বুয়েটে ছাত্ররাজনীতির বিপক্ষে ৯৯.৫৯ ভাগ শিক্ষার্থী: জরিপ

  © সংগৃহীত

বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বুয়েট) ফের ছাত্ররাজনীতি চালুর পক্ষ-বিপক্ষে চলছে তুমুল আলোচনা-সমালোচনা। মূলত সেখানকার অধিকাংশ সাধারণ শিক্ষার্থীরা (সাবেক ও বর্তমান) ক্যাম্পাসে ছাত্ররাজনীতি না রাখার পক্ষেই। অন্যদিকে, ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠন ছাত্রলীগসহ কয়েকটি সরকার সমর্থিত কয়েকটি সংগঠন সেখানে ছাত্ররাজনীতি ফেরাতে মরিয়া। 

এদিকে সাবেক ও বর্তমান শিক্ষার্থীদের একটি জরিপে দেখা গেছে, শতকরা শূন্য দশমিক ৪১ ভাগ বুয়েটে ছাত্ররাজনীতি দেখতে চায়। বাকি ৯৯ দশমিক ৫৯ ভাগ ছাত্ররাজনীতি দেখতে চায় না। ফেসবুকে “বুয়েটে আড়িপেতে শোনা” নামে একটি গ্রুপের এই জরিপে অংশ নেন ৪ হাজার ৭৯৬ জন শিক্ষার্থী। গ্রুপটিতে সদস্য সংখ্যা সংখ্যা ২৪ হাজার ৫ জন।

যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়া স্টেট ইউনিভার্সিটি সান মার্কোসের অ্যাসিস্ট্যান্ট প্রফেসর ও বুয়েটের সাবেক শিক্ষার্থী ড. মুহাম্মদ লুৎফর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। বুধবার (৩ এপ্রিল) দুপুরে এই জরিপের ফল নিয়ে ফেসবুকে তিনি একটি স্ট্যাটাস দিয়েছেন। 

স্ট্যাটাসে তিনি লিখেছেন, বুয়েট কমিউনিটির ঠিক কতজন বুয়েটে ছাত্ররাজনীতির পক্ষে? আসুন সত্যিকারের ডাটা নিয়ে কথা বলি। ফেসবুকে বুয়েটের সবচেয়ে বড় একটা গ্রুপ আছে। গ্রুপটির নাম “বুয়েটে আড়িপেতে শোনা”। অনেক মজার মজার কাজ হয়। অনেক ভালো কাজ হয়। মাঝে মাঝে তুমুল তর্কবিতর্কও হয়। এই গ্রুপে ভেরিফাই করে মেম্বার যোগ করা হয়। বর্তমানে এই গ্রুপের সদস্য সংখ্যা ২৪০০৫। আমার জানামতে বাংলাদেশে এটি একমাত্র গ্রুপে যেখানে সদস্যদের ভোটে ছয় মাসের জন্য অ্যাডমিন প্যানেল নির্বাচিত হয়।  

তিনি আরও লিখেছেন, কাজের কথায় আসি। দুইদিন আগে আড়িপাতায় একটি পোল খোলা হয়েছে। পোলটির প্রশ্ন ছিল: বুয়েটে ছাত্র রাজনীতি থাকা উচিত নাকি অনুচিত? অপশন দুটি ছিল: হ্যাঁ, থাকা উচিত না, থাকা অনুচিত। 

এই পোস্ট লেখার আগ পর্যন্ত সর্বমোট ৪৭৯৬ জন ভোট দিয়েছে এই পোলে। হ্যাঁ’তে ভোট পড়েছে ২০টি আর না’তে ভোট পড়েছে ৪৭৭৬। মানে বুয়েট কমিউনিটির শতকরা ০.৪১ ভাগ বুয়েটে রাজনীতি দেখতে চায়। বাকি ৯৯.৫৯ ভাগ মানুষ বুয়েটে রাজনীতি দেখতে চায় না।মেসেজ কি ক্লিয়ার? পুনচ, জোর করে অনেক কিছুই করানো যায়। তাতে ভালোর চেয়ে খারাপই বেশি হয়।


সর্বশেষ সংবাদ