রাবি ক্যাম্পাস থেকে শিক্ষার্থী অপহরণ, রুয়েট ছাত্রলীগের ৩ নেতা কারাগারে

রুয়েট
রুয়েট  © সংগৃহীত

শিক্ষার্থীকে তুলে নিয়ে মুক্তিপণ দাবির মামলায় রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (রুয়েট) ছাত্রলীগের গ্রেপ্তার তিন নেতাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বুধবার (৮ ফেব্রুয়ারি) আসামীদের আদালতে উপস্থাপন করলে তাদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন বিচার। 

কারাগারে যাওয়া ছাত্রলীগ নেতারা হলেন- রুয়েট ছাত্রলীগের সহসম্পাদক শাহ আলম রাতুল, তার অনুসারী নূর মোহাম্মদ নাবিল ও কামরান সিদ্দিক রাশেদ। তারা রুয়েটের কেমিক্যাল অ্যান্ড ফুড প্রসেসিং ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থী এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ শহিদুল ইসলাম হলের ছাত্র।

এর আগে মঙ্গলবার রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) ক্যাম্পাস থেকে অপহরণের শিকার নাজমুল হাসান তাদের নামে মামলা করলে অভিযান চালিয়ে মতিহার থানাসংলগ্ন সুইটের মোড় থেকে আসামিদের ধরে পুলিশ। মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়, গতকাল মঙ্গলবার রাতে রাজশাহীর ইনস্টিটিউট অব হেলথ টেকনোলজির শেষ বর্ষের শিক্ষার্থী নাজমুল তার বান্ধবীকে নিয়ে রাবির শেখ রাসেল মাঠের পাশের পুকুর পাড়ে বসে গল্প করছিলেন। এ সময় দুটি মোটরসাইকেলে সেখানে উপস্থিত হন রাতুল, নাবিল ও রাশেদ। তারা নাজমুলের কাছে পরিচয় জানতে চান।

নাজমুল ঘুরতে আসার কথা জানালে তার বান্ধবীকে আলাদাভাবে জিজ্ঞাসাবাদ করে সরিয়ে দেওয়া হয়। এরপর ওই তিনজন নাজমুলকে জোরপূর্বক মোটরসাইকেলে তুলে রুয়েটে নিয়ে যান। সেখানে তার কাছে ৫০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করা হয়। না দেওয়ায় ক্যাম্পাসের বাইরে একটি গ্যারেজে আটকে রেখে নির্যাতন করা হয়। এক পর্যায়ে নাজমুল টাকা চেয়ে তার বাবা এবং বন্ধুদের কল করলে বিষয়টি থানায় জানানো হয়। পুলিশ গিয়ে ভুক্তভোগীকে উদ্ধার এবং অভিযুক্তদের আটক করে।

মতিহার থানার ওসি হাফিজুর রহমান বলেন, অপহরণ ও মুক্তিপণ দাবির ঘটনায় তিনজনকে আটক করা হয়েছে। ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর দায়ের করা মামলায় তাদের গ্রেপ্তার দেখিয়ে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।

রুয়েট শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক চৌধুরি মাহাফুজুর রহমান তপু বলেন, শিক্ষার্থী অপহরণ ও চাঁদা দাবির ঘটনায় আমাদের এক নেতা জড়িত। ইতোমধ্যে তাকে সংগঠন থেকে অব্যাহতি দিয়েছি। তাকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কারের জন্য কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের কাছে সুপারিশও করা হয়েছে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে রুয়েট রেজিস্ট্রার অধ্যাপক সেলিম হোসেন বলেন, এক ছাত্রকে অপহরণ ও চাঁদা দাবির অভিযোগে আমাদের তিন শিক্ষার্থী জড়িত থাকায় তাদের পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে বলে শুনেছি। বিষয়টি তদন্ত করে শৃঙ্খলা কমিটির বৈঠক করে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।


সর্বশেষ সংবাদ