তদবির করতে এসে এসপি অফিসে হত্যা মামলার আসামি গ্রেপ্তার
ব্রাহ্মণবাড়িয়া পুলিশ সুপারের (এসপি) কার্যালয়ে তদবির করতে এসে গ্রেপ্তার হয়েছেন বাচ্চু মিয়া (৫০) নামের এক ব্যক্তি। সোমবার (১৫ সেপ্টেম্বর) বিকেলে তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পুলিশ জানিয়েছে, তার বিরুদ্ধে দুটি হত্যাসহ চারটি মামলা আছে।
গ্রেপ্তার বাচ্চু মিয়ার বাড়ি সরাইল উপজেলার অরুয়াইল ইউনিয়নের ধামাউড়া গ্রামে। তিনি কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের অরুয়াইল ইউনিয়ন শাখার যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। গতকাল সন্ধ্যায় তাকে সরাইল থানা–পুলিশের কাছে হস্থান্তর করা হয়। মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বাচ্চু মিয়ার বিরুদ্ধে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল এবং ঢাকার আদাবর থানায় দুটি হত্যা মামলা রয়েছে। এ ছাড়া তার বিরুদ্ধে আরও দুটি মামলা চলমান। সর্বশেষ গত শনিবার (১৩ সেপ্টেম্বর) ধামাউড়া গ্রামের সাবেক ইউপি সদস্য শিরিন আক্তারকে মারধরের অভিযোগে সরাইল থানায় একটি মামলা হয়, যেখানে বাচ্চু মিয়া এক নম্বর আসামি।
শিরিন আক্তার অভিযোগ করেন, ‘বাচ্চু মিয়ার নেতৃত্বে আমাকে মারধর করা হয়েছে। তার লোকজন মামলা তুলে নিতে হুমকি দিচ্ছে। ভয়ে আমি একা মেয়েকে স্কুলে আনা-নেওয়া করতে পারছি না। আমি এ ঘটনার বিচার চাই।’
আরও পড়ুন: বাগছাস থেকে মুখ্য সংগঠক হাসিবের পদত্যাগ
সোমবার দুপুরের পর বাচ্চু মিয়া এসপি কার্যালয়ে গিয়ে সাম্প্রতিক মামলাটি ‘মিথ্যা প্রমাণের’ চেষ্টা করেন। একপর্যায়ে পুলিশ সুপারের নির্দেশে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
এর আগে ২০২৪ সালের ১২ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যায়ও পুলিশ সুপারের কার্যালয়ের সামনে থেকে ডিবি পুলিশ তাকে এক মাদ্রাসাছাত্র হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার করেছিল। তবে দুই ঘণ্টার মধ্যেই বিএনপির দুই নেতার সুপারিশে তিনি ছাড়া পান। এরপর দীর্ঘদিন আত্মগোপনে ছিলেন।
সরাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোরশেদুল আলম চৌধুরী বলেন, বাচ্চু মিয়ার বিরুদ্ধে দুটি হত্যা মামলাসহ চারটি মামলা রয়েছে। এ ছাড়া তার বিরুদ্ধে নানা অভিযোগও রয়েছে। আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।