দাবি না মানায় ‘পরিকল্পিত’ যৌন হয়রানি: মমেক চিকিৎসক

ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ
ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ  © টিডিসি ফটো

ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজের (মমেক) ৫৩ ব্যাচের এক শিক্ষার্থীকে যৌন হয়রানির অভিযোগে তোলপাড় সৃষ্টি হয়ে। হাসপাতালের সার্জারী বিভাগের বিভাগীয় প্রধান প্রফেসর ডা. আবুল কালাম আজাদের বিরুদ্ধে এ অভিযোগ উঠে। তবে অভিযোগ অস্বীকার করে পূর্বপরিকল্পিত বলে দাবি করেছেন অভিযুক্ত শিক্ষক।

এ ঘটনায় বুধবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সামনে মানববন্ধন করেছে শিক্ষার্থীরা। মানববন্ধনে অর্ধশতাধিক শিক্ষার্থী অংশ গ্রহণ করেন। এ সময় তারা বলেন, প্রফেসর ডা. আবুল কালাম আজাদ নিয়মিত শিক্ষার্থীদের কু-প্রস্তাব দিয়ে আসছেন। এই চিকিৎসকের কারণে আমাদের এক বড় আপু কলেজ ছেড়ে চলে গেছেন। আমরা এ ঘটনায় প্রশাসনের কাছে তদন্তের পাশাপাশি বিচার দাবি করছি।

আরও পড়ুন: আন্তর্জাতিক কেমিক্যাল গবেষণা প্রতিযোগিতায় তৃতীয় শাবিপ্রবির রিফাত

তবে যৌন হয়রানির অভিযোগ অস্বীকার করে পূর্বপরিকল্পিত বলে দাবি করেছেন অভিযুক্ত শিক্ষক প্রফেসর ডা. আবুল কালাম আজাদ। তিনি বলেন, কেন বা কী কারণে আমার বিরুদ্ধে এ ধরনের অভিযোগ আনা হয়েছে তা আমার জানা নেই। তবে বেশ কিছুদিন আগেই একটা ষড়যন্ত্র হতে পারে বলে শুনছিলাম। অবশেষে তাই হয়েছে।

তিনি জানান, গত বছর মেডিকেল শিক্ষার্থীদের ফাইনাল সেমিষ্টারে ২২০ জন পরীক্ষার্থী ছিল। এর মধ্যে সার্জারিতে অকৃতকার্য হয়েছিল ৪৬ জন। এনিয়ে অকৃতকার্যদের মধ্যে একটা ক্ষোভ ছিল। এদের মধ্যে বেশ কয়েক জন একটি বিশেষ ছাত্র সংগঠনে জড়িত।

তারা দাবি করেছিল, আমি যেন তাদের পরীক্ষায় পাশ করিয়ে দেই। কারণ হিসেবে তারা বলেছে ‘রাজনীতি করতে হয়, পড়াশুনার সুযোগ কম।’ কিন্তু একজন শিক্ষক হিসেবে আমি তা করতে পারি না। কারণ এখান থেকে পাশ করে তারা চিকিৎসক হবে, এতে ‘মান’ তো রাখতেই হবে।

শিক্ষার্থীরা সন্তানতুল্য দাবি করে তিনি আরও বলেন, ধারণা করছি এবার পরীক্ষার রেজাল্ট হওয়ার আগেই ওই শিক্ষার্থীরা আমার ওপর চাপ সৃষ্টি করার জন্য পরিকল্পিত ভাবে এ মিথ্যা অভিযোগ উত্থাপন করেছে।

আরও পড়ুন: খাবার লবণে প্লাস্টিকের সন্ধান, পুরষ্কার পেলেন শাবি গবেষক

তবে নাশ প্রকাশ না করার শর্তে একাধিক শিক্ষার্থীর অভিযোগ, আবুল কালাম আজাদ ছাত্রলীগ বিদ্বেষী একজন মানুষ। তিনি অন্য ছাত্রদের প্রতি স্বজনপ্রীতি দেখান, আর ছাত্রলীগের ক্ষেত্রে বিদ্বেষী মনোভাব পোষন করেন। এ বিষয়ে কথা বলার সুযোগ না থাকায় যৌন হয়রানির বিষয়টি সামনে নিয়ে প্রতিবাদ করছে শিক্ষার্থীরা।

ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ ডা. চিত্ত রঞ্জন দেবনাথ বলেন, আমি ঘটনা শুনেছি। তবে আজ আমি কলেজে নেই। অভিযোগটি গুরুত্ব দিয়ে খতিয়ে দেখা হবে। অভিযোগ প্রমান হলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।


সর্বশেষ সংবাদ