দেশে কাজ করে না, পড়শোনাও করে না সোয়া কোটি তরুণ

দেশে ১ কোটি ২৯ লাখ তরুণই নিষ্ক্রিয়
দেশে ১ কোটি ২৯ লাখ তরুণই নিষ্ক্রিয়  © সংগৃহীত

বাংলাদেশে ৩ কোটি ১৬ লাখ তরুণের মধ্যে প্রায় ১ কোটি ২৯ লাখই নিষ্ক্রিয়। যা শতাংশের দিক দিয়ে ৪০ দশমিক ৬৭ শতাংশ। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য সংখ্যকই হচ্ছে নারী। নারীদের মধ্যে নিষ্ক্রিয়তার হার ৬১ দশমিক ৭১ শতাংশ। এর অর্থ হচ্ছে এই তরুণরা পড়াশোনায় ও কর্মসংস্থানে সংশ্লিষ্ট না থাকার পাশাপাশি কোনো কাজের জন্য প্রশিক্ষণও নিচ্ছেন না।

বুধবার (২ জানুয়ারি) বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) বাংলাদেশ স্যাম্পল ভাইটাল স্ট্যাটিসটিকস, ২০২২ প্রতিবেদনে উঠে এসেছে এমন তথ্য। তরুণের বয়সসীমা ১৫ থেকে ২৪ বছর ধরে এই পরিসংখ্যান তুলে ধরেছে বিবিএস। 

সংশ্লিষ্টদের মতে, মেয়েদের বাল্যবিবাহ, কাজ পাওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় দক্ষতার অভাব, শিক্ষার মানে ঘাটতি, যথেষ্ট কর্মসংস্থান তৈরি না হওয়া, শোভন কাজের অভাব ও সামাজিক পরিস্থিতি নিষ্ক্রিয় তরুণের হার বেশি হওয়ার কারণ। এছাড়া নিষ্ক্রিয় তরুণেরা নানা সামাজিক সমস্যার কারণ হতে পারেন। যেমন সন্ত্রাসী কার্যকলাপ। ফলে ‘কিশোর গ্যাং’-এর সংস্কৃতি আরও ভয়াবহ হতে পারে।

বিবিএসের তথ্য অনুযায়ী, দেশে বর্তমানে ১৫ থেকে ২৪ বছর বয়সী তরুণদের সংখ্যা মোট জনসংখ্যার প্রায় ১৯ শতাংশের কিছু বেশি। এর মধ্যেই প্রায় ৪১ শতাংশই নিষ্ক্রিয় তবে ২০২২ সালের জরিপ অনুযায়ী, দেশে নিষ্ক্রিয় তরুণের হার ছিল ২২ শতাংশ (১৫ থেকে ২৯ বছর বয়সী)।

মেয়েদের নিষ্ক্রিয়তার কারণ হিসেবে বিবিএস দেখিয়েছে, মেয়েদের বিয়ের গড় বয়স ১৯ বছর ৩ মাস হওয়ার কারণে ঘর ও সন্তান সামলাতে ব্যস্ত হয়ে পড়েন তারা। ফলে শ্রমবাজারে প্রবেশ করতে পারে না বেশিরভাগ মেয়েরা। গৃহস্থালি কাজ কর্মসংস্থান হিসেবে গণ্য হয় না বলে এ সকল নারীদেরকে নিষ্ক্রিয় হিসেবেই ধরা হয়েছে বিবিএসের প্রতিবেদনে। 

বিবিএসের পরিসংখ্যান আরও বলছে, দেশে তরুণদের মধ্যে নিষ্ক্রিয়তার অন্যতম কারণ বেকারত্ব। জাতীয়ভাবে বেকারত্বের হার যেখানে সাড়ে ৩ শতাংশের মতো, সেখানে তরুণদের মধ্যে বেকারত্বের হার ৮ শতাংশ। দেশের মোট বেকারের প্রতি চারজনের একজনই আবার উচ্চশিক্ষিত। 


সর্বশেষ সংবাদ