পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েও আর্থিক সঙ্কটে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি অনিশ্চিত মিথিলার

  © সংগৃহীত

পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার সিংহেরকাঠী গ্রামের কৃষক মো. জাহাঙ্গীর সর্দারের মেয়ে মিথিলা আক্তার (ছদ্মনাম)। পরিবারের ছয় ভাই বোনের মধ্যে তিনি পঞ্চম। টাকার অভাবে তাঁর বড় চার ভাইবোনকে পড়াশোনা করাতে পারেনি কৃষক পিতা। পরিবারের এই অভাবের মধ্যেই ২০২০ সালে স্থানীয় এক স্কুল থেকে এস.এস.সি পরিক্ষায় জিপিএ ৪.৭৮ এবং ২০২২ সালে স্থানীয় কলেজ থেকে এইচ. এস. সি পরীক্ষায় ৪.৫০ রেজাল্ট অর্জন করে ৷ গুচ্ছ ভর্তি পরিক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনা বিভাগে ভর্তি হওয়ার সুযোগ পেয়েছেন তিনি। 

ছোট থেকেই বাবা-মায়ের হাড়ভাঙা পরিশ্রম দেখে আসছেন মিথিলা। সংসারের ভরণপোষণের টানাপড়েন ছিল তাঁর পরিবারের নিত্যদিনের সঙ্গী। কৃষক পিতা মো. জাহাঙ্গীর সর্দারের পক্ষে যেখানে ভরণপোষণের চাহিদা মেটাতে হিমশিম খেতে হয়, সেখানে পড়াশোনা চালানো এক দুর্বিষহ ব্যাপার ছিল তার পক্ষে। তবে ছোটবেলা থেকেই দৃঢ় মনোবল ও আত্মবিশ্বাসের অধিকারী ছিল সে। সংসারের টানাপোড়েনকে সঙ্গী করে স্কুল ও কলেজের গণ্ডি পেরিয়ে ভর্তি হওয়ার সুযোগ পেয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ে। তবে অভাব অনটনের মধ্যেও এতদূর পর্যন্ত পড়াশোনা চালিয়ে এলেও এবার থমকে গেছে তার বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির স্বপ্ন। তবুও স্বপ্ন বুনছেন সরকার ও বিত্তবানদের সহযোগিতা পেলে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়ে নিজের স্বপ্ন পূরণ এবং দেশের জন্য ভালো কিছু করবেন।

এ বিষয়ে মিথিলা দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে জানান, আমি সেকেন্ড টাইম অ্যাডমিশন দিয়ে বঙ্গমাতা শেখ ফজিাতুন্নেসা মুজিব বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় এ ব্যবস্থাপনা বিভাগ সুযোগ পাই। আমার মা গৃহিণী এবং বাবা কৃষি কাজ করে খুবই স্বল্প আয় আমাদের পরিবারের যা দ্বারা আমাদের পরিবার চলা খুবই কষ্টকর ফলে পরবি বারের ব্যয় বহন করে আমার লেখাপড়ার আর্থিক খরচ চালিয়ে যাওয়া তাদের পক্ষে সম্ভব নয়। আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে ব্যবস্থাপনা বিভাগ এ মোট ভর্তি ফি ১৮ হাজার ৭২০ টাকা। প্রাইমারি ভর্তি তে ৫ হাজার টাকা অনেক কষ্ট করে দিয়েছি। এখন ফাইনাল ভর্তির জন্য আরো ১৩ হাজার ৭২০ টাকা প্রয়োজন। যা আমার পরিবারের জন্য কষ্টকর হয়ে যাচ্ছে। তার মধ্যে এতো দূর থেকে যাওয়া আসার অনেক খরচ। এমতাবস্থায় কেউ যদি আমাকে একটু সহযোগিতা করতেন, তাহলে আমি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়ে শিক্ষাজীবন চালিয়ে যাওয়ার এবং আমার স্বপ্ন পূরণের সুযোগ পেতাম। 


সর্বশেষ সংবাদ