২৪ আগস্ট ২০২৫, ২০:৩৪

চাকরিবিধি লঙ্ঘন করে বিএনপির কমিটিতে স্কুলশিক্ষক

শিক্ষক মজিবুর রহমান লিটন  © সংগৃহীত

সরকারি চাকরিবিধি অনুযায়ী, কোনো শিক্ষক বা কর্মকর্তা-কর্মচারী রাজনৈতিক দলে পদপদবি নিতে পারেন না। অথচ সেই বিধি ভঙ্গ করেই নেত্রকোনার মদনে উপজেলা বিএনপির কমিটিতে ছাত্রবিষয়ক সম্পাদক করা হয়েছে এক প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষককে। এ ঘটনা জানাজানি হওয়ার পর থেকে এলাকায় আলোচনা-সমালোচনার সৃষ্টি হয়েছে। জেলা বিএনপির অনুমোদিত ওই কমিটিতে শিক্ষক মজিবুর রহমান লিটনের নাম ছাত্রবিষয়ক সম্পাদক হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হওয়ায় বির্তক শুরু হয়, যা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।

গত বৃহস্পতিবার জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আনোয়ারুল হক ও সদস্যসচিব ড. রফিকুল ইসলাম হিলালী স্বাক্ষরিত মদন উপজেলা বিএনপির ১০১ সদস্যের এই কমিটি অনুমোদন দেওয়া হয়। তবে গতকাল শনিবার রাতে কমিটির বিষয়টি জানাজানি হয়।

কমিটিতে মজিবুর রহমান লিটনকে উপজেলা বিএনপির ছাত্রবিষয়ক সম্পাদক করা হয়। তিনি মদন দক্ষিণপাড়া গ্রামের বাসিন্দা এবং মদন দক্ষিণপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক পদে কর্মরত।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে মজিবুর রহমান লিটন বলেন, ‘পদ পাওয়ার বিষয়ে আমি কিছুই জানি না। পদের জন্য কারও কাছে তদবিরও করিনি। লোকমুখে শুনেছি, পূর্ণাঙ্গ কমিটিতে ছাত্রবিষয়ক সম্পাদক পদে আমার নাম রয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত হয়ে পরে এ বিষয়ে উপজেলা বিএনপির সভাপতির সঙ্গে কথা বলে ক্ষোভ প্রকাশ করেছি। আর সরকারি চাকরি করে দলীয় পদে থাকার নিয়ম নেই। বড় পদ পেলে না হয় চাকরি ছেড়ে দিতাম।’

আরও পড়ুন: এক বছর ধরে বন্ধ ৫ হাজার শিক্ষকের বেতন, নেপথ্যে কী?

মজিবুর রহমান আরও বলেন, ‘স্কুল সরকারি হওয়ার আগে দীর্ঘ বছর উপজেলা ছাত্রদল, পরে যুবদলের সভাপতির দায়িত্ব পালন করেছি। এখন যে পদে রাখা হয়েছে, এটা আমার জন্য অসম্মানজনক। কারণ, আমার অনেক জুনিয়র এই কমিটির অনেক বড় পদে রয়েছে। এ ক্ষেত্রে আমি নিজে থেকে চেয়ে নিলে অবশ্যই বড় পদের জন্য বলতাম।’

এ বিষয়ে উপজেলা বিএনপির সভাপতি নুরুল আলম তালুকদারের সঙ্গে মোবাইলে যোগাযোগ করলে মোবাইল নম্বর বন্ধ পাওয়া যায়।

এ বিষয়ে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা সায়দা রুবায়াত বলেন, ‘সরকারি চাকরিজীবীর কোনো দলীয় পদে থাকার নিয়ম নেই। আমাকে ফোনে অনেকে ওই শিক্ষকের দলীয় পদ পাওয়ার বিষয়টি জানিয়েছেন। এখনো কোনো কাগজপত্র হাতে পাইনি। কাগজপত্র পাওয়ার পর বিধি অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’