চাকরি বয়স ৩৫ আন্দোলনকারীদের শাহবাগ মোড় অবরোধ

শাহবাগ মোড় অবরোধ
শাহবাগ মোড় অবরোধ  © সংগৃহীত

সরকারি চাকরিতে বয়সসীমা ৩৫ করার দাবিতে রাজধানীর শাহবাগ মোড় অবরোধ করলে আন্দোলনকারীদের পুলিশ ধাওয়া করে সরিয়ে দেয়। শনিবার দুপুর ৩টায় পুলিশ ধাওয়া করে ছত্রভঙ্গ করে দেয় আন্দোলনকারীদের। এসময় কয়েকজনকে পুলিশ আটক করে নিয়ে যায় বলে অভিযোগ ৩৫ আন্দোলনকারীদের।  

এর আগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের সামনে ৩৫ আন্দোলনকারীরা সমাবেশ করে। সেখান থেকে বেলা পৌনে ৩টার দিকে রাজু ভাস্কর্য থেকে পদযাত্রা নিয়ে গণভবন অভিমুখে যাত্রা করলে পুলিশ বাধা দেয়।  

এর আগে সেখানে সমাবেশ হয়। এতে বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানী। তিনি বলেন, আওয়ামীলীগ ২০১৮ সালে নির্বাচনী ইশতেহারে চাকরিতে বয়সসীমা বাড়ানোর কথা বলেছে। আমিও প্রধানমন্ত্রীর কাছে এই দাবি তুলে ধরেছিলাম। বলেছিলাম, এর পেছনে ছাত্রলীগের পূর্ণ সমর্থন রয়েছে। 

তিনি বলেন, প্রশাসনিক ক্ষেত্রে আমরা ভারতকে অনুসরণ করি। তাহলে চাকরিতে বয়সসীমার ক্ষেত্রে কেন নয়? ব্যর্থ রাষ্ট্র পাকিস্তানের পদাঙ্ক অনুসরণ না করে আমরা উন্নত রাষ্ট্রগুলোর পদাঙ্ক অনুসরণ করতে সরকারকে অনুসরণ করেন। 

রাব্বানী আরও বলেন, বয়সসীমা না রাখলে ভালো হয়। তবুও শিক্ষামন্ত্রী, জনপ্রশাসন মন্ত্রী দাবির বিষয়ে ইতিবাচক মত দিয়েছেন। বয়সসীমা ৩৫ করতে হবে। 

সমাবেশে বক্তব্য রেখেছেন বয়সসীমা ৩৫ প্রত্যাশী শিক্ষার্থী পরিষদের সভাপতি শরিফুল ইসলাম শুভ, সংগঠক খাদিজা খাতুন মুক্তা, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী সাদ্দাম হোসেনসহ প্রমুখ। 

পরিষদের সমন্বয়ক শরিফুল ইসলাম শুভ বলেন, আমরা চাকরিতে আবেদনের বয়সসীমা স্থায়ীভাবে বৃদ্ধি চাই। অর্থাৎ আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অনুযায়ী ৩৫ চাই। তারই ধারাবাহিকতায় গত বছরের ৩০ আগস্ট থেকে লাগাতার কর্মসূচি পালন করছি। সরকারি-বেসরকারি, আধা সরকারি, রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠান, স্বায়ত্তশাসিতসহ দেশে বিদ্যমান সব ধরনের চাকরিতে আবেদনের বয়সসীমা ৩৫ বছর করতে হবে। বিষয়টি উপলব্ধি করে ২০১৮ সালে আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইশতেহারে ‘সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা বাড়ানোর বিষয়ে মেধা ও দক্ষতা বিবেচনায় রেখে বাস্তবতার নিরিখে যুক্তিসংগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে’ বলে উল্লেখ করেছিল। কিন্তু সেটি বাস্তবায়ন হয়নি।


সর্বশেষ সংবাদ