গুম হওয়া নেতাকর্মীদের খোঁজে র‌্যাবের সদর দপ্তরে ছাত্রশিবির

ছাত্রশিবিরের প্রতিনিধি দল
ছাত্রশিবিরের প্রতিনিধি দল  © সংগৃহীত

দীর্ঘ ১১ বছর ধরে গুম হয়ে থাকা ছাত্রশিবিরের ৫ নেতাকর্মীর খোঁজ নিতে র‌্যাব সদর দপ্তরে গিয়ে মহাপরিচালক শহীদুর রহমানের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছে ইসলামী ছাত্রশিবিরের একটি প্রতিনিধি দল।

বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) দুপুর ২টায় র‌্যাব সদর দপ্তরে প্রবেশ করেন তারা। কেন্দ্রীয় ছাত্রকল্যাণ সম্পাদক মো. আব্দুল্লাহ আল মামুনের নেতৃত্বে ৫ সদস্যের এক প্রতিনিধি র‌্যাব মহাপরিচালক(ডিজি) এ কে এম শহীদুর রহমানের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে গুম হওয়া ব্যক্তিদের খোঁজ জানতে চান।

র‌্যাব কার্যালয় থেকে বের হয়ে ছাত্রকল্যাণ সম্পাদক মো. আব্দুল্লাহ আল মামুন সাংবাদিকদের বলেন, আওয়ামী শাসনামলে এই পর্যন্ত আমাদের অনেক নেতাকর্মী গুম হয়েছে। এর মধ্যে ২০১৩ থেকে ২০১৬ পর্যন্ত গুম হওয়া আমাদের পাঁচজন মেধাবী শিক্ষার্থীদের খোঁজ আমরা এখনো পাইনি, আমরা তাদের সন্ধানের জন্য র‌্যাব হেড কোয়ার্টারে এসেছি। আমরা তাদেরকে ফিরে পেতে চাই, তাদেরকে জীবিত অবস্থায় পরিবারের কাছে পৌঁছে দিতে চাই।

তিনি বলেন, র‌্যাবের ডিজি আমাদের সকল কথা শুনেছেন। তারা দ্রুত সময়ে তদন্ত করে আমাদের জানাবেন বলে আশ্বাস দিয়েছেন।

গুম হওয়া শিক্ষার্থীদের মধ্যে রয়েছেন— ১. শাহ মো: ওয়ালীউল্লাহ, মাতা- আফিফা রহমান, পিতা- মো: ফজলুর রহমান, থানা- কাঠালিয়া, জেলা- ঝালকাঠি। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান- ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয়, কুষ্টিয়া। ০৪/০২/২০১২ তারিখে ঢাকা থেকে ক্যাম্পাসে যাওয়ার পথে হানিফ গাড়ি (গাড়ি নং : ৩৭৫০) থেকে আশুলিয়ার নবিনগর স্থান থেকে গুম করা হয়।

২। মো. মোকাদ্দেস আলী, মাতা- আয়েশা সিদ্দীকা, পিতা- আব্দুল হালিম, থানা- সদর, জেলা- পিরোজপুর। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান- ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয়, কুষ্টিয়া। ০৪/০২/২০১২ তারিখে ঢাকা থেকে ক্যাম্পাসে যাওয়ার পথে হানিফ গাড়ি (গাড়ি নম্বর : ৩৭৫০) থেকে আশুলিয়ার নবিনগর স্থান থেকে গুম করা হয়।

৩। হাফেজ জাকির হোসেন, মাতা- আলেয়া খাতুন, পিতা- তাজ মোহাম্মদ, থানা- মিরপুর জেলা- কুস্টিয়া। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান- ঢাকা ইনসটিটিউট অব মেডিকেল টেকনোলজিতে ডেন্টাল শেষ পর্ব। ০২/০৪/২০১৩ তারিখে শ্যামলী রিং রোড়ের ১৯/৬ টিকাপাড়া বাসা থেকে গুম করে।

৪। মো. জয়নাল আবদেীন, মাতা- হোসনে আরা বেগম, পিতা- নুর মোহাম্মদ, থানা- রাঙ্গুনিয়া, জেলা- চট্টগ্রাম। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান- বান্দরবন ডিগ্রি কলেজ। ১৮/০৬/২০১৭ তারিখে বান্দরবন সদর শহরতলির লেমুঝিরি গর্জনিয়াপাড়া মসজিদের কক্ষ থেকে গুম করা হয়।

৫। রেজোয়ান হোসাইন, মাতা- মোছা: সেলিনা খাতুন, পিতা- মিজানুর রহমান, থানা- বেনাপোল, জেলা- যশোর। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান- বাগাছড়া কলেজ ডিগ্রি কলেজ, যশোর। ০৪/০৮/২০১৬ তারিখে যশোর বেনাপোল পোর্ট সংলগ্ন দুর্গাপুর বাজার থেকে গুম করা হয়।

আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, আমাদের যে সব ভাইকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়েছে প্রত্যক্ষদর্শীদের মতে তাদেরকে র‌্যাব নিয়ে গেছে। অন্যদিকে র‌্যাব তাৎক্ষণিকভাবে পরিবারের কাছে উঠিয়ে নেয়ার বিষয়টি অস্বীকার করে এবং আজ পর্যন্ত আমরা তাদের কোনো খোঁজ পাইনি। আমরা গুম হওয়া ব্যক্তিদের নিয়ে খুবই উদ্বিগ্ন! আমরা তাদের দ্রুত সন্ধান চাই।


সর্বশেষ সংবাদ