১৭তম জিআই পণ্যের স্বীকৃতি পেল নাটোরের কাঁচাগোল্লা

কাঁচাগোল্লা
কাঁচাগোল্লা  © সংগৃহীত

দেশের ১৭তম জিআই (ভৌগোলিক নির্দেশক) পণ্যের স্বীকৃতি পেল নাটোরের কাঁচাগোল্লা। গত মঙ্গলবার (৮ আগস্ট) শিল্প মন্ত্রণালয়ের পেটেন্ট, ডিজাইন ও ট্রেডমার্ক অধিদপ্তরের মহাপরিচালক খোন্দকার মোস্তাফিজুর রহমানের স্বাক্ষরে নাটোর জেলা প্রশাসকের নামে কাঁচাগোল্লার জিআই স্বীকৃতি অনুমোদন দেওয়া হয়।

নাটোরের বিখ্যাত এ মিষ্টান্ন ভৌগোলিক নির্দেশক (জিআই) নিবন্ধনের উদ্যোগ গ্রহণ করেছিলেন নাটোরের সাবেক ও রাজশাহীর বর্তমান জেলা প্রশাসক শামীম আহমেদ। গত ৩০ মার্চ এফিডেভিটের মাধ্যমে শিল্প মন্ত্রণালয়ের পেটেন্ট, ডিজাইন ও ট্রেডমার্কস অধিদপ্তরের (ডিপিডিটি) মাধ্যমে কাঁচাগোল্লার জিআই আবেদন প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়।

জানা যায়, কাঁচা ছানা থেকে তৈরি মিষ্টান্ন কাঁচাগোল্লা গোলাকার নয়। কিন্তু চিনি মেশানো কাঁচা ছানা ছোট বলের মতো তৈরির পর ‘নাটোরের কাঁচাগোল্লা’ নামে বিক্রি ঠেকাতে এবং ঐতিহ্য সংরক্ষণে এবার মিলল স্বীকৃতি।

আরও পড়ুন: রাবিতে ৭০ বছরে ৪০ শতাংশ আবাসিকতাও নিশ্চিত হয়নি

চার পুরুষ ধরে মিষ্টি ব্যবসার সঙ্গে জড়িত নাটোরের ঐতিহ্যবাহী জয় কালী মিষ্টান্ন ভাণ্ডারের বর্তমান স্বত্বাধিকারী প্রভাত কুমার পাল এ বিষয়ে বলেন, জিআই আবেদন অনেক আগেই করা দরকার ছিল। কেননা বিভিন্ন রকমের মানহীন মিষ্টি কাঁচাগোল্লা নামে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বিক্রি হয়। এতে নাটোরের সুনাম নষ্ট হয়। এখন জিআই পণ্য হিসেবে স্বীকৃতি পাওয়ায় বিকৃত আকারে উৎপাদন বন্ধ হবে। দেশের মানুষ আসল কাঁচাগোল্লা চিনে কিনতে পারবে।

নাটোর পৌরসভার মেয়র উমা চৌধুরী গণমাধ্যমকে বলেন, কাঁচাগোল্লা জিআই তালিকাভুক্ত হলো। এর মধ্য দিয়ে নাটোরের ইতিহাস ও ঐতিহ্য সংরক্ষণের পাশাপাশি দেশ-বিদেশে কাঁচাগোল্লার ব্র্যান্ডিং ও চাহিদা বাড়বে। এসংক্রান্ত যেকোনো উদ্যোগে পৌর কর্তৃপক্ষ পাশে থাকবে।

নাটোরের জেলা প্রশাসক আবু নাছের ভুঞাঁ বলেন, নাটোরের ঐতিহ্য ধরে রেখে উৎপাদকরা কাঁচাগোল্লা প্রস্তুত করেন। কিন্তু বাইরে বিকৃত আকারে কাঁচাগোল্লা বিক্রি হয় বলে বিভিন্ন সময় শোনা যায়। জেলা প্রশাসন এর বিরুদ্ধে ভূমিকা রাখবে। প্রয়োজনে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে এই বিকৃতি রোধ করা হবে।


সর্বশেষ সংবাদ