চকলেট ডে আজ

শরীর-মন চাঙ্গা রাখতেও চকলেটের উপকারিতা অনেক

ভালোবাসার সপ্তাহ চলছে
ভালোবাসার সপ্তাহ চলছে  © সংগৃহীত

আসছে ভালোবাসার সপ্তাহ। ভ্যালেন্টাইনস সপ্তাহের তৃতীয় দিন আজ ৯ ফেব্রুয়ারি পালিত হয় চকলেট ডে। ফলে চকলেটের বিক্রি বাড়তে চলেছে হু হু করে। প্রেমের দিনের উপহার হিসেবে কোকো বিন দিয়ে তৈরি নানান রকমের চকলেট প্রেমের উদ্দীপক হিসেবে কাজ করে।

মন মেজাজ ফুরফুরে রাখে চকলেট, বাড়ায় রোম্যান্স। তবে এখানেই শেষ না, চকলেট স্বাস্থ্যের জন্যও খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ছোটোবেলায় চকলেট বেশি খাওয়ায় গুরুজনদের চোখ পাকানো সহ্য করতে হলেও, নিয়মিত ও নিয়ন্ত্রিত চকলেট খাওয়ার বেশ কয়েকটি উপকার রয়েছে।

মন মেজাজ চনমনে রাখে
চকলেট মানেই মন ফুরফুরে। চকলেটে থাকে অ্যানান্ডামাইড! সুতরাং চকলেটের মধ্যেই লুকিয়ে রয়েছে ‘আনন্দ’। চকলেটে রাসায়নিক যৌগ ফেনাইলেথাইলামাইনও (পিইএ) থাকে, যা আমাদের ভালবাসার অনুভূতিকে বাড়িয়ে তোলে। চকলেটে থাকা ক্যাফিনও উদ্দীপক হিসাবে কাজ করে এবং কফির মতোই মন চাঙ্গা করে। দু’টিই কোকো বিনস থেকে তৈরি।

মানসিক চাপ কমায়
গবেষণায় প্রমাণিত যে চকলেট তৈরিতে ব্যবহৃত কোকোতে থাকা পলিফেনল মানসিক চাপ কমাতে পারে। ডার্ক চকলেট এবং মিল্ক চকলেট দু’টিতেই এই ধরনের পলিফেনল থাকে। চকলেটে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্টগুলি ফ্রি র‌্যাডিক্যালের কারণে সৃষ্ট অক্সিডেটিভ ক্ষতি হ্রাস করে আমাদের মানসিক চাপ কমায়। ডার্ক চকলেটে মিল্ক চকলেটের চেয়ে বেশি মাত্রায় ফ্ল্যাভানল থাকে।

মস্তিষ্কের জন্য উপকারী
চকলেটে রয়েছে ফ্ল্যাভানল, যার মধ্যেকার অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট অণু আমাদের মস্তিষ্কের কার্যকারিতা বজায় রাখতে সাহায্য করে। ফ্ল্যাভোনল মস্তিষ্কের নিউরনকে রক্ষা করে এবং স্মৃতি ও কিছু শেখার ক্ষমতাকে বাড়ায়। বয়স্কদের ক্ষেত্রেও চকলেট মানসিক নানা সমস্যা থেকে রক্ষা করে এবং আলঝাইমার্সে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা কমায়।

হার্টের স্বাস্থ্য রক্ষা করে
গবেষণা বলছে, ডার্ক চকলেট খেলে করোনারি হার্ট ডিজিজ এবং স্ট্রোকের মতো কার্ডিওভাসকুলার রোগের (সিভিডি) ঝুঁকি কমতে পারে। চকলেট উচ্চ রক্তচাপ কমায়। উচ্চ রক্তচাপের কারণে ধমনী সরু হয়ে যায় এবং হার্ট অ্যাটাকের সম্ভাবনাও বেড়ে যায়, ফলে করোনারি হার্ট ডিজিজের সম্ভাবনা দেখা দেয়। ডার্ক চকলেট আমাদের রক্তনালীকে প্রসারিত রাখে এবং স্বাভাবিক রক্ত ​​প্রবাহে সাহায্য করে।

কিডনিকে রক্ষা করে
ডার্ক চকোলেট আমাদের কিডনির স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী। ডার্ক চকলেটে থাকা ফ্ল্যাভানল রেনাল টিস্যু অক্সিজেনেশন বজায় রাখতে সাহায্য করে যা কিডনির কার্যকারিতার জন্য অপরিহার্য।

সূত্র: নিউজ১৮ বাংলা


সর্বশেষ সংবাদ