স্কুলে হিজাব বিতর্ক: ষড়যন্ত্রের অভিযোগে গ্রেপ্তার ২

গ্রেফতার দুইজন
গ্রেফতার দুইজন   © সংগৃহীত

নওগাঁয় স্কুল শিক্ষকের বিরুদ্ধে হিজাব নিয়ে গুজব ছড়িয়ে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্টের অপচেষ্টার অভিযোগে দু’জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। শুক্রবার (১৫ এপ্রিল) মহাদেবপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আজম উদ্দিন মাহমুদ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন । পরে তাদেরকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়।

বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে নওগাঁ শহরের বইপট্টি ও কুশারসেন্টার এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদেরকে গ্রেফতার করে পুলিশ। গ্রেফতাররা হলেন- মহাদেবপুর উপজেলার কিউ এম সাঈদ টিটো (৫৫) ও কুশারসেন্টার পাড়ার কাজী সামছুজ্জোহা মিলন (৪৫)।

ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আজম উদ্দিন মাহমুদ জানান, গত ৯ এপ্রিল উপজেলার দাউল বারবাকপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক আমোদিনী পাল থানায় মামলা করেছেন। এরপর এই দুই আসামিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। 

আরও পড়ুন : ফেসবুকে চাকরি পেলেন খুবি শিক্ষার্থী সালেহীন

ঘটনার সূত্রপাত ৬ এপ্রিল। ওইদিন নিয়মিত প্যারেড ও জাতীয় সংগীত শেষ করার পর কয়েকজন ছাত্র-ছাত্রীকে দাঁড় করান স্কুলের সহকারী প্রধান শিক্ষক আমোদিনী পাল, শারীরিক শিক্ষার শিক্ষক বদিউল আলম এবং শিক্ষক সুনিতা রাণী মণ্ডল।

স্কুল ড্রেস পরে না আসায় ছাত্রীদের হাতে বেত্রাঘাত করেন আমোদিনী পাল ও ছাত্রদের শাস্তি দেন বদিউল আলম। এসময় তারা শিক্ষার্থীদের ভৎর্সনা করেন। শাস্তি পাওয়া ছাত্রীদের মধ্যে হিন্দু ছাত্রীও ছিলেন। দুইজন শিক্ষক শাস্তি দিলেও শুধু আমোদিনী পালের বিষয়টিই ভাইরাল হয়।

ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী উম্মে সুমাইয়া বলেন, আমরা স্কুল ড্রেসের সঙ্গে হিজাব পরে ছিলাম। ম্যাডাম এসে বলল, তোমরা হিজাব পরে আসো কেন? আমাদের মাস্ক ধরে টানাটানি করেছিল। মাস্ক খুলে দিল, হিজাব ধরে টানাটানি করেছিল। যারা যারা হিজাব পরেছিল সবাইকে মেরেছে।

বলছে যে তোমরা হাজিগিরি করতে আসছ, ঘরের ভেতর গিয়ে বোরখা পরে থাকো। স্কুলে পর্দা করা যাবে না, মাথায় কাপড় দেয়া যাবে না। শুধু স্কুল ড্রেস পরে আসবে। হিজাব পরবে না, এই বলে আমাদের হিজাব ধরে টানাহেঁচড়া করেছে। মোটা কঞ্চি দিয়ে অনেক মেরেছে। যারা হিন্দু ছিল তাদের এক সাইডে নিয়ে আমাদের বলেছে, তোমরা ওদের মতো করে আসবে। প্রায় একই ধরনের অভিযোগ করেন অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থী সাদিয়া আফরিনও। ভিডিও ভাইরালের পরের দিন স্কুলে হামলার ঘটনা ঘটে।


সর্বশেষ সংবাদ