আবারও পেঁয়াজ রফতানি বন্ধ করে দিয়েছে ভারত

  © ফাইল ফটো

কয়েকদিন বন্ধ থাকার পর ভারতে আটকে পড়া পেঁয়াজ শনিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) রফতানি শুরু করেন ব্যবসায়ীরা। তবে আজ রবিবার (২০ সেপ্টেম্বর) থেকে হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ফের পেঁয়াজ রফতানি বন্ধ করে দিয়েছে ভারত। আজ দুপুর পর্যন্ত হিলি স্থলবন্দর দিয়ে কোনও পেঁয়াজবাহী ট্রাক প্রবেশ করেনি।

নতুন নির্দেশনা না আসা পর্যন্ত পেঁয়াজ রফতানির সম্ভাবনা নেই বলেও জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। তবে শনিবার আমদানি হওয়ায় পেঁয়াজ কেজিতে ১০ টাকা কমে ৪০-৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

হিলি স্থলবন্দরে পেঁয়াজ কিনতে যাওয়া লুৎফর রহমান ও সিদ্দিক হোসেন বলেন, ‘ভারত পেঁয়াজ রফতানি বন্ধ করায় কয়েকদিন ধরেই পেঁয়াজের বাজার বেশ চড়া। মাঝে মাঝে পেঁয়াজ আমদানির খবরে সামান্য কমলেও আমদানি না হওয়ায় আবারও বেড়ে যায়।

তারা জানান, পেঁয়াজ আমদানি হওয়ার কারণে বন্দরের আড়তগুলোয় দাম কেজিপ্রতি ১০ টাকা কমেছে। প্রকারভেদে আড়তগুলোয় পেঁয়াজ ৫০-৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে আগের দিন। আজ তা কমে ৪০-৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া কিছু খারাপ পেঁয়াজ রয়েছে। সেগুলো ১০ থেকে ৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

হিলি স্থলবন্দর আমদানি রফতানিকারক গ্রুপের সভাপতি হারুন উর রশীদ বলেন, ‘ভারত সরকার হঠাৎ করে কিছু না জানিয়ে পেঁয়াজ রফতানি বন্ধ করেছিল। এর পরে শুক্রবার আদেশ জারি করে, টেন্ডার হওয়া পেঁয়াজগুলো রফতানি করবে। সে মোতাবেক শনিবার হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ১১ ট্রাকে ২৪৬ টন পেঁয়াজ দেশে প্রবেশ করেছে। যে পেঁয়াজ রফতানি করেছে, তার অধিকাংশই পচে নষ্ট হয়ে পানি ঝরছে। এ কারণে আমদানিকারকরা ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন।’

তিনি আরও বলেন, ‘এখনও দুইশ’র বেশি পেঁয়াজবাহী ট্রাক প্রবেশের অপেক্ষায় রয়েছে। এছাড়া যে ১০ হাজার টন পেঁয়াজ আমদানির জন্য এলসি দেওয়া রয়েছে, তার বিষয়ে কোনও সিদ্ধান্ত জানায়নি। এগুলোর বিষয়ে আমরা শঙ্কিত। আমরা ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কা করছি। আজ পেঁয়াজ প্রবেশ করবে কিনা সেই বিষয়ে আমাদের জানা নেই।’


সর্বশেষ সংবাদ