যাকেই প্রার্থী দিই তাকে ভোট দেবেন: প্রধানমন্ত্রী

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা  © সংগৃহীত

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, নৌকা মার্কা পারে স্বাধীনতা দিতে, নৌকা মার্কাই পারে উন্নয়ন দিতে। আমি ঢাকাবাসীর প্রতি অনুরোধ করব, একটা বিষয় মাথায় রাখবেন, নৌকা মার্কায় ভোট দিয়েছিলেন বলেই এত উন্নয়ন দেখতে পাচ্ছেন। তিনি আরও বলেন, আগামী নির্বাচনের তফসিল যেকোনো সময় ঘোষণা করা হতে পারে। নির্বাচনে যাকে প্রার্থী দিই তাকেই ভোট দিয়ে বিজয়ী করবেন। এবার নৌকা জিতবেই।

শনিবার (৪ নভেম্বর) বিকেল ৪টার দিকে মেট্রোরেলের আগারগাঁও-মতিঝিল অংশের উদ্বোধন উপলক্ষ্যে রাজধানীর আরামবাগে আয়োজিত জনসভায় এসব কথা বলেন তিনি।

আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, আগামী নির্বাচনে কাকে মনোনয়ন দেওয়া হবে, সেটা আমরা নির্ধারণ করব। যাকে মনোনয়ন দেব ঐক্যবদ্ধভাবে সবাইকে তার পক্ষে কাজ করতে হবে। যেন আবারও আমরা এ দেশের মানুষের কল্যাণে কাজ করতে পারি। এখনও অনেক উন্নয়নকাজ বাকি, সেগুলো যেন শেষ করতে পারি। কারণ, অগ্নি-সন্ত্রাসী ও জঙ্গিবাদীরা যদি ক্ষমতায় আসে তাহলে এ দেশটাকে টিকতে দেবে না। সেজন্য সকলকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।

শেখ হাসিনা বলেন, যে দেশকে জাতির পিতা স্বাধীনতা এনে দিয়েছেন সেই দেশের মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন করাটাই আমাদের কাজ। দলের সবাই ঐক্যবদ্ধ থাকবেন। যাতে করে ঘাতকের দল বিএনপি-জামায়াত এ দেশের মানুষকে আর জ্বালিয়ে পুড়িয়ে মারতে না পারে, আর দেশের জনগণের ওপর অত্যাচার করতে না পারে। তার জন্য সবাইকে সজাগ থাকতে হবে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, আজ আগারগাঁও থেকে মতিঝিল পর্যন্ত মেট্রোরেল উদ্বোধন করলাম। এ মেট্রোরেল ঢাকাবাসীর জন্য উপহার। তবে মেট্রোরেল ব্যবহারে আমাদের যত্নবান হতে হবে, যাতে এটির ক্ষতি না হয়।

বিএনপির সমালোচনা করে শেখ হাসিনা বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় থাকলে দেশ ভালো থাকে। আর বিএনপি কী পারে? শুধু ভোট চুরি, দেশের অর্থ চুরি, জনগণকে হত্যা করা। নানা ধরনের অত্যাচার নির্যাতন। এই ২৮ অক্টোবর কী ঘটনা ঘটাল তারা! আপনারা একবার বলেন। কোনো মানুষ যার ভেতরে সামান্য মনুষ্যত্ব আছে তারা কি এমনভাবে একজন ‍পুলিশ সদস্যকে হত্যা করতে পারে? বিএনপির তাণ্ডবের মুখে পুলিশ পিছু হটে যায়। তারপরও তারা ওই পুলিশ সদস্যকে ধরে যেভাবে লাঠিপেটা করে হত্যা করল, পুলিশ হাসপাতালে ঢুকে যেভাবে অ্যাম্বুলেন্স পোড়াল, এমনকি তারা আমাদের নারী সদস্যদের ওপরও হামলা চালিয়েছে। তারপরও পুলিশ অনেক ধৈর্যের পরিচয় দিয়েছে।

তিনি বলেন, শুধু এখনই নয়, এর আগেও একইভাবে পুলিশের ওপর হামলা হয়েছিল। ২০১৩, ১৪ ও ১৫ সালে ২৯ জন পুলিশ সদস্যকে হত্যা করেছিল তারা। রাজশাহীতে একজন পুলিশ সদস্যকে মাটিতে ফেলে হত্যার কথা স্মরণ রাখা দরকার। গাইবান্ধা থেকে শুরু করে অনেক এলাকায় পুলিশের ওপর হামলা করেছে তারা। পুলিশ কী দোষ করেছে? তারা তো শুধু দায়িত্ব পালন করছে। মানুষের জানমালের নিরাপত্তা তারা দেবে। আজ তারা যানবাহনে আগুন দিচ্ছে। একটি বাসের হেলপার ঘুমিয়ে ছিল, ওই বাসে আগুন দিয়ে তাকে হত্যা করা হয়েছে।


সর্বশেষ সংবাদ