দেশের অগ্রযাত্রার পথ-বিচ্যুতি মঙ্গলজনক হবে না: চুয়েট উপাচার্য

শহীদ বুদ্ধিজীবীদের স্মরণে চুয়েটের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা নিবেদন
শহীদ বুদ্ধিজীবীদের স্মরণে চুয়েটের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা নিবেদন  © টিডিসি ফটো

চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (চুয়েট) উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রফিকুল আলম বলেছেন, বাংলাদেশের চলমান অগ্রযাত্রার যে কোন পথ-বিচ্যুতি কারো জন্য মঙ্গলজনক হবে না। আত্মঘাতী কাজে সকলের বিপত্তি ঘটবে জানিয়ে তিনি বলেন, দেশকে, দেশের মানুষকে, দেশের সংস্কৃতিকে ভালোবাসতে হবে। এভাবেই শহীদ বুদ্ধিজীবীদের প্রতি প্রকৃত শ্রদ্ধা জানানো সম্ভব হবে।

বৃহস্পতিবার (১৪ই ডিসেম্বর) সকালে চুয়েটের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে শহীদ বুদ্ধিজীবীদের স্মরণে পুষ্পস্তবক অর্পণ শেষে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বাংলাদেশকে এগিয়ে নিতে হবে জানিয়ে উপাচার্য বলেন, শহীদ বুদ্ধিজীবীরা তাঁদের সৃজনশীলতা, জ্ঞান ও দক্ষতা দ্বারা স্বাধীন বাংলাদেশকে আরও সমৃদ্ধ করতে পারতেন। কিন্তু ঘাতকদের নির্মমতায় তাঁরা সেটি পারেননি। এটা জাতির জন্য অপূরণীয় ক্ষতি। শহিদ বুদ্ধিজীবীদের আত্মত্যাগ তখনই সার্থক হবে, যখন আমরা তাঁদের স্বপ্নের বাস্তবায়ন ঘটাতে পারব।

আরও পড়ুন: বুদ্ধিবৃত্তির পঞ্চাশ বছর কি কেবলই পিছিয়ে যাওয়ার?

এর আগে শ্রদ্ধা নিবেদনকালে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন অনুষদের ডিন, রেজিস্ট্রার ও ছাত্রকল্যাণ পরিচালকসহ চুয়েট পরিবারের সদস্যরা। এরপর বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাকাডেমিক কাউন্সিল কক্ষে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসের উপর একটি আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে স্বাগত বক্তব্য রাখেন যন্ত্রকৌশল অনুষদের ডিন ও রেজিস্ট্রার (অতিরিক্ত দায়িত্ব) অধ্যাপক ড. শেখ মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির। এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন পুরকৌশল অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. সুদীপ কুমার পাল, তড়িৎ ও কম্পিউটার কৌশল অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ সামসুল আরেফিন, স্থাপত্য ও পরিকল্পনা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ রাশিদুল হাসান।

ছাত্রকল্যাণ পরিচালক অধ্যাপক ড. মো. রেজাউল করিমের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য রাখেন শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. আবু সাদাত মুহাম্মদ সায়েম, কর্মকর্তা সমিতির সাধারণ সম্পাদক প্রকৌশলী মো: মকবুল হোসেন, স্টাফ অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মো. জামাল উদ্দীন। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা ও বুদ্ধিজীবী দিবসের উপর প্রামাণ্যচিত্র উপস্থাপন করেন উপ-পরিচালক (তথ্য ও প্রকাশনা) মোহাম্মদ ফজলুর রহমান। আলোচনা অনুষ্ঠানে সহ-সঞ্চালনায় ছিলেন সেকশন অফিসার (সিন্ডিকেট শাখা) মীর মো. রাতুল হাসান।

এছাড়াও দিবসটি উপলক্ষ্যে সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারী ও ছাত্র-ছাত্রীদের অংশগ্রহণে কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে শহিদ বুদ্ধিজীবীদের স্মরণে মোমবাতি প্রজ্বলন কর্মসূচির আয়োজন করা হয়েছে।


সর্বশেষ সংবাদ