১৫ লাখ টাকা ফেরত দিয়ে ইভ্যালির ঋণ পরিশোধ শুরু

  © সংগৃহীত

কয়েকশ কোটি টাকা ঋণের বিপরীতে মাত্র ১৫ লাখ টাকা ফেরত দেওয়ার মধ্য দিয়ে গ্রাহকের পাওনা পরিশোধ শুরু করেছে ই–কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালি। রোববার (৪ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরে মামলা করা দেড়শ গ্রাহক এই টাকা বুঝে পান। 

এদিকে ভোক্তা অধিকার অধিদপ্তরে জমা প্রায় ৭ হাজার অভিযোগ নিষ্পত্তিতে কঠোর হওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন সংস্থার মহাপরিচালক এ এইচ এম সফিকুজ্জামান। এই খাতে স্থিরতা আনতে সম্মিলিত উদ্যোগের ওপরও জোর দেন তিনি। 

তবে কতজন ভোক্তার ইভ্যালির কাছে পাওনা রয়েছে তার সঠিক তথ্য এখনো জানাতে পারেনি প্রতিষ্ঠানটি। যদিও আগামী মে মাস থেকে আরও বড় পরিসরে গ্রাহকের পাওনা ফেরত দেওয়ার আশ্বাস দেন সিইও মোহাম্মদ রাসেল।

মোহাম্মদ রাসেল বলেন, ‘বিজনেস করে যদি আজকে ১৫ লাখ টাকা বা দেড় শ অভিযোগ নিষ্পত্তি করতে পারি। তাহলে ৬ মাস এভাবে বিজনেস করলে পরিশোধ আরও হবে। বিনিয়োগ করলে আমার প্রথম শর্তই থাকবে বিনিয়োগের দেনা পরিশোধ।’

আমরা শুধু অভিযোগকারীদের অভিযোগ নিষ্পত্তি নয়, যারা অভিযোগ করেনি, তাদের টাকাও আমরা ফেরত দেবো উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, ইভ্যালি যদি ব্যবসা করতে পারে তাহলে যত দেনা আমাদের আছে, সেটা আমরা একটি নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে পরিশোধ করতে পারবো। এ মাসের তৃতীয় বা চতুর্থ সপ্তাহে আমরা আরেকটি পর্যায়ের অভিযোগ নিষ্পত্তি করে টাকা ফেরত দেবো। 

প্রসঙ্গত, ব্যাংকের চাকরি ছেড়ে ২০১৮ সালে ইভ্যালি প্রতিষ্ঠা করে হইচই ফেলে দেন মোহাম্মদ রাসেল। মাত্র দুই বছরের মধ্যে দেশের শীর্ষস্থানীয় ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান হয়ে ওঠে ইভ্যালি। কিন্তু ওই সময় ঋণের বোঝাও বেড়ে যায় তাদের। তবে অভিযোগ আছে, ইভ্যালিকে থামানোর জন্য তখন দেশি-বিদেশি কয়েকটি প্রতিদ্বন্দ্বী প্রতিষ্ঠান উঠেপড়ে লাগে। তার জন্য মোটা অঙ্কের বরাদ্দও করেন তারা। 

একপর্যায়ে ২০২১ সালের সেপ্টেম্বর মাসে গ্রেপ্তার হন রাসেল। কিন্তু তাকে গ্রেপ্তারে হতাশ হন প্রতিষ্ঠানটির লাখ লাখ গ্রাহক। তারা ইভ্যালির ব্যবসা চালুর জন্য আন্দোলন শুরু করেন। তাকে মুক্তি দিতে ২০ হাজারের বেশি ক্রেতা-বিক্রেতা আদালতের কাছে লিখিত আবেদন করেন।

এর মধ্যে নানা চড়াই-উতরাই পেরিয়েছেন রাসেল ও তার প্রতিষ্ঠান। সর্বশেষ গত ১৮ ডিসেম্বর জামিনে মুক্তি পেয়েছেন তিনি। তবে তার স্ত্রী ও ইভ্যালির চেয়ারম্যান অনেক আগেই মুক্তি পেয়েছেন।


সর্বশেষ সংবাদ