)। তিনি ওই কলেজের মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের সভাপতিরও দায়িত্ব পালন করছেন।

গত বছরের ৯ ডিসেম্বর সংগঠনটির কেন্দ্রীয় আহবায়ক অধ্যাপক ড. আ ক ম জামাল উদ্দিন ওই শাখার আংশিক কমিটির কমিটির অনুমোদেন দিয়েছিলেন। এতে সভাপতি হিসেবে রবিউল ইসলাম এবং সাধারণ সম্পাদক হিসেবে সোহেব মামুন নির্বাচিত হয়েছিলেন।

এমসি কলেজ মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের কমিটি

জানা যায়, শুক্রবার সন্ধ্যায় স্বামীকে সঙ্গে নিয়ে এমসি কলেজে বেড়াতে আসেন ওই তরুণী। ক্যাম্পাস থেকে ছাত্রলীগের কর্মীরা মিলে স্বামীসহ ওই তরুণীকে তুলে নেয় কলেজ ছাত্রাবাসে। পরে তারা স্বামীকে বেঁধে মারধর করে ওই গৃহবধূকে ধর্ষণ করে। খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে তাদের উদ্ধার করে। রাতেই ওই তরুণীর স্বামী বাদী হয়ে শাহপরাণ থানায় মামলা করেছেন। মামলায় এজাহার নামীয় আসামি করা হয়েছে ছয়জনকে। সেই সঙ্গে অজ্ঞাতনামা আরও ২/৩ জনকে আসামি করা হয়েছে। 

এদিকে, আজ শনিবার এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে সিলেট জেলা শাখা মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ জানিয়েছে, এমসি কলেজে সংগঠনের কোন কমিটি দেয়া দেয়া হয়নি। সংগঠন থেকে বহিষ্কৃত অধ্যাপক ড. আ ক ম জামাল উদ্দিন মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের নাম ব্যবহার করে এমসি কলেজে ভুয়া কমিটি দিয়ে মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের ভাবমূর্তি নষ্ট করছে। 

প্রেস বিজ্ঞপ্তি

প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, প্রকৃতপক্ষে মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের সঙ্গে বহিষ্কৃত অধ্যাপক ড. আ ক ম জামাল উদ্দিনের কোন সর্ম্পক নেই। তার দেয়া কোন কমিটির বৈধতা নেই। এটি সম্পূর্ণ ভুয়া ও গুজব। এমসি কলেজে মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের কোন কমিটি নেই।

এদিকে, ধর্ষণ মামলার ৫ নম্বর আসামী রবিউল ইসলাম নিজেকে নির্দোষ দাবি করেছেন। আজ শনিবার সকাল ১১টার দিকে ফেসবুকে তিনি লেখেন, ‘‘সম্মানিত সচেতন নাগরিকবৃন্দ, আমি রবিউল হাসান। আমি এমসি কলেজের একজন শিক্ষার্থী। আপনারা অনেকেই চেনেন, আমি কেমন মানুষ তা হয়তো অনেকেই জানেন। গতকাল এমসি ছাত্রাবাসে গণধর্ষণের সাথে কে বা কারা আমাকে জড়িয়ে অনেক অনলাইন নিউজ করিয়েছেন। আমি এমসি কলেজ ছাত্র, কিন্তু আমি হোস্টেলে কখনই ছিলাম না, আমি বাসায় থেকে পড়াশোনা চালিয়ে যাচ্ছি। আপনাদের সকলের কাছে অনুরোধ করছি, আমি যদি এই নির্মম গণধর্ষণের সাথে জড়িত নই। আমাদের পরিবার আছে। যদি আমি এই জঘন্য কাজের সাথে জড়িত থাকি; তা হলে প্রকাশে আমাকে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়া হোক। আমি কোনোভাবেই এই কাজের সাথে জড়িত নই। সবার কাছে বিনীত অনুরোধ করছি সত্য না জেনে আমাকে এবং আমার প্রাণের সংগঠন ছাত্রলীগের নাম কোনো অপপ্রচার করবেন না। এমসি কলেজ ছাত্রাবাসে গণধর্ষণকারী সকল নরপশুদের গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি।’’


সর্বশেষ সংবাদ