ঐতিহাসিক শোলাকিয়া ঈদগাহ মাঠ নিয়ে যা জানাল প্রশাসন

  © টিডিসি সম্পাদিত

১৯৮তম ঈদুল ফিতরের জামাতের জন্য প্রস্তুত কিশোরগঞ্জের ঐতিহাসিক শোলাকিয়া ঈদগাহ মাঠ। আগত মুসল্লিদের নিরাপত্তায় পাঁচ স্তরে কাজ করবে আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। এবার পূর্বের চেয়ে বাড়তি নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকবে বলে জানায় প্রশাসন।

আজ শনিবার (২৯ মার্চ) বেলা সাড়ে ১১টায় শোলাকিয়া ঈদগাহ ময়দান পরিদর্শনে আসেন শোলাকিয়া ঈদগাহ ময়দান ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি ও জেলা প্রশাসক ফৌজিয়া খান। এ সময় উপস্থিত ছিলেন, ময়মনসিংহ  র‌্যাব-১৪-এর অধিনায়ক অতিরিক্ত ডিআইজি নাইমুল ইসলাম ও কিশোরগঞ্জ পুলিশ সুপার মোহাম্মদ হাসান চৌধুরী। 

কিশোরগঞ্জের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ হাসান চৌধুরী বলেন, ‘এবারও পূর্বের চেয়ে বাড়তি নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকবে। তাই আমরা কিছু বাড়তি আয়োজন করেছি। এর মধ্যে ময়দানকে লক্ষ্য করে চার স্তরের বেশি নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। ১১শ’ পুলিশ সদস্য নিরাপত্তায় নিয়োজিত থাকবে। এমনকি সাদা পোশাকেও পুলিশ সদস্যরা কাজ করবেন বলে জানান তিনি। 

তিনি আরো বলেন, ‘বিশেষ নিরাপত্তার জন্য উঁচু ভবনের ছাদেও নিরাপত্তার জন্য পুলিশ সদস্যরাও থাকবেন। প্রত্যেককে ঈদগাহ ময়দানে আসতে হলে পুলিশের চারটি স্থাপনা পার হয়ে আসতে হবে। সেটি চেকপোস্ট হোক বা পিকেট হোক। আবার কোথাও কোথাও পাঁচ থেকে ছয়টি স্থাপনা পার হয়ে ময়দানে আসতে হবে। এখানে ওয়াচ টাওয়ার রয়েছে ছয়টি। তার মধ্যে র‌্যাব ব্যবহার করবে দুটি আর চারটি ব্যবহার করবে পুলিশ। মাঠে চারটি ড্রোন ক্যামেরা থাকবে। থাকবে মাইনো কোলারসহ ছয়টি ভিডিও ক্যামেরা।’

পুলিশ সুপার বলেন, ‘এছাড়াও পুরো মাঠ সিসি ক্যামেরার আওতায় থাকবে। যা সার্বক্ষণিক পর্যবেক্ষণ করা হবে। মানুষ যাতে নির্বিঘ্নে নামাজ আদায় করতে পারে তাই আমাদের এই আয়োজন। এখানে ফায়ার সার্ভিস কাজ করবে। ছয়টি অ্যাম্বুলেন্সসহ মেডিকেল টিম থাকবে। পুলিশের কুইক রেসপন্স টিম থাকবে। সুইপিং করা হবে। বোম ডিসপোজাল টিম ঢাকা থেকে আসবে। এছাড়াও মাঠের নিরাপত্তার জন্য পাঁচ প্লাটুন বিজিবি চাওয়া হয়েছে। আমরা কোনো হুমকি মনে করছি না।’

জেলা প্রশাসক  ফৌজিয়া খান জানান, ঐতিহাসিক শোলাকিয়া ঈদগাহ মাঠের নিরাপত্তায় মোতায়েন থাকবে ৫ প্লাটুন বিজিবি। এ ছাড়াও ঈদের নামাজ সকাল ১০ টায় শুরু হবে।  ঈদের নামাজের  ইমামতি করবেন কিশোরগঞ্জ শহরের বড় বাজার মসজিদের খতিব মুফতি আবুল খায়ের মোহাম্মদ সাইফুল্লাহ। বিকল্প ইমাম হিসেবে থাকবেন হয়বতনগর এ. ইউ. কামিল মাদ্রাসার প্রভাষক মাওলানা জুবায়ের ইবনে আব্দুল হাই। 

তিনি জানান, শোলাকিয়া ঈদগাহ মাঠে আগত মুসল্লিদের নিরাপত্তার স্বার্থে জামাতে টুপি ও জায়নামাজ এবং মোবাইল ফোন ছাড়া অন্য কিছু সঙ্গে আনা যাবে না। আগত মুসল্লিদের সুবিধার্থে ঈদের দিন কিশোরগঞ্জ-ময়মনসিংহ ও ভৈরব-কিশোরগঞ্জ রোডে শোলাকিয়া এক্সপ্রেস নামে দুটি স্পেশাল ট্রেন চলাচল করবে।


সর্বশেষ সংবাদ