চার শিক্ষার্থীর চোখে সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ
- আশরাফ আন-নূর
- প্রকাশ: ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১০:৪৬ AM , আপডেট: ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১১:১৯ AM

২০০৬ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় রাজধানীর শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ। প্রতিষ্ঠার পর ধীরে ধীরে পরিসর বেড়ে বর্তমানে ৪২টি বিভাগ ও ২৯৪ জন অভিজ্ঞ শিক্ষক রয়েছেন। কলেজটিতে প্রথমবর্ষে বিদেশিসহ অধ্যয়নরত আছেন ২৫০ জন শিক্ষার্থী। এর মধ্যে ১০২ জন ছাত্র ও ১১৪ জন ছাত্রী। প্রতি বছর এখানে ১৫-২০ জন বিদেশি শিক্ষার্থী ভর্তি হন, যা কলেজটির বৈচিত্র্য ও আন্তর্জাতিক মান নিশ্চিত করে। বুধবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) কলেজের চার শিক্ষার্থীর সঙ্গে আলাপকালে তারা দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে জানিয়েছেন আদ্যোপান্ত।
সিট সংকট ও শিক্ষার্থীদের অভিজ্ঞতা
সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থীরা ক্লাসরুম সংকট এবং দীর্ঘ সময়কাল নিয়ে নানা সমস্যার কথা উল্লেখ করেছেন। শেষ বর্ষের শিক্ষার্থী শাহরিয়ার রহমান শাকিল (২৪) বলেন, ‘ক্লাসে শিক্ষার্থীর সংখ্যা অনেক। আমাদের কলেজের আসন সংখ্যা ১০০ হলেও শিক্ষার্থী আছে ২৩০ জন। এর সঙ্গে বিদেশি শিক্ষার্থী আছে। ফলে ক্লাসরুমে পর্যাপ্ত জায়গা না পাওয়ায় পড়াশোনা বিঘ্নিত হচ্ছে।’
তাসমিয়া তাবাসসুম তন্বীর (২৪) ভাষ্য, ‘আমাদের ক্লাস একটানা চলে, ফলে পুরো সময় মনোযোগ ধরে রাখা কঠিন হয়ে পড়ে। ক্লাসের মাঝে বিরতি রাখা উচিত, যাতে আমরা নতুন উদ্যোমে মে পরবর্তী সেশনে মনোযোগ দিতে পারি।’ তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী আরহাম মুশফিকের (২০) কথায়, ‘আমাদের শিক্ষার্থীর সংখ্যা ক্লাসরুমের ধারণ ক্ষমতার চেয়ে অনেক বেশি। এমনকি শনিবারও ক্লাস হয়। প্র্যাকটিকাল ক্লাসেও শিক্ষার্থীর সংখ্যা অনেক বেশি, যা মনোযোগ দেওয়া একদম কষ্টকর করে তোলে।’
এ বিষয়ে অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. সাকি মো. জাকিউল আলম বলেন, বর্তমানে কলেজে প্রথমবর্ষে আসন সংখ্যা ১০০, শিক্ষার্থীর সংখ্যা বিদেশিসহ আড়াই শতাধিক। চাহিদার তুলনায় আসন সংখ্যা কম থাকায় নতুন ভবন নির্মাণের কাজ চলছে, যাতে বাড়তি শিক্ষার্থীদের জন্য আরও উন্নত সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করা যায়।
‘লাইব্রেরিতে জায়গার তীব্র সংকট রয়েছে। যদিও হাসপাতালের বিভিন্ন জায়গায় ছোট ছোট লাইব্রেরি রয়েছে। তবে সেগুলো কার্যকরী নয় এবং সঠিকভাবে ব্যবহার করা যাচ্ছে না। আমাদের মূল লাইব্রেরিতে আসনের সংখ্যা মাত্র ৫০টি, কিন্তু শিক্ষার্থীর সংখ্যা অনেক বেশি। এর ফলে লাইব্রেরি ব্যবহারে অনেক সমস্যা সৃষ্টি হচ্ছে।’ -তাসমিয়া তাবাসসুম তন্বী
ক্লাসে মাল্টিমিডিয়া ব্যবহার
শাহরিয়ার রহমান শাকিল বলেন, ‘আমাদের ক্লাসগুলোয় মাল্টিমিডিয়া প্রযুক্তি ব্যবহৃত হয়। তবে অনেক সময় দেখা যায়, শিক্ষকদের মাল্টিমিডিয়া ব্যবহারের দক্ষতার অভাব রয়েছে। এজন্য যদি শিক্ষকদের মাল্টিমিডিয়া বিষয়ক বিশেষ প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হয়, তাহলে আমরা আরও সহজভাবে ও কার্যকরভাবে শিখতে পারব এবং শিক্ষা কার্যক্রম আরও ফলপ্রসূ হবে।’
তাসমিয়া তাবাসসুম তন্বী (২৪) বলেন, ‘শিক্ষকদের দক্ষতা আমাদের শেখার তীক্ষতা ও গুণগত মানের উপর সরাসরি প্রভাব ফেলে। আমাদের কলেজে একটি সিমুলেশন ল্যাব রয়েছে, তবে দুর্ভাগ্যবশত সেটি যথাযথভাবে কাজ করছে না। যদি ল্যাবটির কার্যকারিতা বৃদ্ধি পায়, তবে আমরা অনেক বেশি দক্ষতা অর্জন করতে পারব।’
অধ্যক্ষ বলেন, নতুন ক্লাসরুম নির্মাণের কাজ চলছে। ইতোমধ্যে সব ক্লাসরুমে মাল্টিমিডিয়া প্রজেক্টরের আওতায় আনা হয়েছে, যা শিক্ষাদান প্রক্রিয়াকে আরও আধুনিক করেছে।
কারিকুলামের আধুনিকায়নে শিক্ষার্থীদের ভাবনা
শাহরিয়ার রহমান শাকিল বলেন, ‘আমাদের কারিকুলাম মূলত পূর্বেকার ব্রিটিশ পদ্ধতির ওপর ভিত্তি করে তৈরি। তবে ইউকে যে আধুনিকায়ন প্রক্রিয়া করেছে, তা আমাদের বর্তমান কারিকুলামে অন্তর্ভুক্ত হয়নি। এ পরিবর্তনগুলো সময়ের সঙ্গে সমন্বয় না হওয়ায়, আমাদের শিক্ষার মান ও আন্তর্জাতিক অঙ্গনে প্রতিযোগিতার সক্ষমতা কমে যাচ্ছে।’
তাসমিয়া তাবাসসুম তন্বী (২৪) মন্তব্য করেন, ‘এখানে আধুনিকায়ন এবং উন্নয়ন নিয়ে যথেষ্ট সমন্বয়ের অভাব রয়েছে। এর ফলে আমরা বর্তমান বিশ্বের মেডিকেল শিক্ষার সঙ্গে প্রতিযোগিতা করতে পারছি না। যা আমাদের ভবিষ্যত ক্যারিয়ার গড়ার পথে বাধা হয়ে দাঁড়াচ্ছে।’
শাহরিয়ার রহমান শাকিল (২৪) বলেন, ‘আমরা ক্লিনিক্যাল ভিত্তিক পড়াশোনা করি। কিন্তু ইউকে ভিত্তিক ইনভেস্টিগেশন স্টাইল (গবেষণা পদ্ধতি) এখানে অনুসরণ করা হচ্ছে না। এর ফলে প্র্যাকটিক্যাল স্কিল অর্জনে যথেষ্ট উন্নতি হচ্ছে না। আমরা আন্তর্জাতিক মানের শিক্ষার থেকে পিছিয়ে পড়ছি।’
এ প্রসঙ্গে অধ্যক্ষ বলেন, ‘আমাদের শিক্ষাক্রমকে আরও আধুনিক ও সময়োপযোগী করার জন্য আমরা নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছি। শিক্ষার্থীদের সর্বোচ্চ মানের শিক্ষা প্রদান নিশ্চিত করতে পাঠ্যক্রমে আধুনিক প্রযুক্তি ও গবেষণার নতুন দিকসমূহ সংযোজনের চেষ্টা চলছে। আমরা বিশ্বাস করি, যুগের চাহিদার সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ একটি উন্নত শিক্ষাব্যবস্থা গড়ে তুলতে পারলেই শিক্ষার্থীরা ভবিষ্যতে আরও দক্ষ ও যোগ্য হিসেবে গড়ে উঠবে। এ লক্ষ্য অর্জনে আমাদের প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে।’
‘বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যান্ড ডেন্টাল কাউন্সিলের (বিএমডিসি) বিধি অনুযায়ী আমাদের মেডিকেলের কারিকুলাম পরিচালিত হয়’, যোগ করেন তিনি।
লাইব্রেরি সমস্যা
লাইব্রেরি সমস্যা নিয়ে তাসমিয়া তাবাসসুম তন্বী (২৪) বলেন, ‘লাইব্রেরিতে জায়গার তীব্র সংকট রয়েছে। যদিও হাসপাতালের বিভিন্ন জায়গায় ছোট ছোট লাইব্রেরি রয়েছে। তবে সেগুলো কার্যকরী নয় এবং সঠিকভাবে ব্যবহার করা যাচ্ছে না। আমাদের মূল লাইব্রেরিতে আসনের সংখ্যা মাত্র ৫০টি, কিন্তু শিক্ষার্থীর সংখ্যা অনেক বেশি। এর ফলে লাইব্রেরি ব্যবহারে অনেক সমস্যা সৃষ্টি হচ্ছে। আমরা আশা করি, লাইব্রেরির ধারণক্ষমতা বৃদ্ধি করা হোক, যাতে শিক্ষার্থীরা সহজেই পড়াশোনা করতে পারে এবং প্রয়োজনীয় বইগুলো সহজে পেতে পারে।’
অধ্যক্ষ বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের পাঠ্যসামগ্রী সহজলভ্য করার লক্ষ্যে আমাদের লাইব্রেরিতে পর্যাপ্ত বই সংরক্ষণের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। এ বিষয়ে আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি, যাতে শিক্ষার্থীরা প্রয়োজনীয় বই সহজেই পেতে পারে এবং তাদের শিক্ষাজীবন আরও সমৃদ্ধ হয়।’
‘আমাদের এখানে বেশিরভাগ গবেষণা কাজ হাসপাতালভিত্তিক হয়, কিন্তু তা যথেষ্ট নয়। কিছু গবেষণা অ্যাকাডেমিক ভিত্তিকও হয়, সেক্ষেত্রে এসবে আমাদের অভিজ্ঞ শিক্ষকেরা গাইড হিসেবে সহায়তা করেন। তবে গবেষণার পরিমাণ এবং গভীরতা আরও বৃদ্ধি প্রয়োজন।’ -শাহরিয়ার রহমান শাকিল
গবেষণায় ঘাটতি
শাহরিয়ার রহমান শাকিল বলেন, ‘আমাদের এখানে বেশিরভাগ গবেষণা কাজ হাসপাতালভিত্তিক হয়, কিন্তু তা যথেষ্ট নয়। কিছু গবেষণা অ্যাকাডেমিক ভিত্তিকও হয়, সেক্ষেত্রে এসবে আমাদের অভিজ্ঞ শিক্ষকেরা গাইড হিসেবে সহায়তা করেন। তবে গবেষণার পরিমাণ এবং গভীরতা আরও বৃদ্ধি প্রয়োজন।’
আরো পড়ুন: তীব্র আবাসন সংকট আর চতুর্মুখী সমস্যায় জর্জরিত জবি শিক্ষার্থীরা
নাফিসা বলেন, ‘আমরা সাধারণত ডাটা বেইস ভিত্তিক গবেষণা করি, তবে অ্যাকাডেমিক ভিত্তিক কোন গবেষণা কার্যক্রম এখানে নেই। এছাড়া তেমন কোন জার্নালও নেই, যা আমাদের গবেষণার ফলাফল প্রকাশে সহায়তা করতে পারে।’
অধ্যক্ষ বলেন, ‘আমাদের প্রতিষ্ঠানে গবেষণা কার্যক্রম পরিচালিত হয়। সাধারণত ট্রেইনি ডাক্তাররা এখানে গবেষণা সংক্রান্ত কাজ করে থাকেন। এছাড়া থিসিসের কাজও এখানে সম্পন্ন হয়। পাশাপাশি, শিক্ষকরা ব্যক্তিগত উদ্যোগে তাদের গবেষণা কার্যক্রম পরিচালনা করেন।’
তিনি গবেষণা জার্নাল সম্পর্কে বলেন, সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ থেকে ‘জার্নাল অব সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ’ নামে একটি মেডিকেল জার্নাল নিয়মিত প্রকাশিত হয়। এছাড়া কলেজে নিয়মিতভাবে ওয়ার্কশপ, সেমিনার ও সিম্পোজিয়ামের আয়োজন করা হয়, যা শিক্ষার্থী ও চিকিৎসকদের জন্য জ্ঞান বিনিময়ের গুরুত্বপূর্ণ সুযোগ সৃষ্টি করে। এসব কার্যক্রম তাদের গবেষণার দক্ষতা বৃদ্ধির পাশাপাশি চিকিৎসা বিজ্ঞানে নতুন দৃষ্টিভঙ্গি অর্জনে সহায়তা করে।
এক্সট্রা কারিকুলার কার্যক্রম
শাহরিয়ার রহমান শাকিল বলেন, ‘আমাদের কলেজে বিভিন্ন আন্ত-মেডিকেল বিতর্ক প্রতিযোগিতা, আন্তঃব্যাচ ফুটবল ও ক্রিকেট টুর্নামেন্ট আয়োজন করা হয়। এসব প্রতিযোগিতার মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা তাদের প্রতিভা প্রদর্শন করতে পারেন। এছাড়া সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানগুলো ওকেশন ভিত্তিক হয়, যেমন বসন্ত উৎসব, পিঠা উৎসব এবং কালচারাল উইক, যা শিক্ষার্থীদের সাংস্কৃতিক দক্ষতা ও ঐতিহ্যিক অনুশীলনকে তুলে ধরে।’
‘আমাদের স্পেস ও ইনফ্রাস্ট্রাকচারের অভাব রয়েছে এটা নিশ্চিত। কিন্তু আমরা শিক্ষার্থীদের এ সমস্যা সমাধানের জন্য প্রশাসনের সাথে কাজ করছি। অপরদিকে শিক্ষার্থীরা ব্যবহারিক ক্লাসের জন্য ক্লিনিক্যাল হাসপাতালে কাজ করে। যেখানে তারা মৌলিক বিষয়গুলোর ওপর বেশি গুরুত্ব দেয়।’ -অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. সাকি মো. জাকিউল আলম
অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. সাকি মো. জাকিউল আলম বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের সার্বিক মানোন্নয়নের জন্য আমাদের প্রতিষ্ঠানে এক্সট্রা কারিকুলার অ্যাক্টিভিটিস চালু রয়েছে। এসব কার্যক্রম শিক্ষার্থীদের শারীরিক, মানসিক ও সৃজনশীল দক্ষতা বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। তবে এখনো এ কার্যক্রমের পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়ন সম্ভব হয়নি। আমরা ক্রমাগত উন্নয়নের চেষ্টা করছি, যাতে শিক্ষার্থীরা শিক্ষার পাশাপাশি বিভিন্ন সহশিক্ষা কার্যক্রমেও সক্রিয়ভাবে অংশ নিতে পারে এবং বহুমুখী দক্ষতা অর্জন করতে পারে।’
আরো পড়ুন: শেষ হলো বিডিএস ভর্তি পরীক্ষা
সফলতা
নাফিসা বলেন, ‘আমাদের কলেজের সফলতা হলো ২০০৬ সালে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর থেকে একনামে সবাই চেনে। এখানকার শিক্ষার্থীরা দেশের মধ্যে এবং দেশের বাইরে বেশ ভালো করছে। তবে পোস্ট-গ্র্যাজুয়েশন শেষ করার পর, গ্র্যাজুয়েটরা বেশি ভালো ক্যারিয়ার গড়ে থাকে। কিন্তু আমাদের কলেজে স্পেস এবং ইনফ্রাস্ট্রাকচারের অভাব রয়েছে, যা আমাদের উন্নতির পথে বাধা হয়ে দাঁড়ায়।’
এ নিয়ে অধ্যক্ষ বলেন, ‘আমাদের স্পেস ও ইনফ্রাস্ট্রাকচারের অভাব রয়েছে এটা নিশ্চিত। কিন্তু আমরা শিক্ষার্থীদের এ সমস্যা সমাধানের জন্য প্রশাসনের সাথে কাজ করছি। অপরদিকে শিক্ষার্থীরা ব্যবহারিক ক্লাসের জন্য ক্লিনিক্যাল হাসপাতালে কাজ করে। যেখানে তারা মৌলিক বিষয়গুলোর ওপর বেশি গুরুত্ব দেয়। এছাড়া, কলেজের নিজস্ব ল্যাবেও ব্যবহারিক কার্যক্রম পরিচালিত হয়। যা শিক্ষার্থীদের হাতে-কলমে শিক্ষা গ্রহণে সহায়তা করে।
অধ্যাপক ডা. সাকি মো. জাকিউল আলম আরও বলেন, নেপাল, ভূটান, ভারত, পাকিস্তান, প্যালেস্টাইন, যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডা থেকে শিক্ষার্থীরা এখানে উচ্চশিক্ষা নিতে আসেন। তাদের উপস্থিতি শিক্ষার পরিবেশকে আরও সমৃদ্ধ ও গতিশীল করে তুলেছে।