গরমে হাঁসফাঁস, জ্যৈষ্ঠের অনলে পুড়ছে দেশ

গরমে ঘরে-বাইরে হাঁস-ফাঁস করছে মানুষ
গরমে ঘরে-বাইরে হাঁস-ফাঁস করছে মানুষ  © সংগৃহীত

বাংলা পঞ্জিকা অনুযায়ী আষাঢ় আসতে আরও অন্তত ১১ দিন বাকি। ফলে বৃষ্টির অপেক্ষা আরও বাড়ছে তাতে সন্দেহ নেই। দেশজুড়ে বয়ে যাওয়া প্রচণ্ড দাবদাহে দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে জনজীবন। সঙ্গে আছে অসহনীয় লোডশেডিং। গত কয়েক বছরের তুলনায় গরমের তীব্রতা ক্রমশ বাড়ছে। গরমে ঘেমে-নেয়ে ঘরে বাইরে হাঁস-ফাঁস করছে মানুষ। তীব্র তাপে যেন শরীর পুড়ে যাচ্ছে! এতে অসুস্থ হয়ে পড়ছে মানুষ। আবহাওয়ার এমন বৈরিভাব নিকট অতীতে দেখা যায়নি।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্যমতে, আর্দ্রতা কমে বাতাস শুষ্ক হয়ে যাওয়াতে সূর্যের তাপ শরীর থেকে পানি শুষে নিচ্ছে। ফলে আমাদের ত্বক জ্বালাপোড়া করছে। এরই মধ্যে গরম কমার কোনো সুসংবাদ দিতে পারেনি আবহাওয়া অফিস।  আবহাওয়া অধিদফতর বলছে, আগামী কয়েকদিন এধরণের গরম অব্যাহত থাকবে। গত দুই দিনে স্বাভাবিকের তুলনায় ৩ থেকে ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেশি তাপদাহ রেকর্ড হয়েছ। ১১ বছরের মধ্যে এবছর জুন মাসে সবচেয়ে বেশি তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে।

চরম রুক্ষ আবহাওয়ার সাথে যুক্ত হচ্ছে দূর্যোগও। সাগরে আরও দুইটি সাইক্লোন 'বিপর্যয়' ও 'তেজ' সৃষ্টি হতে চলেছে বলে জানিয়েছেন আবহাওয়া বিশ্লেষকরা। আরব সাগর ও বঙ্গোপসাগরে এ দুটি ঘূর্ণিঝড় চলতি মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে তৈরি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

আরও পড়ুন: চার জেলায় তীব্র তাপপ্রবাহ

আবহাওয়া ও জলবায়ু গবেষক মোস্তাফা কামাল পলাশ জানিয়েছেন, ৬ থেকে ৮ জুনের মধ্যে বঙ্গোপসাগরে একটি এবং ৭ থেকে ৯ জুনের মধ্যে আরব সাগরে আরেকটি ঘূর্ণিঝড় সৃষ্টির আশঙ্কা রয়েছে। বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড়টি ১১ থেকে ১২ জুনের মধ্যে মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্য ও বাংলাদেশের বরিশাল বিভাগের মধ্যবর্তী কোনো স্থানের উপকূল দিয়ে স্থলভাগে আঘাতের আশঙ্কা রয়েছে। 

অন্যদিকে আমেরিকান গ্লোবাল ফোরকাস্ট সিস্টেমের বরাত দিয়ে তিনি জানান, বঙ্গোপসাগরে ১১ থেকে ১২ জুন ঘূর্ণিঝড় ‘বিপর্যয়’ সৃষ্টি হয়ে ১৩ থেকে ১৪ জুনের মধ্যে চট্টগ্রাম বিভাগের উপকূলীয় এলাকায় আঘাত হানতে পারে। তবে আবহাওয়া অধিদপ্তর এখনো পর্যন্ত ঘূর্ণিঝড়ের কোনো তথ্য জানায়নি।


সর্বশেষ সংবাদ