১১০ বছর বয়সেও খালি চোখে করেন কোরআন তেলাওয়াত

১১০ বছর বয়সেও খালি চোখে কোরআন তেলওয়াত করেন নুরন্নবী মিয়া
১১০ বছর বয়সেও খালি চোখে কোরআন তেলওয়াত করেন নুরন্নবী মিয়া  © সংগৃহীত

১১০ বছর বয়সেও খালি চোখে করেন কোরআন তেলওয়াত। নিয়মিত নামাজ পড়েন। নিজে হেঁটে মসজিদে যান এই বয়সেও। চশমা ছাড়াই সবকিছু খালি চোখে স্পষ্ট দেখতে এবং পড়তে পারেন। রংপুরের কাউনিয়া উপজেলার হারাগাছের কসাইটারী ডাক্তারপাড়া গ্রামের মৃত নজর উদ্দিন কাগজিয়ার ছেলে নুরন্নবী মিয়া।   

এলাকাবাসী জানান, ভোটার আইডি কার্ডের হিসাব অনুযায়ী নুরন্নবী মিয়ার বয়স জাতীয় পরিচয়পত্র অনুযায়ী তার জন্ম ১৯১০ সালের ২১ নভেম্বর (১১০)। কিন্তু তার বয়স ১১৫-১২০ বছর হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। তার সমবয়সী ওই এলাকাতে আর কেউ বেঁচে নেই। তার চেয়ে বয়সে যারা ৩০-৪০ বছরের ছোট, তাদের অনেকের চোখেই চশমা। তাদের কেউ কেউ আবার পত্রিকা, বই পড়া তো দুরের কথা, চোখে চশমা দিয়েও চলাফেরা করতে পারেন না। অথচ এখনও  চশমা ছাড়াই খালি চোখে পবিত্র কোরআন শরীফ পড়তে পারেন তিনি।

নুরন্নবী মিয়া বলেন, ব্রিটিশ শাসন, পাকিস্তানি শোষণ আর বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রাম দেখেছেন। বয়সের ভারে শত বছরের অনেক স্মৃতিই এখন তিনি ভালো করে বলতে পারেন না। ছোটবেলা থেকেই হেঁটে চারদিক ছুটেছি। যুবক বয়সে ব্যবসা-বাণিজ্যের কাজে বেশিরভাগ সময় বিভিন্ন জায়গায় হেঁটে যাতায়াত করেছি।

আরও পড়েন: পরিত্যক্ত সিনেমা হল এখন ক্যাডেট মাদ্রাসা, শিক্ষার্থী ১২০ জন

তিনি আরও বলেন, যুবক বয়সে যেসব খাবার খেয়েছি, তার সবই ছিল ভেজালমুক্ত। নিজেদের বাড়ির গরুর দুধ, ডিম, খেতের শাক-সবজি, পুকুরের মাছ, সরিষার তেল, ঢেঁকি ছাটা চালের ভাত কত স্বাদ ছিল। সব খাবার ছিল একদম নির্ভেজাল। আর এখন সবই ভেজাল। এখন মানুষের মধ্যে ভেজাল, খাবারে ভেজাল, ওষুধে ভেজাল, আমাদের চারপাশটাই যেন ভেজালে পরিণত হয়েছে। এ কারণে মানুষের রোগবালাইও কমছে না। অথচ এই বয়সেও আমার কোনো অসুখ-বিসুখ নেই। আল্লাহর রহমতে ভালো আছি। মাঝে মধ্যে একটু জ্বর-সর্দি হয়। এছাড়া তেমন বড় কোনো সমস্যা হয়নি।

নুরন্নবী মিয়া জানান, এখন ৬০ বছর বয়স হলেই আমাদের দেশের মানুষ মৃত্যুর প্রহর গুনতে শুরু করে। শুরু হয় নানা রোগবালাই। অনেকে হাঁটতেও পারেন না। কিন্তু আল্লাহর অশেষ রহমতে আমি এখনও প্রতিদিন ফজরের নামাজ পড়ি। ভোর থেকে খালি চোখেই পবিত্র কোরআনও পড়ে থাকি। কোরআন তেলাওয়াতের কারণে আল্লাহ আমাকে এখনও খালি চোখে সব কিছু দেখার শক্তি দিয়েছেন। আমার চোখে কোনো সমস্যা নেই। শুধু কানে একটু কম শুনতে পাই।


সর্বশেষ সংবাদ