বেরোবির চিঠিতে ‘রোকেয়া’ বানান ভুল

বেরোবির চিঠিতে ‘রোকেয়া’ বানান ভুল
বেরোবির চিঠিতে ‘রোকেয়া’ বানান ভুল  © সংগৃহীত

বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার বরাবর দেওয়া অর্থনীতি বিভাগের প্রধান জনি পারভীনের এক চিঠিকে ১৩টি বানান ভুল দেখা গেছে। এ নিয়ে চলছে আলোচনা-সমালোচনা। বুধবার (৫ জানুয়ারি) বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার বরাবর দেওয়া চিঠির একটি কপি দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসের হাতে এসেছে।

রেজিস্ট্রার বরাবর লেখা চিঠির সূত্রে জানা যায়, চলতি বছরের ৩ জানুয়ারি বর্তমান অর্থনীতি বিভাগের প্রধান থাকা অবস্থায় অন্য একজনকে দায়িত্ব প্রদান করার বিষয়ে প্রতিকার চেয়ে রেজিস্ট্রার বরাবর অনুরোধ জানিয়ে একটি চিঠিটি দেন জনি পারভীন।

আরও পড়ুন: বেরোবি উপাচার্যের দুর্নীতির প্রমাণ পেয়েছে ইউজিসি, ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ

পত্রটিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম ‘রোকেয়া’ বানানে ‘রোকেযা’, ‘রেজিস্ট্রার’ বানানে ‘রেজিষ্ট্রার’, ‘দায়িত্ব’ বানানে ‘দাযিত্ব’, ‘বহির্ভূত’ বানানে ‘বহিভূত’, ‘কর্তৃপক্ষ’ বানানে ‘কতৃপক্ষ’, ‘বাতিল’ বানানে ‘বাতলি’, ‘বাধিত’ বানানে ‘বার্ধিত’, ‘গ্রহণ’ বানানে ‘গ্রহন’, ‘আইনি’ বানানে ‘আইনী’ এবং ডিন বানানে ‘ডীন’ এমন সব গুরুত্বপূর্ন শব্দের বানান ভুল দেখা গেছে।

এ বিষয়ে জানতে জনি পারভীনের সঙ্গে মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হয়েছে। কিন্তু তাকে পাওয়া যায়নি।

আরও পড়ুন: ভিকারুননিসার ফটকের ব্যানারে বানান ভুল

এদিকে, নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিভাগের একাধিক শিক্ষার্থী বলেন, একজন সহযোগী অধ্যাপক ও বিভাগীয় প্রধানের চিঠিতে এত বানান ভুল মেনে নেওয়া যায় না। দেশের সর্বোচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের একজন শিক্ষক হিসেবে বাংলা বানানে আরেকটু সতর্ক থাকা দরকার ছিল তার।

একই কথা বলেছেন খোদ অর্থনীতি বিভাগের কয়েকজন শিক্ষক। তারাও নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, এমনিতেই তার (বিভাগীয় প্রধান) বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহারসহ বিভিন্ন অভিযোগ রয়েছে। এসব অভিযোগের নিষ্পত্তির দাবিতে শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা লাগাতার অবস্থান কর্মসূচি, বিক্ষোভ ও ক্লাস বর্জনও করেছে।

আরও পড়ুন: শিক্ষা ও গবেষণায় অবদান রাখবে বেরোবি: উপাচার্য

বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, সমালোচিত সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক নাজমুল আহসান কলিম উল্লাহর আমলে অর্থনীতি বিভাগের প্রধান হিসেবে নিয়োগ পান শিক্ষক জনি পারভীন। তার বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহার, অনিয়ম, স্বেচ্ছাচারিতা, হয়রানি ও অসৌজন্যমূলক আচরণের অভিযোগ উঠে। দাবি উঠে তাকে অপসারণের।

জনি পারভীনের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ তদন্ত করে একটি প্রতিবেদন উপাচার্যের কাছে দিয়েছে কমিটি। এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার আবু হেনা মোস্তফা কামাল বলেন, বিষয়টি বিশ্ববিদ্যালয় সিন্ডিকেট সভায় উপস্থাপন করা হবে। সেখানেই সিদ্ধান্ত হবে। তবে ভুলে ভরা চিঠির বিষয়ে তিনি কোনও মন্তব্য করতে চাননি।


সর্বশেষ সংবাদ