১৯ আগস্ট ২০২৫, ১৫:৫৯

তিন দিনের কর্মসূচি ঘোষণা, ঢাকায় ইসির সামনেও অবস্থান

জরুরি সংবাদ সম্মেলন  © টিডিসি ফোটো

বাগেরহাটের চারটি সংসদীয় আসনের মধ্যে একটি কমিয়ে তিনটি করার প্রস্তাবের বিরুদ্ধে তিন দিনের কর্মসূচি ঘোষণা করেছে সর্বদলীয় সম্মিলিত কমিটি। ২৫ আগস্ট সোমবার ঢাকায় নির্বাচন কমিশন অফিসের সামনে বিক্ষোভ মিছিল ও অবস্থান কর্মসূচি।

মঙ্গলবার (১৯ আগস্ট) সকাল ১১টায় চার আসন বহাল রাখার দাবিতে বাগেরহাট প্রেসক্লাবে এক জরুরি সংবাদ সম্মেলনে এ কর্মসূচি ঘোষণা করেন জেলা বিএনপি ও সর্বদলীয় সম্মিলিত কমিটির আহ্বায়ক এটিএম আকরাম হোসেন তালিম।

আরও পড়ুন: চমক রেখে এশিয়া কাপ স্কোয়াড ঘোষণা ভারতের

সংবাদ সম্মেলনে জেলা জামায়াতে ইসলামী আমির মাওলানা রেজাউল করিম, জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি এমএ সালাম, জামায়াতের নায়েবে আমির মাওলানা আব্দুল ওয়াদুদ, সেক্রেটারি মাওলানা ইউনুস আহমেদসহ সর্বদলীয় কমিটির নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

২১ আগস্ট বৃহস্পতিবার সকাল ৯টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত কাটাখালি থেকে নওয়াপাড়া মহাসড়ক অবরোধ।

২৪ আগস্ট রোববার সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত খুলনা-মাওয়া মহাসড়কের নওয়াপাড়া, কাটাখালি, ফকিরহাট, মোল্লাহাট সেতু এবং পিরোজপুর-বাগেরহাট মহাসড়কের সাইনবোর্ড মোড়ে অবরোধ কর্মসূচি। একই দিনে জেলা প্রশাসক ও জেলা নির্বাচন কর্মকর্তার দপ্তরে অবস্থান কর্মসূচি।

২৫ আগস্ট সোমবার ঢাকায় নির্বাচন কমিশন অফিসের সামনে বিক্ষোভ মিছিল ও অবস্থান কর্মসূচি।

আহ্বায়ক আকরাম হোসেন তালিম বলেন, বাগেরহাটের চারটি আসন বহাল রাখার বিষয়ে আমরা সর্বদল এক হয়ে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছি। প্রয়োজনে আরও কঠিন কর্মসূচিতে যেতে আমরা প্রস্তুত।

সদস্য সচিব ও জেলা জামায়াতের আমির মাওলানা রেজাউল করিম বলেন, আসন কমানোর প্রস্তাব একটি প্রকল্পিত ষড়যন্ত্র। নির্বাচন কমিশন যদি এই প্রস্তাব থেকে না সরে, তাহলে এমন কঠিন আন্দোলন হবে যা সামাল দেওয়া সম্ভব হবে না।

জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি এমএ সালাম বলেন, চারটি আসন থেকে তিনটি করা হলে বাগেরহাটবাসী নানাভাবে বঞ্চিত হবে। আসন বহাল না থাকলে আমরা বাগেরহাটকে বিচ্ছিন্ন করার ঘোষণা দিতে বাধ্য হবো।

দীর্ঘদিন ধরে বাগেরহাটে চারটি সংসদীয় আসন রয়েছে। কিন্তু গত ৩০ জুলাই আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জেলার আসন সংখ্যা তিনটিতে নামিয়ে আনার প্রস্তাব দেয় নির্বাচন কমিশন। এরপর থেকেই বাগেরহাটে তীব্র ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। এরই ধারাবাহিকতায় সর্বদলীয় কমিটি বিক্ষোভ মিছিল, স্মারকলিপি প্রদান এবং ঢাকায় মানববন্ধনসহ নানা কর্মসূচি পালন করে আসছে।

আসন কমানো বা বহাল রাখার বিষয়ে আগামী ২৫ আগস্ট নির্বাচন কমিশনের দপ্তরে শুনানি অনুষ্ঠিত হবে।