কুড়িয়ে পাওয়া টাকার বান্ডিল ফিরিয়ে দিলেন বিশ্ববিদ্যালয়পড়ুয়া দুই ভাই

  © সংগৃহীত

পটুয়াখালীর কুয়াকাটা পর্যটনকেন্দ্রে ঘুরতে গিয়েছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়পড়ুয়া দুই ভাই। ফেরার পথে তারা ৫০ হাজার টাকার একটি বান্ডিল কুড়িয়ে পান। পরে প্রকৃত মালিকের কাছে ফিরিয়ে দিতে জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ নম্বরে ফোন করে পুলিশের সহায়তা চেয়েছেন তারা। সোমবার রাতে কুয়াকাটার আলীপুর শেখ রাসেল সেতুর সিড়িতে এই টাকা কুড়িয়ে পায় জয় মজুমদার এবং দীপ মজুমদার নামের দুই ভাই। 

তারা কলাপাড়া পৌর শহরের ৩নং ওয়ার্ডের খাসপুকুর পাড় এলাকার বাসিন্দা পিযুস কান্তি মজুমদারের ছেলে। এদের মধ্যে জয় মজুমদার পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র। আর তার ভাই দীপ মজুমদার ঢাকার ইস্ট ওয়েস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র।

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, দুই ভাই সোমবার বিকেলে পর্যটনকেন্দ্র কুয়াকাটায় বেড়াতে যায়। কুয়াকাটায় ঘুরে-ফিরে যখন কলাপাড়া পৌর শহরের বাড়িতে ফিরবেন তখন রাত সাড়ে ১১টা বাজে। বাড়ি ফেরার জন্য তারা কোনো যানবাহন পাচ্ছিলেন না। পরে অটোরিকশায় করে আলীপুর বন্দরের শেখ রাসেল সেতুর প্রান্তে এসে নামেন। এক পর্যায়ে সেতুর পাশের সিঁড়ি দিয়ে নামতে গিয়ে একটি টাকার বান্ডিল পড়ে থাকতে দেখেন। এরপর তারা দুভাই মিলে ৯৯৯ নম্বরে ফোন করে কুড়িয়ে পাওয়া টাকার কথা জানায়। খবর পেয়ে কুয়াকাটায় অবস্থান করা মহিপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল খায়ের ঘটনাস্থলে যান। এরপর টাকাসহ দুই ভাইকে মহিপুর থানায় নিয়ে যাওয়া হয়।

জয় মজুমদার এবং দীপ মজুমদার বলেন, আমরা পথের মাঝে টাকার বান্ডিল পেয়ে আশেপাশে মালিককে খুঁজি। কিন্তু আমরা টাকা পেয়েছি এটা দেখে একজন মোটরসাইকেলচালক এসে টাকা নিতে চেষ্টা করে। কিন্তু আমরা তাকে দেইনি। বুঝতে পেরেছিলাম যে, এই লোকের টাকা না বরং তিনি আমাদের ক্ষতি করে টাকা নেওয়ার চেষ্টা করতে পারেন। তাই ৯৯৯ নম্বরে ফোন করে পুলিশের সহায়তা নেই। আমাদের দাবি, এই টাকার প্রকৃত মালিককে খুঁজে যেন টাকাটা ফিরিয়ে দেওয়া হয়।

মহিপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল খায়ের বলেন, দুই যুবক সততার পরিচয় দিয়েছেন। এই সমাজে এমন মানুষ এখন খুঁজে পাওয়া কষ্টকর। টাকাটা থানা হেফাজতে রয়েছে, হারিয়ে যাওয়া টাকাটা কার, সে ব্যক্তিকে খুঁজে বের করতে উদ্যোগ নিয়েছি।

“ইতোমধ্যে খবর পেয়ে এক ব্যক্তি থানায় এসে তার টাকা হারিয়ে গেছে বলে জানায় এবং এ টাকাটাই তার দাবি করে প্রমাণ উপস্থাপন করে। টাকাটা যে ওই ব্যক্তির তা প্রমাণিত হয়েছে। এরপরেও টাকাটা তার হাতে তুলে না দিয়ে আর কোনো দাবিদার আছে কি-না, তা যাচাই করার জন্য আমরা একদিন অপেক্ষা করছি। আমরা দ্রুত প্রকৃত মালিকের হাতে হারিয়ে যাওয়া টাকা তুলে দেবো।”


সর্বশেষ সংবাদ