মাদ্রাসা সুপারের ধর্ষণের শিকার ছাত্রী অন্তঃসত্ত্বা হয়ে হাসপাতালে
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ২০ জানুয়ারি ২০২০, ০৮:২৯ AM , আপডেট: ২০ জানুয়ারি ২০২০, ০৮:২৯ AM
নেত্রকোনার কেন্দুয়ায় মাদ্রাসা সুপার কর্তৃক ধর্ষণের শিকার হয়ে এক শিশু ছাত্রী (১১) অন্তঃসত্ত্বা হয়। পরে তাকে জোর করে গর্ভপাতের ট্যাবলেট খাওয়ানোয় অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের ফলে ভর্তি হতে হয়েছে হাসপাতালে।
রোববার (১৯ জানুয়ারি) কেন্দুয়া থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) সুজন ব্যানার্জী বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
জানা যায়, কেন্দুয়া উপজেলার রোয়াইলবাড়ি ইউনিয়নের চরআমতলা কোনাবাড়ী গ্রামের ফারুক মিয়ার ছেলে আব্দুল হালিম সাগর কয়েক বছর আগে রোয়াইলবাড়ী বাজার সংলগ্ন আশশরাফুল উলূম জান্নাতুল মাওয়া মহিলা মাদরাসার প্রতিষ্ঠা করে সুপারের দায়িত্ব পালন করছিলেন। কয়েক মাস আগে মাদরাসায় একই এলাকার এক অসহায় এতিম ছাত্রীকে ধর্ষণ করে মাদরাসা সুপার। এ ঘটনায় ওই ছাত্রী ৩/৪ মাসের গর্ভবতী হয়ে পড়ে। বর্তমানে মাদ্রাসা সুপার আব্দুল হালিম (৩৪) পলাতক রয়েছে।
এ ব্যাপারে কেন্দুয়া থানার পেমই তদন্ত কেন্দ্রের এসআই সুজন ব্যানার্জী বলেন, ‘মাদ্রাসা সুপার হালিম তার মাদ্রাসার এতিম ছাত্রীকে ধর্ষণ করে বলে জানা গেছে। ফলে মেয়েটি চার মাসের অন্তঃসত্ত্বা ছিল। হালিম বিষয়টি টের পেয়ে গত বৃহস্পতিবার (১৬ জানুয়ারি) রাতে ছাত্রীকে গর্ভপাতের ওষুধ খাওয়ায়। এতে মৃত বাচ্চা প্রসবের পর অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে ওই ছাত্রী অসুস্থ হয়ে পড়ে। এরপর প্রথমে কিশোরগঞ্জ হাসপাতালে এবং পরে তাকে ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয় বলে শুনেছি।’
এসআই আরও বলেন, এ ঘটনার পর শনিবার রাতে ধর্ষকের বাড়িতে অভিযান চালানো হয়। এ সময় ধর্ষকসহ পরিবারের কাউকে বাড়িতে পাওয়া যায়নি। মনে হচ্ছে সবাই ঘটনার পর পালিয়ে গেছে। অন্যদিকে ভুক্তভোগী শিশু শিক্ষার্থীর বাবাকেও পাওয়া যায়নি।
কেন্দুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাশেদুজ্জামান বলেন, গত রাতেও পুলিশ ধর্ষককে ধরার চেষ্টা করেছে। ধর্ষকসহ সবাই পালিয়ে গেছে। তাকে ধরার জন্য অভিযান অব্যাহত রয়েছে।