সংবিধান কেমন হওয়া উচিত, প্রস্তাবনা দিলেন শায়খ আহমাদুল্লাহ

শায়খ আহমাদুল্লাহ
শায়খ আহমাদুল্লাহ  © সংগৃহীত

পতিত আওয়ামী লীগ সরকারের সংবিধান বাদ দিয়ে ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী নতুন বাংলাদেশের সংবিধান কেমন হবে তা নিয়ে চলছে আলোচনা। সংবিধান সংশোধনের জন্য গঠিত হয়েছে কমিশন। এ কমিশন সর্বস্তরের প্রতিনিধিদের কাছে চেয়েছেন সংবিধান সংশোধনের রূপরেখা ও প্রস্তাবনা। তেমনই এক আলোচনা সভায় আমন্ত্রণ পেয়েছেন আলোচিত ইসলামী বক্তা শায়খ আহমাদুল্লাহ। দেশের বাইরে অবস্থান করায় এতে উপস্থিত থাকতে পারবেন না তিনি। তবে শায়খ আহমাদুল্লাহর পক্ষ থেকে লিখিত প্রস্তাবনাসহ প্রতিনিধি উপস্থিত থাকবেন বলে জানিয়েছেন তিনি। নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে তিনি এ তথ্য জানিয়ে নিজের পক্ষ থেকে প্রত্যাশা ও প্রস্তাবানার কথা জানিয়েছেন।

শায়খ আহমাদুল্লাহ বলেছেন, দেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষের বিশ্বাস ও মূল্যবোধ ধারণকারী একটি সংবিধান আমাদের প্রত্যাশা। যেখানে আমাদের বিশ্বাস, মূল্যবোধ ও সংস্কৃতির প্রতি শ্রদ্ধাবোধ প্রতিফলিত হবে।

তিনি বলেন, ইতোমধ্যে সংবিধান সংশোধন কমিশনের কার্যক্রম শুরু হয়েছে। সংবিধান সংশোধন বিষয়ে সর্বস্তরের প্রতিনিধিদের অংশগ্রহণে অনুষ্ঠাতব্য এক আলোচনা সভায় আমন্ত্রণ পেয়েছি। দেশের বাইরে অবস্থান করায় উক্ত সভায় উপস্থিত হতে না পারলেও লিখিত প্রস্তাবনাসহ আমার প্রতিনিধি উপস্থিত থাকবেন ইনশাআল্লাহ। আশা করি, জাতীয় জীবনের এই গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্তে সংশ্লিষ্ট মহল সুবিবেচনা ও প্রজ্ঞার পরিচয় দেবেন।

শায়খ আহমাদুল্লাহ আরও বলেন, সংবিধান সংশোধনের জন্য গঠিত কমিশনের কার্যক্রম শুরু হয়েছে। কমিশনের সদস্যরা ইতোমধ্যে অংশীজনদের মতামত ও প্রস্তাব নেয়া শুরু করেছেন। আমরা তাদের এই উদ্যোগকে স্বাগত জানাই। তিনি বলেন, সংবিধান সংশোধনের ক্ষেত্রে কয়েকটি বিষয় তারা বিবেচনা করবেন বলে আশা করছি।

১. সংবিধানে এ দেশের গরিষ্ঠ সংখ্যক মানুষের ধর্মীয় বিশ্বাস, মূল্যবোধ ও সংস্কৃতির প্রতি শ্রদ্ধাবোধ প্রতিফলিত হতে হবে। সংবিধানে এ রকম কোনো ধারা-উপধারা সংযোজন করা যাবে না এবং থাকলে অপসারণ করতে হবে, যা এদেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষের ধর্মীয় বিশ্বাস, মূল্যবোধ ও চেতনার পরিপন্থি।

২. সংবিধানের শুরুতে ‘আল্লাহর ওপর আস্থা ও বিশ্বাস হবে প্রজাতন্ত্রের সকল কাজের ভিত্তি’ এই বাক্য পুনঃসংযোজন করতে হবে, যা বিগত সরকার সংবিধান থেকে অপসারণ করেছে।

৩. সংবিধান থেকে ধর্মনিরপেক্ষতা ও সমাজতন্ত্রের বিলোপ করতে হবে। কারণ এটি এ দেশের মানুষের চিরায়তের মূল্যবোধের বিরোধী।

৪. শিক্ষার সকল স্তরে ধর্মীয় শিক্ষার ব্যবস্থা থাকতে হবে। বিষয়টি সাংবিধানিকভাবে বাধ্যতামূলক করতে হবে। আশা করি, সংশ্লিষ্ট মহল সুবিবেচনার পরিচয় দেবেন।


সর্বশেষ সংবাদ

×
  • Application Deadline
  • December 17, 2025
  • Admission Test
  • December 19, 2025
APPLY
NOW!
GRADUATE ADMISSION
SPRING 2026!
NORTH SOUTH UNIVERSITY
Center of Excellence