শিশুর মৃত্যু, নাপা সিরাপের রিঅ্যাকশন রহস্যজনক

নাপা সিরাপ
নাপা সিরাপ  © সংগৃহীত

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় নাপা সিরাপ খেয়ে দুই শিশুর মৃত্যুর ঘটনায় সারা দেশের পাইকারি ও খুচরা ফার্মেসি পরিদর্শন করে ওই ওষুধ পরীক্ষার নির্দেশ দিয়েছে ঔষধ প্রশাসন অধিদফতর।

শনিবার (১২ মার্চ) ঔষধ প্রশাসন অধিদফতরের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মোহাম্মদ ইউসুফ স্বাক্ষরিত এক জরুরি অফিস আদেশে এ নির্দেশনা দেওয়া হয়।

রোববার (১৩ মার্চ) দুপুর সোয়া ১২টায় আশুগঞ্জ উপজেলার দুর্গাপুর ইউনিয়নের দুর্গাপুর গ্রামে গিয়ে তদন্ত কমিটির সদস্যরা ওই দুই শিশুর স্বজনদেন সঙ্গে কথা বলেন। সেই সঙ্গে পরীক্ষার প্রতিবেদন ন্যাশনাল কন্ট্রোল ল্যাবরেটরিতে পাঠানোর জন্যও বলা হয়েছে।

তদন্ত কমিটি মৃত দুই শিশুর মা লিমা বেগম ও চাচা উজ্জল মিয়া ও দাদি লিলুফা বেগমের সাক্ষ্য নেন। সাক্ষ্য গ্রহণ শেষ তদন্ত কমিটির প্রধান ডা. আকিব হোসেন সাংবাদিকদের জানান, যে সিরাপটি নিয়ে অভিযোগ উঠেছে, সেটি পরীক্ষার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। ইতোমধ্যে পরীক্ষা শুরু হয়েছে। একই ওষুধের অন্যান্য ব্যাচের ওষুধ সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে।

আরও পড়ুন: শেষ ধাপে একাদশে ভর্তির আবেদন শুরু ১৫ মার্চ

শিশুদের স্বজনরা জানিয়েছে, ওষুধ খাওয়ানোর পরই তারা অসুস্থ হয়ে পড়ে। এ বিষয়টি ঊর্ধ্বতনদের সঙ্গে আলোচনা করা হবে। ওষুধটিতে কী এমন উপাদান ছিল যে খাওয়ার ১০/১৫ মিনিটের মধ্যে রিঅ্যাকশন করল। বিষয়টি আসলেই রহস্যজনক। এই রহস্য উদঘাটন করতে হয়তো সময় লাগবে।

এর আগে শুক্রবার (১১ মার্চ) রাতে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জে নাপা সিরাপ খেয়ে একই পরিবারের দুই শিশুর মৃত্যুর অভিযোগ ওঠে। এ ঘটনায় জেলা কেমিস্ট অ্যান্ড ড্রাগিস্ট সমিতির পক্ষ থেকে নাপা সিরাপ বিক্রি বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত হয়। এ বিষয়ে জেলার সব ওষুধ ব্যবসায়ীকে অনুরোধ করা হয় সমিতির পক্ষ থেকে।

এ অভিযোগের সত্যতা যাচাই করতে সারা দেশ থেকে বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালসের (প্যারাসিটামল ১২০ মি. গ্রাম/৫ মি. গ্রাম, ব্যাচ নম্বর ৩২১১৩১২১, উৎপাদন তারিখ ১২/২০২১, মেয়াদোত্তীর্ণ তারিখ ১১/২০২৩) উৎপাদিত নাপা সিরাপের নমুনা পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছে ঔষধ প্রশাসন অধিদফতর।


সর্বশেষ সংবাদ