তারেক-জোবায়দার বিরুদ্ধে দুদকের মামলার রায় আজ

  © ফাইল ছবি

সম্পদের তথ্য গোপন ও জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও তার স্ত্রী জোবায়দা রহমানের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) মামলার রায় ঘোষণার জন্য আজ (২ আগস্ট) বুধবার দিন ধার্য রয়েছে।

ঢাকার মেট্রোপলিটন সিনিয়র স্পেশাল জজ মো. আসাদুজ্জামানের আদালত এ রায় ঘোষণা করবেন। এর আগে গত ২৭ জুলাই আদালত এ মামলার যুক্তি উপস্থাপন শেষে রায় ঘোষণার জন্য এদিন ধার্য করেন। এ মামলায় তাদের পলাতক দেখানো হয়েছে।

গত ২৪ জুলাই মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা দুদকের উপ-পরিচালক তৌফিকুল ইসলাম সর্বশেষ সাক্ষী হিসেবে সাক্ষ্য দেন। ওইদিন তার সাক্ষ্য গ্রহণের মধ্য দিয়ে এ মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ করেন আদালত। মামলাটিতে চার্জশিটভুক্ত ৫৬ জন সাক্ষীর মধ্যে ৪২ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করেছেন আদালত। গত ২১ মে মামলার বাদী দুদকের উপ-পরিচালক জহিরুল হুদার সাক্ষ্যের মাধ্যমে এ মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়।

এ বছরের ১৩ এপ্রিল একই আদালত তাদের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪ এর ২৬(২)/২৭(১) এবং দণ্ডবিধির ১০৯ ধারায় অভিযোগ গঠনের মাধ্যমে এ মামলার বিচার শুরুর আদেশ দেন। ২৬(২) ধারায় সর্বোচ্চ শাস্তি তিন বছরের কারাদণ্ড ও ২৭(১) ধারায় সর্বোচ্চ শাস্তি দশ বছরের কারাদণ্ডের বিধান রয়েছে।

এদিকে, তারেক রহমান ও তার স্ত্রী ডা. জোবায়দা রহমানের সর্বোচ্চ শাস্তি ১৩ বছরের কারাদণ্ডের প্রত্যাশা করছে দুদক। দুদকের পাবলিক প্রসিকিউটর মোশাররফ হোসেন কাজল বলেন, দুর্নীতি দমন কমিশন অত্যন্ত নিরপেক্ষভাবে মামলাটি তদন্ত করেছে। মামলাটি শুরু হয়েছে ৪ কোটি ৮১ লাখ টাকা দিয়ে কিন্তু পরবর্তীতে সব পর্যালোচনা করে সাক্ষ্যপ্রমাণের ভিত্তিতে ১৮টা এক্সিবিটের মাধ্যমে আমরা প্রমাণ করতে পেরেছি ২ কোটি ২৩ লাখ টাকা তার অবৈধ উপার্জন এবং ৫৮ লাখ টাকার তথ্য গোপন করেছেন। নিরপেক্ষভাবে তদন্ত করে সাক্ষ্যপ্রমাণের ভিত্তিতে তাদের বিরুদ্ধে দুদক আইনের ২৬(২) ও ২৭(১) ধারায় অভিযোগ প্রমাণ করতে সক্ষম হয়েছি আমরা। আমরা ৪২টি সাক্ষী দিয়েছি। সাক্ষ্যপ্রমাণের ভিত্তিতে আমরা এ অপরাধটা প্রমাণ করতে পেরেছি। তার (তারেক রহমান) এবং তার স্ত্রী জোবায়দা রহমানের সর্বোচ্চ শাস্তি দাবি করেছি।

গত বছরের ২৬ জুন হাইকোর্ট তারেক ও জোবায়দাকে ‘পলাতক’ ঘোষণা করে ৪ কোটি ৮২ লাখ টাকার দুর্নীতি মামলা দায়েরসহ প্রক্রিয়ার বৈধতা নিয়ে করা পৃথক রিট আবেদন খারিজ করে দেন।

রিট খারিজ করে দেওয়া রায়ে হাইকোর্ট একইসঙ্গে ২০০৭ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় দায়ের করা এ মামলার স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার করে নিয়ে সংশ্লিষ্ট নিম্ন আদালতকে যত দ্রুত সম্ভব বিচার কার্যক্রম শেষ করার নির্দেশ দেন। এছাড়া ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেটকে এ রায় পাওয়ার ১০ দিনের মধ্যে মামলার রেকর্ড ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতে পাঠাতে বলা হয়।

মামলার বিবরণ থেকে জানা যায়, জ্ঞাত আয়ের বাইরে ৪ কোটি ৮১ লাখ ৫৩ হাজার ৫৬১ টাকার মালিক হওয়া এবং সম্পদের তথ্য গোপন ও জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে ২০০৭ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর রাজধানীর কাফরুল থানায় এ মামলা করে দুদক। মামলায় তারেক রহমান, জোবায়দা রহমান ও তার মা ইকবাল মান্দ বানুকে আসামি করা হয়। তবে তারেক রহমানের শাশুড়ি মারা যাওয়ায় এ মামলা থেকে তাকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।


সর্বশেষ সংবাদ

×
  • Application Deadline
  • December 17, 2025
  • Admission Test
  • December 19, 2025
APPLY
NOW!
GRADUATE ADMISSION
SPRING 2026!
NORTH SOUTH UNIVERSITY
Center of Excellence