বসন্ত আর ভালোবাসা দিবসের যুগলবন্দীতে রঙিন বইমেলা
- তাওসিফুল ইসলাম
- প্রকাশ: ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৭:৪৬ PM , আপডেট: ১০ জুলাই ২০২৫, ০৩:৪৪ PM
ফাগুনের হাওয়া আর ভালোবাসার উষ্ণ ছোঁয়ায় মাতোয়ারা অমর একুশে বইমেলা। বসন্তের প্রথম দিন ও ভালোবাসা দিবসের যুগলবন্দিতে মেলাটি পেয়েছে এক ভিন্ন মাত্রা। নারীরা পরেছেন বাসন্তী রঙের শাড়ি, ফুলের গয়না আর খোপায় গাঁথা রঙিন ফুল। পুরুষেরা লাল বা হলুদ পাঞ্জাবি পরে এসেছেন, কেউবা সঙ্গে মিলিয়ে গলায় দোপাট্টা জড়িয়েছেন। শিশুরাও রঙিন পোশাকে এসেছে, ছোট্ট বেণীতে ফুলের বাহার।
তাছাড়াও, আজ শুক্রবার। সাপ্তাহিক ছুটির দিন। মেলার ১৪তম দিনে উপচে পড়া ভিড় দেখা গেছে। সকাল থেকেই পরিবার-পরিজন, বন্ধু-বান্ধব আর ভালোবাসার মানুষদের নিয়ে মেলায় আসছেন দর্শনার্থীরা। বিকেল গড়াতেই বইমেলার প্রতিটি স্টল ও প্যাভিলিয়নের সামনে লম্বা লাইন পড়ে যায়।
অনেকেই প্রিয় লেখকের নতুন বই সংগ্রহ করতে ব্যস্ত, আবার কেউ মেলা ঘুরে বইয়ের গন্ধ শুঁকতে আসা পাঠক। ছুটির দিনে মেলাটি যেন হয়ে উঠেছে প্রাণের মেলা, যেখানে বইয়ের পাতা আর মানুষের কোলাহল একসঙ্গে মিলেমিশে এক অনন্য পরিবেশ সৃষ্টি করেছে।
স্টল ও প্যাভিলিয়নে বিক্রয়কর্মীরা জানান, গত দুই সপ্তাহের মধ্যে আজকে সর্বোচ্চ বই বিক্রি হয়েছে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী রূপা আহমেদ বলেন, বইমেলা মানেই আমার কাছে বই কেনার আনন্দের পাশাপাশি বসন্তের রঙে রঙিন হয়ে ওঠার দিন। আজকের দিনে বাসন্তী শাড়ি পরে আসাটা যেন একটা ট্র্যাডিশন হয়ে গেছে। বন্ধুরা সবাই মিলে বই কিনছি, ঘুরছি, ছবি তুলছি—এককথায় স্বপ্নের মতো সুন্দর লাগছে!
মিরপুর থেকে আসা তৌফিক আহমেদ বলেন, ‘ভালোবাসা দিবসে শুধু প্রেমিক-প্রেমিকা নয়, বইয়ের সঙ্গেও একটা গভীর সম্পর্ক গড়ে ওঠে। আমি আমার প্রিয়জনকে উপহার দেওয়ার জন্য কিছু বই কিনেছি। ভালোবাসা শুধু উপহারের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়, প্রিয় মানুষের সঙ্গে বই পড়ার অভ্যাসও ভালোবাসার এক সুন্দর রূপ।’
নুসরাত জাহান ও রফিকুল ইসলাম সদ্য বিবাহিত এক দম্পতি। একসাথে এবার প্রথম বইমেলায় আসা। নুসরাত বলেন, এটাই আমাদের বিয়ের পর প্রথম বইমেলায় একসঙ্গে আসা। দুজনেই বই পড়তে ভালোবাসি, তাই একে অপরকে পছন্দের বই উপহার দিচ্ছি। আমরা বিশ্বাস করি, সম্পর্ককে দীর্ঘস্থায়ী করার জন্য বই পড়ার মতো মানসিক সংযোগ খুব দরকার।