মিয়ানমার থেকে আসা ৩৩০ জনকে ফেরত পাঠানো হলো
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১২:৪৩ PM , আপডেট: ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০১:০২ PM
মিয়ানমারের সামরিক বাহিনী ও বিদ্রোহী গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষের জেরে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষী বাহিনী- বিজিপি, সেনা সদস্যসহ ৩৩০ জনকে যাচাই-বাছাই শেষে কড়া নিরাপত্তার মধ্যে দিয়ে ফেরত পাঠানো হলো। এর আগে সকাল থেকে কড়া নিরাপত্তার মধ্যে দিয়ে উখিয়া, টেকনাফের বিভিন্ন স্কুল থেকে ইনানী নৌবাহিনীর জেটিঘাটে নিয়ে আসা হয় তাদের।
বৃহস্পতিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) বেলা ১১টার দিকে কক্সবাজারের উখিয়ার ইনানী নৌবাহিনী জেটিঘাট থেকে তাদের জাহাজে তোলা হয়। জেটিঘাট থেকে প্রথম ধাপে ১৬৫ জনকে মিয়ানমারের জাহাজে তুলে দেয়া হয়। এরপর বাকিদেরও একে একে তুলে দেয়া হবে বলে জানান বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান সিদ্দিকী।
বিজিবি মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান সিদ্দিকীর দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, মিয়ানমারের অভ্যন্তরে চলমান সংঘর্ষের জেরে প্রাণভয়ে পালিয়ে আসা সীমান্তরক্ষীদের বিজিপির কাছে হস্তান্তর করেছে করা হয়েছে। তাদের মধ্যে ৩০২ জন বিজিপি সদস্য, ৪ জন বিজিপি পরিবারের সদস্য, ২ জন সেনা সদস্য, ১৮ জন ইমিগ্রেশন সদস্য এবং চারজন বেসামরিক নাগরিকসহ সর্বমোট ৩৩০ জন।
সেখানে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মিয়ানমার বিষয়ক পরিচালক মো. রাকিবুল ইসলাম, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের উপ-সচিব মো. রাশেদ হোসেন চৌধুরী, বিজিবির মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান সিদ্দিকী এবং মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূতসহ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
গত ২ ফেব্রুয়ারি রাত থেকে নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার সীমান্তের ওপারে বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মির সঙ্গে মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিপির সংঘর্ষ শুরু হয়। যুদ্ধের মধ্যে বিদ্রোহীরা বিজিপির কয়েকটি সীমান্ত ফাঁড়ি দখল করে নিলে মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর সদস্যরা ৪ ফেব্রুয়ারি সকাল থেকে পালিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করতে শুরু করে।
এসময় তাদের নিরস্ত্র করে বিজিবি হেফাজতে রাখা হয় ঘুমধুমের একটি স্কুলে। পরে তাদের মধ্যে ১০০ জনকে সরিয়ে নেয়া হয় টেকনাফে। এর মধ্যেই তাদের ফেরত পাঠাতে বাংলাদেশের তরফ থেকে মিয়ানমারের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তাদের সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যদের ফিরিয়ে নিতে সম্মত হয়।