সনদপত্রের জন্য শিক্ষার্থীদের অফিস ঘেরাও

  © সংগৃহীত

টাঙ্গাইলের ঘাটাইলের সাগরদিঘি উচ্চ বিদ্যালয়ের অফিসকক্ষ অবরোধ করেছে শিক্ষার্থীরা। তাদের অভিযোগ বার বার বিদ্যালয়ে গিয়েও এসএসসি ও জেএসসি সনদপত্র পাচ্ছেনা। আজ শনিবার ( ৯ অক্টোবর) দুপুরে প্রায় ঘন্টাব্যাপী অবরুদ্ধ করে রাখেন শিক্ষার্থীরা।

স্থানীয় সূত্র থেকে জানা গেছে, ২০১৫-১৬ ও ২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষের এসএসসি পাশ করা প্রায় অর্ধ শতাধিক শিক্ষার্থী সকাল ১১টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত অফিসকক্ষ অবরোধ ঘেরাও কর্মসূচি পালন করে। প্রায় ৩ শতাধিক শিক্ষার্থীর এসএসসি ও জেএসসি সনদপত্র না পাওয়ায় এ সময় তারা অফিসকক্ষে অবস্থান করেন।

ভুক্তভোগী ২০১৫-১৬ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থীরা জানান, আমরা অনেকদিন আগে পাশ করেছি। আমাদের সনদপত্র নেয়ার জন্য অফিসে এসে চাইলে স্যাররা দিতে পারছেন না। বারবার সনদ চাইলেও পাচ্ছি না। আমাদের ইমারজেন্সি সনদপত্র প্রয়োজন। চাকরীর আবেদন করেছি এখন সার্টিফিকেট প্রয়োজন, না দিতে পারলে চাকরী হচ্ছে না।

২০১৫-১৬ শিক্ষাবর্ষের জেএসসি পাশকৃত শিক্ষার্থী মো. মেহেদী হাসান বলেন, আমি ঢাকায় পড়াশুনা করি এখন আমার সার্টিফিকেট দরকার, তবে অফিসে চাইলে তারা এসএসসির টা দিয়েছে কিন্তু জেএসসিরটা নাই বলে আমাকে জানান।

এ ব্যাপরে বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মো. রহমতুল্লাহ বিএসসি বলেছেন, শিক্ষার্থীদের এই সমস্যা সমাধাণের চেষ্টা করছি। আমি তখন দায়িত্বে ছিলাম না। প্রধান শিক্ষক ছিলেন হুমায়ুন খালিদ ভুঁইয়া।

তিনি প্রশ্নপত্র ফাঁসের দায়ে স্কুল থেকে বরখাস্ত হয়েছেন। আমাদের কোন কাগজপত্র বুঝিয়ে দিয়ে যাননি। উর্ধতন কতৃপক্ষের কাছে বারবার অভিযোগ করেও কোন সুরাহা পাচ্ছি না। পরবর্তীতে মিটিং করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

এই বিষয় জানতে চাইলে বরখাস্তকৃত প্রধান শিক্ষক হুমায়ুন খালিদ ভুঁইয়া বলেছেন, আমি বরখাস্ত হওয়ার সময় সকল কাগজপত্র প্রতিষ্ঠানে জমা দিয়েছি। তবে আমাকে চক্রান্ত করে ফাঁসানোর পায়তারা করছে। এ জন্য আমার নামে বিভিন্ন মিথ্যা অভিযোগ করে হ্যারেসম্যান্ট করছে।

এ ব্যাপরে ঘাটাইল উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার শফিকুল ইসলাম বলেন, সনদ প্রত্রে বিষয় আগে কিছু জানতাম না। এখন জেনেছি। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেয়া হবে।


সর্বশেষ সংবাদ